বিলাসিতা
লি খে ছে ন – স জ ল কা ন্তি টি কা দা র
দিব্যি আছি সুখেই আছি
ভালো মন্দে দিন চলে যায়
ঘরে আছে দুটো গোরু
এদের নিয়েই দিন
কেটে যায়।
দশ বছরের ছেলে আমার
শাকসবজি বেচে আসে---
রোজ:
সকাল দুপুর বিকেলবেলায়।
রাজনীতির ছাই বুঝিনা কিছু!
ভোটটা তবু দিয়েই আসি
ভোট চলে গেলে পরেই
গলায় ঝোলে
ক্ষুধার ফাঁসি।
নুন আনতে পান্তা ফুরায়
কাঁচা লঙ্কা তাও জোটেনা!
এরই মাঝে ছেলে আমার
পড়াশুনায় মন দিতে চায়
ধমকে উঠি কান্ড দেখে
কেমন করে ছেলে আমার
বিলাসিতায় ডুব দিতে যায়!
যে ঘরেতে পেট চলেনা
সেই ঘরেতে পড়ালেখা?
বিলাসিতা ছাড়া কি আর
অন্য চোখে যায়রে দেখা?
শুনিসনি কি কোন এক নেতা
নামটা তো পড়ছেনা মনে
শিক্ষিতদের চাকরী মেরেই
আছে এখন জেলের কোণে।
তাইতো বলি বই গুটিয়ে
চলনা এবার মাঠে যাই
পড়া শিখে চাকরী পাবি?
আমার যে অত টাকা নাই
লাল
লি খে ছে ন – প্র দী প চ ক্র ব র্তী
জাতের নামে বজ্জাতি
আর কতদিন চলবে?
ধর্মের ধ্বজাধারীরা
আর
কবে সত্যি কথাটা বলবে?
মিথ্যাচারের ফানুসটাকে
নামাতে হবে তাই,
পৃথিবীটা সব মানুষের
মানুষ মানুষের-ই ভাই।
রক্তদান শিবিরেতে
রক্ত দিলাম কাল,
শিবির শেষে দেখতে পেলাম,
সবার রক্তই লাল।
আস্তিক ও নাস্তিক
লি খে ছে ন - বিপ্লব সেন
বাস্তব অবস্থার বিরোধিতা করেই
আস্তিক যে ভাব বাদী,
ঠিক উল্টো কাজ করেই
নাস্তিক মানুষ বস্তুবাদী।
প্রশ্ন করার অধিকার নেই
কোনো সংকীর্ণতার মধ্যে,
তাই আপনার করা প্রশ্ন এড়িয়ে যায়
আঁধারের সান্নিধ্যে।
ওরা মানে না অন্য ঈশ্বর
শুধুই নিজের কাল্পনিক সর্বশক্তিমান,
প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি আলাদা ঈশ্বর
আলাদা ধর্মে মহান।
এই যুক্তি প্রশ্নের কোনো
উত্তর তাদের নেই,
তারা শুধু আনুগত্য নিয়ে
ভজে চলে তাই।
এই প্রশ্ন করলেই বলবে
নাস্তিক বিধর্মী,
নাস্তিক কথাটার মানেই জানে না
তারা তো মানব ধর্মী।
দ্বিচারিতা নিয়ে চলে
যেটা বোঝে ভালো,
অন্ধ বিশ্বাসের উন্মাদনায়
তাদের চেতনা কালো।
যুক্তি বুদ্ধি সব বাদ যায়
শুধুই পড়ে থাকে বিশ্বাস,
কোনো প্রশ্ন কাজ করে না
বোঝে না কেনো নাস্তিকের অবিশ্বাস।
এ কীসের বিবর্ণতা?
লি খে ছে ন – প্রি ন্সি বে রা
একদল পুরুষ বিচার বিবেচনা করেছে রপ্তানি
আমদানি করেছে শুধুই মিথ্যে দম্ভ,
বৈবাহিক সম্পর্কের মানরেখেছে তলানিতে,
সদা ব্যাস্ত দিতে বিচার বিভাগীয় দন্ড।
তবে একখানা সরকারি চাকরি যদি জোটে নারীর কপালে
বররূপী বহুরূপী করে একাডেমী শিক্ষার খানিক কদর;
নয়তো শিক্ষা নাকি বালের।
হয়েছিল তো সাতজন্মের বন্ধনে আবদ্ধ
তবে কেনো একজন্মেই সমস্ত পাবার বাসনায় পরিকরবদ্ধ।
শুনতে চায়না নারীর ইচ্ছা,জানতে চায়না তার খুশি।
নারীদেহ শুধুই ভোগের প্রসাদ,
প্রাপ্য ভেবেই,রাজার রাজা বেজায় সুখী।
নারী স্বাধীনতা চাইলে,শুনতে হয় মাগী,
গুনতে হয় চামড়ায় মারের দাগ,
পুরুষ ভাসিয়ে দেয় সব রোমান্টিক আবেগ
খোরপোষ আর কর্তৃতের ঝর্ণায়।
অন্যায়ের অন্যায় আজও প্রতিবাদহীন
গর্জেওঠা দুএকজন,হারছে;করছে পুনরায় মাথা নত।
তাই দেখে সোকোল্ড স্বামী নিচ্ছে বাহবা
দিচ্ছে হুংকার,করছে নিজস্বার্থ জারি।
এখনও তবু একদলের দাবি
তারা নিষ্ঠা বিচারদাতা,
তাহলে সমাজে আজও নারীর
এ কীসের বিবর্ণতা?
ধন্যবাদান্তে
রমা বেরা, শ্রীচন্দা, উস্থি
ভীতির পুঁজি আনুগত্যের মুনাফা
লি খে ছে ন – বি প্ল ব সে ন
ভীতি যেখানে পুঁজি সেথায়
বিশ্বাস হয় মুনাফা,
মুনাফা নয় ডাকাতি চলে
করতে পকেট সাফা।
নানা রকম কায়দা কানুন
সাথে অন্ধবিশ্বাস,
বিশ্বাসের পুঁটুলি চেতনায় ঝোলে
মরার পর "স্বর্গবাস।"
লড়াই করে টিকে থাকা
ইহ জগতের সমাজে,
অন্ন, বস্ত্র বাসস্থান এর যোগান
জীবনের চেষ্টা মাঝে।
মৃত্যুর পর কি হবে ভেবে
ভীতির অন্ধকার,
জীবনের শেষে মৃত্যুর আবেশ
চেতনা মৃত্যুর পারাবার।
বস্তু হয়ে যাবে শরীর
জীবনের পরিসমাপ্তি,
পৃথিবীতে বেঁচে থাকা
জীবনের পরম প্রাপ্তি।
সেই বেঁচে থাকা যাতে হয়
ললিত সুকোমল,
তার জন্যে চাই যে
অর্থের সম্বল।
সেই ভীতি পুঁজি তখন
যখন রমরমা কারবার,
বিরাট মুনাফা অর্থের ঝনঝন
পুরুত পাদ্রী,মৌলভীর পকেট ভরাবার।
অসভ্য বটেই ধূর্ত শয়তান
এটাই কারবারের বহিঃপ্রকাশ,
সত্য চাপা দিয়ে চেতনার
করা সর্বনাশ।