ভরসা
লি খে ছে ন – প্র দী প চ ক্র ব র্তী
মানুষ যখন বুদ্ধিভ্রষ্ট
হারায় চিন্তা শক্তি,
তখনই আসে ধর্মগ্রন্থ
বাড়ে অন্ধ ভক্তি।
যুক্তি দিয়ে চিন্তা করলে
বাড়ে সমাজের মান,
বিপদ থেকে রক্ষা করতে
আসবে না ভগবান।
মানবতাই পারে শুধু
করতে মন পরিষ্কার,
বিজ্ঞানেতে ভরসা রাখো
দূর করো কুসংস্কার।
থাকুক নির্ভয়ে
লি খে ছে ন – প্রি ন্সি বে রা
মানবজাতি বড়ই অসহায় আজ
মানসিক ঝড়ের কবলে।
কতক আমফান, ফনী, ইয়াশ নামক
বনমানুষের আচরণে।
তুমি আমি প্রার্থনা করি
অভিমুখ পরিবর্তিত হোক
যাক অপরপানে।
শুধু বলি আমরা যেন বেঁচে থাকি,
প্রভাব ফেলুক ভিনরাজ্যে।
ভুলেও ভাবি না গতি হারাক,
এ ভয়ানক রাক্ষস,
ধ্বংস হোক শয়তানের কারবার।
আমার মতই বাঁচুক সবাই,
সবাই থাকুক নির্ভয়ে।।
ধন্যবাদান্তে,
রমা বেরা, শ্রীচন্দা, উস্থি
বিষয় - রাজনীতি
লি খে ছে ন – প রি ণী তা
লাল, সবুজ, কমলা রঙের ছড়াছড়ি
সব মিলে পা চাটে, নেতাদের পায়ে পড়ি।
শহীদের বেদিতে যত জমা পরে ফুল
তার চেয়ে ঢের বেশি মানুষ দু'টাকার চালে মশগুল।
ধর্ষণ যখন হচ্ছে তখন এনজয় করা হোক
এই বলে নেতাদের মুখ বাঁচিয়ে নেওয়া হোক।
যখন তার মেয়ে বৌ ও ধর্ষণ হবে
তখন যেন আদালতে দেখা যায় না তবে!
তখন বিচার চাইলে আমরাও বলি?
ধর্ষণ তো কি হয়েছে? এনজয় করি!
বিখ্যাত শিল্পীর সিনেমা নন্দনে শো না পায়
এদিকে জামা খুলে মডার্ন শিল্পী কোমর নাচায়।
এ দেশে শিক্ষা নিয়ে দিনরাত চলছে ব্যবসা
ওদিকে এক্সাম এলেই বাড়ছে করোনা।
পেটের দায়ে শরীর বেচা বেশ্যাকে ঘৃণা করি
ফেসবুকে "শাড়িতেই নারী" নামে স্তন এর ভাঁজকে লাইক করি।
লাল, সবুজ কমলা রঙের ছড়াছড়ি
সব মিলে পা চাটে, নেতাদের পায়ে পড়ি।
নিখিলেশ
লি খে ছে ন – রা জু দ ত্ত
নিখিলেশকে মনে আছে?
লম্বা ছিপছিপে পাঞ্জাবি পরা ছেলেটি...
এলোমেলো চুল, গালে খোঁচা দাঁড়ি
গোঁফের ফাঁকে প্রসারিত ঠোঁটে
লেগে থাকা স্নিগ্ধ হাসি....
নিখিলেশ.. ওরও হিস্ট্রি ছিল।
তবে দখলটা ছিল সকলের বিস্ময়
অথবা ঈর্ষার।
দুনিয়ার বিকৃত ইতিহাসটাকে দুমড়ে মুচড়ে
নতুন করে গড়বার নেশায় মশগুল
মফ:স্বলের ছেলেটার অতীত জানতে চায়নি কেউ।
নিখিলেশ ছিল হরপ্পা লিপির মত,
আমাদের সমবেত প্রচেষ্টায়
যার পাঠোদ্ধার হয়নি আজও।
আমাদের কলেজ দিনের স্মৃতিতে
শুধু রয়ে গেছে অবিন্যস্ত নিখিলেশ
ওর এলোমেলো অবিন্যস্ত চুলের মত।
জিনসটি শার্ট পরা সেদিনের আমরা,
সেন্ট পাউডারে সুরভিত আমরা
ছিলাম আধুনিকতার মলাটে
কুসংস্কারের নতুন সংকলন।
আর আমাদের নিখিলেশ!
যুক্তির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত কুসংস্কারগুলো
ওর তর্জনির ইশারায় জমেছে আবর্জনার স্তুপে।
প্রতিবাদে মুখর নিখিলেশই
ছিল নীরব আন্দোলন।
ঝোলাব্যাগ ঢোলা প্যান্ট পাঞ্জাবি
এলোমেলো চুল না কামানো খোঁচা দাঁড়ি
ঘুণ ধরাতে পারেনি ওর চেতনায়।
মাদুলি তাবিজ পরা ফিজিক্সের অর্ক মধুরিমাদের পাশ দিয়ে হেঁটে গেছে হিস্ট্রির নিখিলেশ..
একা একলাই....
আমরা চিনিনি ওকে
পাগল বলেছে লোকে
আজকে দীর্ঘশ্বাস
প্রগতির গতি রোধ করে বিকৃত ইতিহাস,
নিখিলেশদের প্রয়োজন আজ
প্রতিদিন বারোমাস।
রচনাকাল :- ১২/০৯/১৯
প্রকাশকাল :- ২৭/০৩/২১
জ্যোতিষ বুজরুকি
লি খে ছে ন – ত ন্ম য়
টিয়া পাখি,ল্যাপটপ জ্যোতিষী মহাঢপ
দুর্বল মানুষদের ধরে ওরা খপাখপ,
হাত দেখে বলে দেয় ভাগ্যেতে কী লেখা
হাত যার নেই তবে পাবে কোথা তার রেখা,
শিম্পাঞ্জি,ওরাংওটাং,ওদেরও রেখা থাকে
কেউ কেন পড়ে না তবে ওদের ভাগ্যটাকে।
গ্রহের কোপে পড়লে চলে না জারিজুরি
রাহু, কেতু গ্রহ নাকি? মিথ্যের ফুলঝুরি,
সূর্য, চন্দ্র এসব গ্রহ আবার হল কবে?
ইউরেনাস নেপচুনের নাম কেন বাদ তবে?
আসলে পুরোটাই মিথ্যার বেসাতি
ফন্দিফিকির করে ঠকানোর কেরামতি।
সময়, লগ্ন, রাশি কতসব কায়দা
ফাঁদ পেতে বসে থেকে ওরা তোলে ফায়দা,
জন্ম মুহূর্ত এক হলে সমান ভাগ্যবান
জ্যোতিষীরা পারে না দিতে এরূপ কোনও প্রমাণ।
গ্রহরত্ন পরলে নাকি ভাগ্য বদলে যায়
ছেদ পড়ে কখনো কি শোষণ বঞ্চনায়?
সবার কর্ম জোটে? দারিদ্র্য যায় ঘুচে?
হয় না এসব কিছুই আসলে সবই মিছে।
অনিশ্চিত জীবনে অনেকের করে ভয়
জ্যোতিষীরা সেই দুর্বলতার সুযোগ নেয়,
জ্যোতিষ বিজ্ঞান নয়,পুরোটাই বুজরুকি
প্রতারণার বিরুদ্ধে চলো প্রতিরোধ গড়তে থাকি।