মুক্তি
লি খে ছে ন- প্র দী প চ ক্র ব র্তী
শিক্ষা নিয়ে গর্ব করে
করছ সময় নষ্ট,
কুসংস্কার বাড়ছে রোজ-ই
বাড়ছে মনোকষ্ট।
শিক্ষিত হওয়ার আগে
হতে হবে যোগ্য,
কর্মফল-ই শেষ কথা
চুলোয় যাক্ ভাগ্য।
মহাকাশের দুনিয়াতে
আছে কার্য - কারণ,
অলৌকিকের ধ্বজাধারীদের
সেথায় প্রবেশ বারণ।
ধর্মগ্রন্থ তাকেই বলে
যেথায় আছে যুক্তি,
মানবতাই দিতে পারে
ভিক্ষা থেকে মুক্তি।
চেতনা
লি খে ছে ন - বি প্ল ব সে ন
নিজের শিক্ষা নিজের চেতনা
কি এই কথা কয়,
কান পেতে শুনুন দাদা উত্তর আছে সেথায়।
যদি বিবাহ করেন কাউকে
করুন পরীক্ষা রক্ত,
ভবিষ্যত প্রজন্মের জীবন তাতে
হবে যে শক্ত।
বিজ্ঞানে ভরসা রাখুন
মানুষের সাথে বন্ধন,
মাঙ্গলিক কাল্পনিক ব্যাপার
ব্রাহ্মণের ব্যবসার মন্থন।
ছুঁড়ে ফেলে দিন সামন্ত তান্ত্রিক
এমন চিন্তা ভাবনা,
মানুষ শুধুই মান হুশ জ্ঞানে
এটাই হলো চেতনা।
বিজ্ঞানের কথা বলি আপনাকে
একটু ভেবে দেখুন,
পরিবর্তনের এই পৃথিবীতে ভরা
দ্বন্দ্ব আর ঘূর্ণন।
কারুর সাথে সম্পর্ক নয়
অন্য কিছু দিয়ে নিয়ন্ত্রন,
সমাজের মধ্যে মানুষের মধ্যে
সম্পিরখে দ্বন্দ্বের সমাগম।
একসাথে থাকতে থাকতে
হতে পারে কিছু অনৈক্য,
সমস্যা থাকলে আছে সমাধান
এভাবেই হয় ঐক্য।
কার্য থাকলে থাকবে কারণ
কারণ থাকলে কার্য,
এটাই হলো সুস্থ চিন্তা
মাঙ্গলীক সব কিছু বর্জ্য।
সুস্থ্ থাকতে পরীক্ষা করুন
রক্ত বিয়ের আগে,
জিন গঠিত রোগ যাতে
আটকে যায় আগে ভাগে।
বৈজ্ঞানিক চিন্তা করুন
এটাই চিন্তা মুক্তি,
প্রত্যেক ঘটনার কার্য কারণ
বাড়ায় বাস্তব শক্তি।
যুক্তিবাদের জয়
লি খে ছে ন - বি প্ল ব সে ন
সংঘর্ষ চলুক চলুন নির্মাণ
ভেঙে পড়ুক অবক্ষয়,
মুক্ত চিন্তা যুক্তির আলোয় হোক
বস্তুবাদের জয়।
তর্ক থাকুক থাকুক বিতর্ক
থাকুক সংশয়,
দ্বন্দ্ব থাকুক চেতনার মাঝে
জ্ঞানের আপেক্ষিকতায়।
কার্য থাকলে থাকবে কারণ
এটাই সহজ কথা,
কারণ থাকলেও থাকবে কার্য
এভাবেই চেতনার দেখা।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণা সৃষ্টি করে
সিন্ধু,
ওই সিন্ধুর একক কিন্তু
একটি জল বিন্দু।
প্রগতির পথে চলমান বিজ্ঞান
যুক্তিবাদী মন,
উঠুক ঝড় ভাঙুক বিশ্বাস
সংশয় নিয়ে চলুক" চেতনার অন্বেষণ।"
সবেতেই বিশ্বাস সবেতেই আনুগত্য
অদ্ভুত অন্ধকার,
বিচ্ছিন্ন নয় সামগ্রিক ভাবে
দরকার চিন্তা ভাবনার।
প্রতি ঘটনা জড়িত যে
অন্য ঘটনার সাথে মিশে,
পরিবর্তনের এই পৃথিবী পাক খেয়ে চলে
এই দ্বন্দ্বের পরিবেশে।
ভাবুন, ভাবুন, ভাবার অনুশীলন
করুন এটাই অনুরোধ,
বিশ্বাস নয় সংশয় নিয়ে
চেতনায় আসুক মূল্যবোধ।
আলোর দিকে যাত্রা
লি খে ছে ন – দে ব ব্ৰ ত হা তী
অন্ধকারে হালকা আলোক রেখা
সাম্যের চেতনা গভীরে প্রোথিত
মুক্তমনা সমাজে সবাই শাসক।
জীবন যখন বিপর্যস্ত মরুভূমি
মনন সৃজনশীল ও চিন্তাশীল করা।
রাজনীতির নানা দ্বন্দ্ব, অসহিষ্ণুতা
মনের মাধুরী মেশানো কথা নয়
আদর্শের কন্টকিত পথ ধরে চলা।
ভাঙা হৃদয়ে গান গাওয়া
স্বাধীনতা,গণতন্ত্র ও মুক্তি
মুক্তির জন্য বৃহত্তর সত্য
সেই সত্যের কাছে আসা।
সত্যই সুন্দর,জীবনের শ্বাশ্বত সত্য,
মানুষের জীবনযুদ্ধ অবিরাম চলা
ধোঁয়াশায় ঢাকা পড়ে সত্য ভাষ্য
চশমার কাঁচটা বড়ো ঘোলা ঘোলা
মনে হয় সব যেন ঝাপসা ঝাপসা
ঝাপসা থেকে আলোর দিকে যাত্রা।
উপেক্ষিতা
লি খে ছে ন – স জ ল কা ন্তি টি কা দা র
ভারতবর্ষকে আমরা সবাই
জননী বলেই জানি---
আবার এই সমাজই মা বোনের
করে যে মান হানি!
ধর্ষণ আর বধূ নির্যাতন
প্রতিদিনই ঘটে--
চার বছরের শিশু সেও
ছাড় পায় না মোটে!
সরস্বতী পূজোয় পুষ্পাঞ্জলি
দেয় যে ভক্তি ভরে---
কেমন করে এরাই আবার
ভ্রুণ হত্যা করে!
তখন বিবেক কোথায় থাকে
দেখাও তো একটু দেখি--
এমন পূজোয় লাভ নেই বন্ধু
এগুলো সব মেকী!
এই সমাজেই ঘটছে বন্ধু
নির্ভয়া কামদুনি
হাজার হাজার ঘটছে এমন
কতটুকু তার শুনি?
যে সমাজ পারে না দিতে
নারীর সন্মান অধিকার
তেমন সমাজ রেখে বন্ধু
আমাদের কি দরকার?
নতুন শিশু আসবে যখন
এই সমাজের মাঝে---
কি জবাব দেবে তুমি?
শুনি তোমার কাছে!
আগুন জ্বালাও সমাজ বুকে
আর তোমার মনের ঘরে---
নতুন সমাজ তবেই বন্ধু
উঠবে আবার গড়ে।