পেরিয়ার রামাস্বামী – বিরল এক ব্যক্তিত্ব
কিনোক্ষ্যাপা
Nov. 21, 2024 | | views :980 | like:0 | share: 0 | comments :0
সাল ২০২২, তারিখ – ১৭-ই সেপ্টেম্বর, স্থান – কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন এক টেকনোলজি ইন্সটিটিউট, যা আবার An Institute of National Importance-এর তালিকাভুক্তও বটে, সময় – সকাল ১০-টা। শুরু হয়ে গেল কাঁসর-ঘন্টার শব্দ আর সংস্কৃত মন্ত্র সহযোগে বিশ্বকর্মা পুজো। একেবারে হৈহৈ ব্যাপার। সাথে হিন্দুত্ববাদীদের আস্ফালন তো আছেই। কিন্তু মন শান্ত করে ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখলাম এ-তো নতুন কিছুই নয়। এই সাংস্কৃতিক আবহেই তো আমরা – উচ্চবর্ণের হিন্দুরা – বড় হয়ে উঠেছি। আজ ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ নিয়ে আমরা অনেকে বহু আপত্তি প্রকাশ করছি বটে, কিন্তু তিল তিল করে এই হিন্দু রাষ্ট্র গড়ে তোলার কাজে আমরা, আমাদের পূর্বপুরুষরাই তো ইন্ধন জুগিয়েছি। সত্যিটা তো এটাই যে এই ‘হিন্দু রাষ্ট্র’-র বীজটা সেদিনই সংবিধানের মধ্যে পোঁতা হয়ে গিয়েছিল যেদিন স্বয়ং নেহরু-র নেতৃত্বে পরিচালিত উপদেষ্টা কমিটি সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়টা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তটা প্রত্যাখ্যান করেছিল, এবং উল্টে সকল ধর্মকে সমান হিসাবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। Secular শব্দটা ভারতে সেদিনই ‘Sickular’ হয়ে গিয়েছে। যে গণতান্ত্রিক রাজনীতি স্বাধীনতার পরে জন্ম নিয়েছিল তাতে যে ভারত রাষ্ট্র বাস্তবে উচ্চবর্ণের হিন্দু অভিজাত শ্রেণীর ইচ্ছার কাছে, তাঁদের ধর্মের কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য হবে সেদিন একথা উপলব্ধি করা হয়নি, বা হয়তো জেনেবুঝেই সবটা করা হয়েছে। স্কুলে-কলেজে পুজো-অর্চনা সেই ঐতিহ্যই বহন করে চলেছে। সেই ঐতিহ্যের হাত ধরেই ১৭-ই সেপ্টেম্বর তারিখটা ভারতীয় সংস্কৃতি (পড়ুন হিন্দু সংস্কৃতি) অনুযায়ী বিশ্বকর্মা পুজো হিসাবে উদ্যাপিত হয়ে থাকে, পেরিয়ার ই. ভি. রামাস্বামী-র (১৮৭৯-১৯৭৩) জন্মদিন হিসাবে উদ্যাপিত হয় না। তবে এখনও আমরা এই ভেবে নিজেদের সৌভাগ্যবান বলে মনে করতে পারি যে এই দিনটা বর্তমান ভারতে বিশ্বকর্মা-র অবতার, ‘Make in India’-র জনক, নরেন্দ্র মোদী-র জন্মদিন হিসাবে তো আর পালন হচ্ছে না! অবশ্য আগামী প্রজন্ম এতটা সৌভাগ্যবান না-ও হতে পারে। তাই তাদের সম্ভাব্য দুর্ভাগ্যের হাত থেকে বাঁচাতে আসুন পেরিয়ার রামাস্বামী-কে নিয়ে একটু সংক্ষেপে চর্চা করা যাক।
এক ধনী ব্যবসায়ী পরিবারে ১৮৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন পেরিয়ার রামাস্বামী। দশ বছর বয়সেই প্রথাগত স্কুলশিক্ষা পরিত্যাগ, তরুণ বয়সে স্বল্পকালের জন্য সন্ন্যাস গ্রহণ, শীঘ্রই ধর্মীয় রীতিনীতি থেকে বিশ্বাস হারিয়ে কংগ্রেসে যোগদান মারফৎ সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ, সেখানেও মোহভঙ্গ ও শেষে কংগ্রেসের সাথেও বিচ্ছেদ, তারপর আজীবন সমস্ত রকম নিপীড়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা – যেন স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটার জন্যই তিনি জন্মেছিলেন। ১৯২৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের সাথে তাঁর বিচ্ছেদ ঘটে, যখন ব্যাঙ্গালোর-এ গান্ধী-র সাথে সাক্ষাৎকারের পর তিনি বুঝতে পারেন যে গান্ধী নিজেই অন্তর থেকে বর্ণাশ্রম ধর্মের প্রতি ভীষণভাবে বিশ্বাসী। যদিও ইতিমধ্যে ১৯২৫ সাল থেকেই তিনি শুরু করে দিয়েছিলেন “আত্মসম্মান আন্দোলন” [Self-Respect Movement], যে আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল একদিকে জাতিভেদ আর তার রক্ষক ব্রাক্ষ্মণ্যবাদী কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে এবং অন্যদিকে নারীদের দমিয়ে রাখার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রচার চালানো ও পদক্ষেপ নেওয়া। সমকালীন জাতীয়তাবাদীরা যেমন ‘স্বরাজ’-কে একটা জন্মগত অধিকার হিসাবে দেখেছিলেন, তেমন পেরিয়ার-এর কাছে সেই জন্মগত অধিকারটা ছিল ‘আত্মসম্মান’। ‘এক মানুষ এক ভোট’-এর রাজনৈতিক গণতন্ত্র যদি ‘এক মানুষ এক মূল্য’-র ভাবনাটাকেই না সুনিশ্চিত করতে পারে তাহলে সেই গণতন্ত্র যে কখনই ভারতের নারী ও পুরুষের স্বাধীনতা, সৌভ্রাতৃত্ব আর সাম্যকে সুনিশ্চিত করতে পারবে না সেই কথাটা পেরিয়ার এবং তাঁর-মত জাতিব্যবস্থা-বিরোধীরা গোড়াতেই উপলব্ধি করেছিলেন। পেরিয়ার মনে করতেন ভারতীয় জনজীবনের প্রতিটা দিকই বেদ, স্মৃতি, শাস্ত্র ও পুরাণ মারফৎ পরিপুষ্ট মনুর নিয়ম এবং বর্ণাশ্রমধর্ম দ্বারা পরিচালিত, যা মতাদর্শগতভাবেই ‘এক মানুষ এক মূল্য’ – এই চিন্তাভাবনার পরিপন্থী।
ব্রাক্ষ্মণ্যবাদ, বর্ণাশ্রমধর্ম, এবং হিন্দুধর্মকেই জাতিব্যবস্থার মূল মতাদর্শ হিসাবে, এবং অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ ও অ-ব্রাক্ষ্মণ শূদ্রদের মুক্তিকে জাতিব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য অপরিহার্য হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন পেরিয়ার।
যাঁরা অস্পৃশ্য তাঁরা প্রথমে ও সর্বাগ্রে মেহনতী জনগণ। এই মেহনতী জনগণকে দাসত্ব এবং ভয় থেকে মুক্ত না করলে ভারতীয়দের স্বাধীনতা আর আত্ম-নির্ভরতার সমস্ত কথাবার্তাই আসলে ফাঁকা আওয়াজ। ‘আত্ম-নির্ভর’ ভারতে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে যতোই ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসভ’ উদ্যাপন চলুক না কেন, এই বাস্তব সত্য আজও আমরা উপলব্ধি করতে পারি।
ধর্মের প্রতি, বিশেষ করে হিন্দুধর্মের প্রতি পেরিয়ার-এর সমালোচনার তীব্রতা ছিল মারাত্মক। জনগণ কি খাবে, কিভাবে পোশাক পড়বে, কাদের বিয়ে করবে, পেশা নির্বাচন, পারস্পরিক সম্পর্ক, প্রকাশ্য ব্যবহার, রাজনৈতিক পছন্দ, আরাধনার উপায় – সংক্ষেপে, হিন্দুদের প্রতিটা কাজেই একটা ধর্মীয় সংবেদনশীলতা সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায়, আর এই কর্তৃত্ববাদের দূর্গেই কামান দেগেছিলেন তিনি। তাঁর কথায় জাতিভিত্তিক সমাজ গঠনের মূল ভিত্তিই ছিল এই ধর্ম। একইভাবে সতীত্ব বজায় রাখা, সন্তানের জন্মদানে সক্ষমতা প্রমাণ করা ইত্যাদি ব্যাপারে নারীদের উপর চাপ সৃষ্টি করার চিরাচরিত ধর্ম-কেন্দ্রিক ধারণাগুলোকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি কখনও ভাবেননি যে পুরুষের শরীর নারীর শরীরের থেকে আলাদা বলে পুরুষ আর নারী বৈশিষ্ট্য আর মেজাজের নিরীখে আলাদা। এছাড়া, নারীরা যাতে সৌন্দর্য্যের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং তাঁরা যাতে নিছক গয়না ঝুলিয়ে রাখার খুঁটিতে পরিণত না হয়ে যান সেই আহ্বানও জানিয়েছিলেন তিনি। পেরিয়ার-এর কাছে বিয়ের সম্পর্ক ছিল ব্রাক্ষ্মণ্যবাদী মূল্যবোধের একটা ব্যবস্থা। তাঁর কথায় – “যেমনভাবে ব্রাক্ষ্মণ্যবাদ মেহনতী জনগণের একটা বিরাট অংশকে শূদ্র হিসাবে নিন্দা করেছে, ঠিক তেমনভাবে এই মতাদর্শ নারীদেরও বিবাহের দাসত্ব স্বীকার করতে বাধ্য করেছে। .. একজন নারী যতই সতীসাবিত্রী ও আদর্শ স্ত্রী-এর আদবকায়দা মেনে থাকবে ততই সে নিজের দাসত্বকে স্ফূর্তির সাথে মেনে নেবে।”
ব্রাক্ষ্মণ-পারাইয়া, পুরুষ-নারী, ও ধনী-গরীবদের মধ্যেকার বিভেদ, যেখানে দ্বিতীয় শ্রেণীগুলো প্রথম শ্রেণী দ্বারা নিপীড়িত – সমাজের এই তিনটে বিভেদকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে একটা সমানতার আদর্শ ‘সমধর্ম’-র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পেরিয়ার ও তাঁর আত্মসম্মান আন্দোলনের সহকর্মীরা। চাকরিক্ষেত্রে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুপাতিক ভিত্তিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব; বিভিন্ন জায়গা, পবিত্র স্থান, সম্পত্তি, চাকরি ইত্যাদির উপর সাধারণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা; আত্মসম্মান আন্দোলনের সদস্যদের বিবাহের ক্ষেত্রে আইনি বৈধতা নিশ্চিত করা; জাতি বা ধর্মবিশ্বাস নির্বিশেষে মন্দিরে পুরোহিত নিয়োগের মতো কাজকে সম্ভব করা ইত্যাদিকে ‘সমধর্ম’ আদর্শের বৈশিষ্ট্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল। তাঁর নিজের ভাষায় – “সকল জাতির উচিত শিক্ষা, বুদ্ধিমত্তা ও সংস্কৃতিতে উন্নতি করা, এবং একে অন্যের সাথে সমতা অর্জন করা। ... সকল জাতির উচিত সরকারী পদগুলোকে সমান ভাগে অর্জন করা ... সকল জাতির উচিত একে অন্যের কাছাকাছি আসা এবং সংস্কৃতির একটা সাধারণ স্তর, একটা সাধারণ শিক্ষাগত মর্যাদা অর্জন করা, একটা সাধারণ নৈতিকতার অভিজ্ঞতা লাভ করা।” জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত ভারত রাষ্ট্র যখন ‘secularism’ শব্দটার অর্থ ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ থেকে ‘সব ধর্ম সমান’-এ পরিবর্তিত করে সেই মুখোশের আড়ালে একটা নির্দ্দিষ্ট ধর্মের (ব্রাক্ষ্মণ্য ধর্ম) পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছে, তখন পেরিয়ার-এর এই ‘সমধর্ম’-র আদর্শকে চর্চা করাটা নিঃসন্দেহে সময়ের একটা দাবি।
প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থারও কঠোর সমালোচনা করেছিলেন পেরিয়ার। তাঁর কাছে শিক্ষাব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ধর্ম, শাস্ত্র ইত্যাদির উপর অন্ধ-বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যুক্তিপূর্ণ চিন্তাভাবনার পরিবেশ গড়ে তোলা এবং তার সাথে পড়ুয়াদের নিজ বিচারবুদ্ধি অনুযায়ী সচেতনভাবে ও স্বেচ্ছাকৃতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করা। তাঁর মতে জনগণ ও দেশের জন্য পড়ুয়াদের মনে আত্মসম্মান, দৃঢ়তা, সাম্য, প্রেম ইত্যাদি বোধগুলোর সঞ্চার ঘটানোই শিক্ষকদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করা পড়ুয়ারা স্কুলে না যাওয়া অশিক্ষিত জনগণের থেকে যেকোনো দিক থেকে অনেক ভালো – এই ধারণাটা পেরিয়ার কোনওদিনও গ্রহণ করেননি। তাঁর কথায় – “যেমন একজন ধোপা ইতিহাসের বিভিন্ন বিষয় জানেন না, ঠিক তেমনই বি.এ. ডিগ্রীধারীরাও জানেন না যে কিভাবে ধোপাদের মতো কাপড় কাচতে হয়; একজন মুচি যেমন ব্যাকরণ এবং সাহিত্য জানেন না, ঠিক তেমনই বিদ্বান এবং শাস্ত্রজ্ঞরা জানেন না যে কিভাবে পায়ের জুতো তৈরী করতে হয়... সুতরাং, যাঁরা বি.এ. ডিগ্রী অর্জন করেছেন সেই বিদ্বান আর শাস্ত্রজ্ঞরা কোনওভাবেই ধোপা, নাপিত আর মুচি বা জাগতিক বিষয়ে আরও প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের থেকে বেশী শ্রেষ্ঠ নন। শিক্ষিত ব্যক্তিরা যেটা শিখেছেন সেটা হল একটা নির্দ্দিষ্ট দক্ষতার কোনও একটা কৌশল, কোনও জ্ঞান নয়। এই শিক্ষিতরা বোকা হতে পারেন, স্বার্থপর হতে পারেন, তাঁদের আত্মসম্মান বোধ নাও থাকতে পারে, কিন্তু আবার বিপরীতে স্কুলে না যাওয়া জনগণ উদার, বুদ্ধিমান, এবং আত্মসম্মান বোধ-সম্পন্ন হতে পারেন।” যে শিক্ষাব্যবস্থা নিছক মুখস্থ করে শেখার প্রবণতা তৈরী করে এবং পড়ুয়াদের মধ্যে অনুসন্ধানের মানসিকতা, শিক্ষকদের প্রশ্ন করার সংস্কৃতি তৈরী করেনা, সেই শিক্ষাব্যবস্থাকে ঘৃণা করতেন পেরিয়ার। এই ধরণের শিক্ষাব্যবস্থা যুব সম্প্রদায়ের মনের মধ্যে পারস্পরিক ভালো ব্যবহার এবং নৈতিকতা বোধের জন্ম দিতে পারে না।
পেরিয়ার কে ছিলেন? এক কথায় এই প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই দিয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন – “একটা আকারে বড় দেশ যদি একটা অপেক্ষাকৃত ছোটো দেশের উপর নিপীড়ন চালায়, তাহলে সেই ছোটো দেশটার পাশে দাঁড়াবো। সেই ছোটো দেশটায় সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধর্ম যদি সংখ্যালঘুদের ধর্মের উপর নিপীড়ন চালায় তাহলে আমি সেই সংখ্যালঘু ধর্মের পাশে দাঁড়াবো। যদি সেই সংখ্যালঘু ধর্মে জাতপাতের বিভেদ থাকে এবং একটা জাতি যদি আরেকটা জাতির উপর নিপীড়ন চালায় তাহলে আমি নিপীড়িত জাতিটার পাশে দাঁড়াবো। সেই নিপীড়িত জতির কোনো একজন মালিক যদি তাঁর কোনো কর্মীকে নিপীড়ন করেন তাহলে আমি সেই নিপীড়িত কর্মীর পাশে দাঁড়াবো। সেই নিপীড়িত কর্মী যদি বাড়ি ফিরে তাঁর স্ত্রী-কে নিপীড়ন করেন তাহলে আমি সেই নিপীড়িত মহিলার পাশে দাঁড়াবো। সামগ্রিকভাবে নিপীড়ন হলো আমার শত্রু।”
তাই, একটা আদ্যন্ত নিপীড়নমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থা যে এহেন একজন ব্যক্তির অস্তিত্ব, তাঁর আদর্শ ইত্যাদিকে ভুলিয়ে দিয়ে চাইবে সেকথা বলাই বাহুল্য।
তাই আসুন, রাষ্ট্রের সেই চক্রান্তকে ব্যহত করে দেওয়া যাক, অন্ততপক্ষে প্রতি বছর ১৭-ই সেপ্টেম্বর তারিখে তাঁকে স্মরণ করার মধ্যে দিয়ে, এছাড়াও বছরের অন্য যেকোনো সময়ে সুযোগ পেলেই, বা সুযোগ না পেলে সুযোগ তৈরি করে নিয়ে পেরিয়ার রামাস্বামী ও তাঁর কাজকর্মকে নিয়ে আরও বেশী করে চর্চার মাধ্যমে।