বাংলায় কুসংস্কার বিরোধী আইনের প্রস্তাবনা
সম্পাদক
Nov. 19, 2024 | | views :63 | like:1 | share: 1 | comments :0
প্রথমেই স্মরণ করা যাক পুনে- মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা, ডাক্তার নরেন্দ্র অচ্যুত দাভোলকরের (জন্ম ১৯৪৫ সালের ১ নভেম্বর)। ১৯৭০ সালে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি পান, তার পর থেকে ১৯৮২ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত একটি হাসপাতাল ও দু’টি ক্লিনিক চালাতেন। তার পর ১৯৮৩ সালে উনি হঠাৎই হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়ে গড়ে তোলেন "অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতি"র। শুধু মহারাষ্ট্রেই ২৩০টি শাখা বর্তমানে। তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
মন্ত্রতন্ত্র, তুকতাক, কালাজাদু, কুসংস্কার, দৈব চিকিৎসা, অলৌকিক শক্তিধর, নিরিহ মহিলাদের ডাইনি বলে দেগে দেওয়া ইত্যাদি বুজরুকির বিরুদ্ধে দাভোলকর, একটি কঠোর আইন প্রণয়ণের জন্য কাজ করছিলেন। কিন্তু, ২০১৩ সালের ২০ অগস্ট ভোরবেলা পুনেতে তাঁর বাড়ির সামনেই প্রাতর্ভ্রমণের সময় দু’জন বন্দুকধারী আততায়ী পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে চার রাউন্ড গুলি চালায় নরেন্দ্র দাভোলকরের উপর। দু’টি গুলি মাথায় লাগে। রক্তাক্ত অবস্থাতেই লুটিয়ে পড়েন তিনি এবং সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দাভোলকর যে আইনের জন্য কাজ করছিলেন সেই বিলটি বিধানসভার অধিবেশনে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু আলোচনার জন্য বিলটির কথা তোলাই হয়নি। দাভোলকর কিন্তু থামেননি। অধিবেশনে বিলটির প্রসঙ্গ এল সাত-সাত বার। এক বারও আলোচনার জন্য তোলা হল না। অবশেষে, জনগণের চাপে তাঁর হত্যার তিন দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৩ অগস্ট ২০১৩ বিলটি পাশ করানোর জন্য অর্ডিন্যান্স জারি করেন মহারাষ্ট্র সরকার এবং শেষ পর্যন্ত ওই বছরই ১৮ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্র বিধানসভায় পাশ হয়, " মহারাষ্ট্র প্রিভেনশন অ্যান্ড ইর্যাডিকেশন অব হিউম্যান স্যাক্রিফাইস অ্যান্ড আদার ইনহিউম্যান ইভিল অ্যান্ড অঘোরী প্র্যাকটিসেস অ্যান্ড ব্ল্যাক ম্যাজিক বিল-২০১৩ (The Maharashtra Prevention and Eradication of Human Sacrifice and other Inhuman, Evil and Aghori Practices and Black Magic Act, 2013)।
দাভোলকরের মৃত্যুর পর "ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান র্যাশনালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন" এর সভাপতি নরেন্দ্র নায়ক বলেছিলেন -“প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি যদি মনে করে থাকে আমাদের এক জনকে গুলি চালিয়ে খুন করে আন্দোলনকে স্তব্ধ করবে, তবে তারা ভুল করছে। অন্ধকারের বিরুদ্ধে লড়াই কখনওই থামে না, ব্যাটনটা হাতবদল হয় শুধু।"
কয়েকজন মুক্তমনা, যুক্তিবাদী আন্দোলনকর্মীরা পশ্চিমবঙ্গে, মহারাষ্ট্রের ধাঁচে একটা জোরালো বা কঠোর আইন প্রণয়ণের দাবীতে দীর্ঘদিন ধরে সরব। গত ৪ঠা এপ্রিল ২০১৭, কুসংস্কারবিরোধী আইন প্রস্তাবনা উদ্যোগ এর পক্ষে এই রাজ্যে কুসংস্কারবিরোধী আইন লাগু করার জন্য একটা খসড়া প্রস্তাব জমা দিয়েছে, রাজ্য আইন কমিশন, রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের দফতর এবং অন্যান্য জায়গায়। এনারা যে আইনটি আনতে চান তার নাম "The West Bengal Prevention of Superstition and Black Magic Practices Bill 2016"। আপাতত এই আইনটি লাল ফিঁতের ফাঁসে আটকে রয়েছে সরকারের উদাসিনতার কারনে।
সেই খসড়া প্রস্তাবটির সিডিউল ৩টে তেরোটা আইন মোতাবেক আদালত গ্রাহ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করার জন্য কুসংস্কারচর্চার একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে। যেমন-
১) ভূত অশুভ আত্মা প্রেতাত্মা বা ওই ধরনের কিছু তাড়ানোর অজুহাতে কোনো ব্যক্তিকে দড়ি শেকল ইত্যাদি দিয়ে বাঁধা ঝুলিয়ে রাখা, তাকে লাঠি জুতো ঝাঁটা চাবুক বা ওই ধরনের কোনো বস্তু দিয়ে মারা চুল ছিড়ে নেওয়া বা কেটে দেওয়া, গরম লোহার শিক বা ওই ধরনের কিছু দিয়ে ছেঁকা দেওয়া, যে কোনোভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা, শুকনো লঙ্কা জাতীয় জিনিস পুড়িয়ে তার গন্ধ শোকানো, অত্যাচারের ভয় দেখিয়ে নোংরা জল প্রস্রাব বিষ্ঠা বা ওই জাতীয় কোনো অখাদ্য কুখাদ্য খেতে বাধ্য করা, জুতো মুখে নিয়ে দৌড়ে যাওয়া, ওই জাতীয় সামাজিক মর্যাদা হানিকর কোনো কাজ করতে বাধ্য করা, প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্য যৌন হেনস্থা হয়রানি করা, অন্য যে কোনো মানসিক বা দৈহিকভাবে অস্বাস্থ্যকর কাজ করতে বাধ্য করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে।
কাউকে ভূতে ধরেছে বা অশুভ আত্মা বা অশুভ শক্তি ভর করেছে বলে প্রচার করাটাও এই আইনের আওতায় আসবে।
২) তথাকথিত অলৌকিক ক্ষমতা দেখিয়ে এবং / অথবা প্রচার করে জনসাধারণের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অর্থ জমি বাড়ি অলংকার সম্পত্তি ইত্যাদি আদায় /উপার্জন করা, ভয় দেখানো সন্ত্রস্ত করা প্রতারিত করা, শারীরিক /মানসিকভাবে ক্ষতিকর কোনো ক্রিয়া কলাপ করা এবং / অথবা অন্যকে প্ররোচিত করা অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে।
৩) অলৌকিক শক্তি বা ক্ষমতার অধিকারী হতে গিয়ে বা ওই ধরনের অতিপ্রাকৃত কোনো শক্তির আশীর্বাদধন্য হওয়ার / করার বাসনায় এমন কিছু করার বা অন্যকে প্ররোচিত করা যাতে ব্যক্তির শারীরিক / মানসিক ক্ষতি বা জীবনহানির আশঙ্কা থাকে, অপরাধ হবে এসব কাজ ও।
৪) জলের গোপন উৎস, গুপ্তধন, সোনাদানা, হীরে, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি অনুসন্ধানের নামে কোনো অমানবিক এবং / অথবা বৈজ্ঞানিকভাবে অপরীক্ষীত এবং / অথবা অস্বীকৃত কোনো কাজ / যাদু - করা বা কাউকে সেই ধরনের কাজ করতে প্ররোচিত / প্রলুব্ধ করা এবং সেই ধরনের কাজের প্রচার করা, যাতে কোনো ব্যক্তির শারীরিক /মানসিক ক্ষতি কিংবা অঙ্গ/ জীবনহানি হয় বা তার আশঙ্কা থাকে।
৫) কোনো ব্যক্তির অলৌকিক বা দৈবশক্তি আছে বা ওই ধরনের কোনো শক্তি ভর করেছে বলে প্রচার করে জনসাধারণকে ভীত - সন্ত্রস্ত করে তোলা, এমন প্রচারের দ্বারা মানুষকে আকৃষ্ট করে অর্থ, সম্পত্তি ইত্যাদি আদায় করা বা তার চেষ্টা করা এই তথাকথিত দৈবশক্তির প্রতি আনুগত্য না দেখালে বা ঘোষিত বিধান না মানলে সমূহ ক্ষতি হওয়া বা ক্ষতি করার ভয় দেখানো দণ্ডনীয় অপরাধ বলে আইনের আওতায় আনতে হবে।
৬) কোনো ব্যক্তি তথাকথিত ভূত নামানো প্রেত চর্চা ডাকিনিবিদ্যা চর্চা করে বা তার মাধ্যমে সে অশুভ শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, কুনজর কুদৃষ্টি দিয়ে বান মেরে মন্ত্রতন্ত্র বা অন্য কোনো ক্রিযকলাপের মাধ্যমে গবাদিপশুর মড়ক লাগানো, দুগ্ধবতী দুধ নিঃসরণ বন্ধ করা, অসুখবিসুখ ঘটনো থেকে শুরু করে নানাবিধ দুর্ভাগ্য ডেকে আনা এবং যেকোনো ক্ষতিসাধন করার অশুভ ক্ষমতা আছে বলে প্রচার করা, এবং ওই ব্যক্তিকে ডাইন বা ডাইনি শয়তানের অনুচর /দূত ইত্যাদি তকমা দিয়ে প্রচার করা, তার ওপর শারীরিক /মানসিক অত্যাচার চালানো, তাকে একঘরে করা, অর্থ জমি ইত্যাদি আদায় করা বা দখল করা, তাকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করা, তার ওপর হামলা এবং /অথবা তাকে হত্যার চেষ্টা।
৭) কোনো ব্যক্তিকে ডাইন বা ডাইনি বলে দেগে দিয়ে তাকে প্রকাশ্যে /অপ্রকাশ্যে নগ্ন করে হাঁকানো এবং তার ওপর যে কোনো ধরনের শারীরিক / মানসিক নির্যাতন চালানো।
৮) নখদর্পণ, থালা - বাটি চালা, কন্ছি চালা, আটার গুলি ইত্যাদির সাহায্যে চোর ধরা, অপরাধী শনাক্ত করা বা করার চেষ্টা বা ওই ধরনের দাবি / বিজ্ঞাপন দেওয়া বা সেই সূত্রে কোনো ব্যক্তির ওপর শারীরিক /মানসিক নির্যাতন করা বা তার প্ররোচনা দেওয়া।
৯) সাস, কুকুর, বিছে বা যে কোনো প্রাণীর কামড়ের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত, প্রতিষ্ঠিত ও স্বীকৃত পদ্ধতি এড়িয়ে, রোগীকে তা নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত / সাহায্য না করে /নেওয়ার ব্যাপারে বাধা দিয়ে ওঝাগুনিন, তান্ত্রিক প্রমুখের দ্বারস্থ হওয়ার প্ররোচনা দেওয়া এবং / অথবা ঝাড়ফুঁক, মন্ত্র তন্ত্র, বিষপাথর দিয়ে বিষ তোলা, ক্ষতস্হানে মুরগির পায়ু ঘষা, শেকড় বাকর ইত্যাদি দিয়ে /খাইয়ে বিষ নামানোর চেষ্টা ইত্যাদি।
১০) আঙুল বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়ে 'রক্তপাতহীন' অস্ত্রোপচার, গর্ভবতী মহিলার যৌনাঙ্গে হাত / আঙ্গুল ব্যবহার করে বা অন্য যে কোনো পদ্ধতিতে গর্ভস্থ ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ /পরিবর্তন করার দাবি করা।
১১) সন্তানধারণে ইচ্ছুক মহিলাকে ডিম, কলা বা অন্য কোনো বস্তু খাইয়ে, তন্ত্রমন্ত্র- এর সাহায্যে বা অন্য কোনো অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে এবং / অথবা তথাকথিত অলৌকিক শক্তির সাহায্য নিয়ে " সন্তানবতী" করার দাবি করা / চেষ্টা করা।
আলৌকিক ক্ষমতার সাহায্যে কোনো মহিলাকে সন্তানবতী করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তাকে প্রতারণা করা, যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা, যৌন নির্যাতন চালানো। তুকতাক ঝাড়ফুঁক মন্ত্রপূত জলপড়া তেলপড়া তাবিজ কবজ মাদুলি আংটি, তামা বা ওই জাতীয় ধাতু, পাথর, শিকড় বাকড়, মাটি মন্ত্র তন্ত্র, বিশ্বাস, প্রার্থনা ইত্যাদির মাধ্যমে শারীরিক /মানসিক চিকিৎসা করা /করার চেষ্টা করা / দাবি করা।
১২) কোনো ব্যক্তির শারীরিক / মানসিক বিকার, কোনো ব্যক্তি, প্রাণী বা বস্তুর ব্যতিক্রমী জৈব রূপ, সত্তা বা বাস্তবতার বহিঃপ্রকাশকে দৈব ঘটনা, ঈশ্বরের আবির্ভাব ইত্যাদি বলে প্রচার করা কিংবা সেই ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীকে " দৈবশক্তি সম্পন্ন বলে প্রচার করা এবং তার মাধ্যমে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করা, অর্থ আদায় করা, সেই ব্যক্তি, বস্ত বা প্রাণীর প্রতি আনুগত্য আদায় করা, তার ঘোষিত বা তার নামে ঘোষিত বিধিবিধান, আদেশ, উপদেশ জনসাধারণকে মেনে চলতে প্ররোচিত করা বা বাধ্য করা।
১৩) শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, জমিজমা, চাকরি, ব্যবসা, প্রেম, বিয়ে, দাম্পত্য কলহ, শত্রুদমন জাতীয় ব্যক্তিগত /পারিবারিক সমস্যার নিষ্পত্তি করতে তন্ত্রমন্ত্র, বশীকরণ, মুঠিকরণ, বানমারা, তুকতাক বা ওই ধরনের যে কোনো অবৈজ্ঞানিক (অপরীক্ষিত ও অপ্রমাণিত) পদ্ধতির সাহায্য দেওয়া, দাবি ও প্রচার করা, বিজ্ঞাপন দেওয়া।
অতিরিক্ত সংযোজন:-
(ক) ২৮ নভেম্বর ২০০১ সালে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বি.সি. প্যাটেল এবং বিচারপতি এ.কে. সিকরি র ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকার কে নোটিশ পাঠিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, অলৌকিক ক্ষমতা বলে অসুখ বা কোনো সমস্যা সমাধানের প্রলোভন দেখালে জ্যোতিষী, তান্ত্রিক, বিজ্ঞাপনদাতা ও বিজ্ঞাপন প্রকাশক প্রচার মাধ্যমের বিরুদ্ধে যেন "The Drugs and Magic Remedies (Objectionable Advertisement) Act 1954" অনুসারে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়। সে খবরের সংক্ষেপসার ভারতের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
(খ) ২২ জুন ২০০৩ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে - রেইকি বা স্পর্শ চিকিৎসা যাঁরা করেন, তাঁরা নিজের নামের আগে ' ডাক্তার ' শব্দটা কোনো ভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন না। কারণ এই চিকিৎসা পদ্ধতির কোনো সরকারি স্বীকৃতি নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রক স্পষ্ট করে এটাও জানিয়েছে যে, রেইকি সহ জেম থেরাপি, কালার থেরাপি, ম্যাগনেটোথেরাপি,আরোমা থেরাপি, মিউজিক থেরাপি ইত্যাদি তথাকথিত প্রতিটি চিকিৎসা পদ্ধতিই বে-আইনি এবং এইসব পদ্ধতি শেখানো কিংবা প্রয়োগকারী ব্যাক্তি কোনো ভাবেই নিজের নামের আগে 'ডাক্তার' শব্দটাকে ব্যবহার করতে পারবেন না। রইলো একটি খবরও।
State anti-superstition laws not enough. India needs a central law, focus on victim not crime
Cases of witch-hunting and human-sacrifices are part of systems of oppression that have been culturally and religiously legitimised for centuries.
ASTHA MADAN GROVER and SUSHOVAN PATNAIK
9 December, 2020 03:38 pm IST
India’s multi-ethnic identity makes it a nation of many superstitions. On November 15, a newspaper story reported how police rescued four minor boys in Assam suspected to be sacrificed in a ritual. Further, the National Crime Record Bureau (NCRB) data for 2019 revealed an overall rise in witch-hunting cases, with Chhattisgarh witnessing 22-witch-hunt related deaths in the past year.
In yet another instance in Odisha, in August 2020, a woman was killed after being impaled with a Trisul or a trident, a divine symbol in Hindusim, during a medical treatment by a self-proclaimed supernatural doctor. As a result in this case – JituMurumu @ SukulMurmu&Anr. v. State of Odisha – the Odisha High Court observed that existing state laws were inadequate to address the issue and emphasised on the urgent need for a central law instead.
Witch-hunting and broader superstition related crimes violate basic fundamental rights guaranteed under Article 14, 15, and 21 of the Indian Constitution. Such acts also violate several provisions of various International legislations to which India is a signatory, such as the ‘Universal Declaration of Human Rights, 1948’, ‘International Covenant on Civil and Political Rights, 1966’, and ‘Convention on the Elimination of All Forms of Discrimination against Women, 1979’.
Yet, despite constitutionally guaranteed fundamental rights and provisions in international legislations, the reality on the ground remains starkly different. A primary reason for this is the lacunae that exist in the Indian Penal Code (IPC).
For instance, the IPC only takes cognisance of human sacrifice after a murder is committed, and the physical torture that alleged ‘witches’ are subjected to is categorised as merely ‘simple hurt’. The accompanying mental trauma is completely ignored. Victims, therefore, find it hard to get justice and often withdraw their complaints due to societal pressure – letting perpetrators off the hook.
Given this context, several Indian states have recognised the need for special anti-witch-hunt laws since 1999. Yet, only a few have enacted them and the ones that have are wanting in implementation. This blog analyses the existing state laws and builds the case for a central law that takes reasons for the failure of implementation of state laws into account. It argues that for a central legislation to be effective, it must be grounded in the larger socio-cultural context, with adequate restorative measures for victims.
News Link- https://theprint.in/opinion/state-anti-superstition-laws-not-enough-india-needs-a-central-law-focus-on-victim-not-crime/563439/