সঙ্ঘ পরিবারের আসল চেহারা

অভিষেক দে


May 20, 2025 | | views :3 | like:0 | share: 0 | comments :0

অখণ্ড ভারত বা অখণ্ড হিন্দুরাষ্ট্র আদতে সম্পূর্ণ ভাঁওতা। আসল কথাটি হচ্ছে অখণ্ড ব্রাহ্মণরাষ্ট্র। এই ব্যপারে The All India BAMCEF নামক সংগঠনের সভাপতি Waman Chindhuji Meshram জানিয়েছেন, “হিন্দুরাষ্ট্র মানে শাস্ত্র অনুযায়ী ব্রাহ্মণদের সমস্ত জায়গায় আধিপত্য। তাই ব্রাহ্মণরা কখনওই  ‘ব্রাহ্মণরাষ্ট্র’এর দাবি করে না। একটু ঘুরিয়ে হিন্দু রাষ্ট্রের দাবি করে।”


যুগে-যুগে ব্রাহ্মণেরা প্রচার করেছে তারা সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বগুণসম্পন্ন। তারা সকল প্রকার দোষত্রুটির ঊর্ধ্বে। এক্ষেত্রে কিছু উদাহরণ দিলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। যেমন, চাণক্য বলেছেন, ব্রাহ্মণ যে অপরাধই করুক না কেন তাকে হত্যা করা বা শারীরিক দণ্ড দেওয়া চলবে না (সূত্র- অর্থশাস্ত্র ৪/৮/৯)। রামকৃষ্ণ দেবের মতে, ব্রাহ্মণ হলেই সব দোষ মাফ (সূত্র-শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভক্তসঙ্গে / ১৩ পরিচ্ছেদ, ১৮৮৪,১৯শে সেপ্টেম্বর)। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ছাড়া শূদ্র এবং শূদ্রের মত অন্যান্য মানুষদের বেদ পড়ার কোনও অধিকার নেই (সূত্র- গীতা ১৮/৪১ এর শঙ্করভাষ্য)। 


আজকের ব্রাহ্মণ রাষ্ট্র থুড়ি অখণ্ড হিন্দুরাষ্ট্রের দাবীদারদের চিন্তাধারা কেমন সেটা জানতে একটু তলিয়ে দেখতে হবে আমাদের। ‘আরএসএস’ বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক-এর প্রতিষ্ঠা ১৯২৫ সালে। প্রতিষ্ঠাতা ড: হেডগেওয়ারের পরে এম. এস. গোলওয়ালকর আরএসএস-এর পরিচালক হন। গোলওয়ালকর ১৯৪০ সালে এই দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত টানা ৩৩ বছর ‘আরএসএস’-এর পরিচালক এর দায়িত্ব সামলেছিলেন। 


১৯৩০-সালে সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সময় দেশবাসীকে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের তেরঙ্গা পতাকা বর্জনের আহ্বান জানিয়ে সত্যাগ্রহসহ ব্রিটিশ বিরোধী সমস্ত আন্দোলন থেকে দূরে থাকতে আহ্বান জানান কে. বি. হেডগেওয়ার। আরএসএসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নাথুরাম বিনায়ক গডসেকে ‘খাঁটি’ দেশপ্রেমিক বলা চলে। জীবনে কোনওদিন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ না নিলেও ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গান্ধীজীকে হত্যা করে বিজেপির চোখে হিরো হয়ে যায়। এখন ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। তার নামে হচ্ছে পাঠাগার থেকে মন্দিরও।


‘হিন্দুরাষ্ট্র’ বই-এর লেখক এবং হিন্দুত্ব আইডিওলজির জনক বিনায়ক দামোদর সাভারকর। ইংরেজ সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে (বিরোধীদের ‘মুচলেকা ম্যান’ আখ্যা পেয়েছেন) লেখেন যে তিনি আর কোনও দিনও ব্রিটিশ বিরোধী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেবেন না। দেশভক্তির কী আশ্চর্য নমুনা! 


১৭ ডিসেম্বর, ১৯৬০ সাল। গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেলেন আরএসএস-এর দ্বিতীয় সঙ্ঘচালক এম. এস. গোলওয়ালকর। সেখানে তিনি বলেন- “আজ ক্রস-ব্রিডিংয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেবল প্রাণীদের উপর করা হয়। কিন্তু মানুষের উপর এ জাতীয় পরীক্ষা করার সাহস আজকের তথাকথিত আধুনিক বিজ্ঞানীও দেখাননি।........যে কোনও শ্রেণির বিবাহিত মহিলার প্রথম সন্তান অবশ্যই নাম্বুদিরি ব্রাহ্মণ দ্বারা জন্মগ্রহণ করা উচিত এবং তারপরে তিনি তার স্বামী দ্বারা সন্তানের জন্ম দিতে পারেন।”

পরবর্তী কালে ‘আরএসএস’-এর মুখপাত্র ‘অর্গানাইজার’ পত্রিকাতে ১৯৬১ সালের ২ জানুয়ারী ৫ নম্বর পৃষ্ঠাতে এই খবরটি ছাপা হয়েছিল। উনি আরও বলেছিলেন, “হিন্দুরা ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করে তোমাদের শক্তি খরচ না করে আসল শত্রু মুসলমান, খ্রিস্টান আর কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করো।”











এবারে বিজেপির কট্টর হিন্দুত্ববাদের মুখ যোগী আদিত্যনাথের কথা কিছু জানাই। উনি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ শপথ গ্রহণ করেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (NCRB) তথ্যানুযায়ী যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ইস্তক উত্তরপ্রদেশ দলিত ও নারী নির্যাতন চরমে যার উল্লেখ প্রথমে করেছি। এনার বক্তব্য ও আচরণ দেখলে মনেই হবে না ইনি কোনও অহিংসবাদী, শান্তসৌম্য যোগী, বরং উগ্রভাবাপন্ন, ফ্যাসিবাদী একজন ভোগী বলাই শ্রেয়। অনেকে ওনাকে উত্তর কোরিয়ার কিম উন জং-এর সাথেও তুলনা করেন। কারণ, যোগী আদিত্যনাথ-এর আপন দেশে আইন কানুন বড়ই  সর্বনেশে। ০১/১০/২০২০-আনন্দবাজার অনলাইন থেকে জানা যাচ্ছে, যোগী আদিত্যনাথের মুখ্যমন্ত্রীত্বের প্রথম দু’মাসে উত্তরপ্রদেশে ৮০৩টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালের জুলাই। যোগী সরকারের বয়স তখন মাত্রই চার মাস। আগস্ট ২০২০ তে অগস্টে প্রকাশিত NCRB রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যা ৫৯,৮৫৩। যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। এর মধ্যে ধর্ষণের মামলার সংখ্যাই ৩,০৬৫টি। অর্থাৎ গড়ে দৈনিক প্রায় ১১ জন মহিলা ধর্ষিতা হন ওই রাজ্যে। রিপোর্ট বলছে, এদের মধ্যে ৩৪ জনকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। ২০১১ সালে, ডকুমেন্টারি ফিল্ম জাফরান যুদ্ধ - হিন্দু ধর্মের র‌্যাডিকালাইজেশন ও ঘৃণ্য বক্তৃতার মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক বিভেদ প্রচার করার জন্য আদিত্যনাথকে অভিযুক্ত করেছিল (“How Yogi Adityanath Made it to Where He Is” ‘The Wire’ 09/02/2019)।


বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছেন উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের গোরখনাথ মঠের মুখ্য পুরোহিত বা মোহন্ত যোগী আদিত্যনাথ। ছাত্রাবস্থা থেকেই এই যোগী ছিল জাতপাত ও বর্নভেদের ঘোর সমর্থক। সাথে চরমতম নারী ও মুসলিম বিদ্বেষী। মুসলিম নারী সম্পর্কে তার বিস্ফোরক মন্তব্য যা ২০১৪ সালে করেন – “কবর থেকে তুলে মুসলিম মেয়েদের ধর্ষন করা হবে।” এখনও পর্যন্ত যোগীর বিরুদ্ধে ৬২ টি দাঙ্গা বাঁধানোর অভিযোগ, ১৭ টি খুনের অভিযোগ (যার মধ্যে ৮ টি দলিত পরিবারকে খুন) রয়েছে (সূত্র- উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনিক রিপোর্ট -- ০৩/০২/১৬, দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকা)। দলিতদের প্রতি আদিত্যের ভাবনা অতি ভয়ংকর। “দলিতরা দাস হয়েই জন্মেছে, তাই দাসত্ব করাই তাদের পবিত্র কর্তব্য” (সূত্র- ১৯৯৫/৮/৩ - টাইমস অফ ইন্ডিয়া, লক্ষ্ণৌ সম্মেলনের বক্তব্য)। দলিত নারী সম্পর্কে তার বক্তব্য- “দলিত নারী ধর্ষন করা পাপ নয়, কারণ তার শরীর অপবিত্র হলেও যোনি অপবিত্র নয়”(২০০১/১/১৩, গোরক্ষনাথ মঠে বসে বলেন যা বর্তমান পত্রিকায় “সন্ন্যাসাশ্রম ও আদিত্যের মানব ভাবনা” শিরোনামে প্রকাশিত)। যোগীবাবুর অনুপ্রেরণা পেয়েই হয়তো ২০২০ সালে আমরা দেখেছি মণীষা বাল্মীকির ধর্ষণকান্ড এবং প্রমাণ লোপাট করতে রাতের অন্ধকারে ধর্ষিতার দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা। 


রাজনীতিতে অংশ গ্রহন করা তথা নারী সংরক্ষন নিয়ে বিজেপি পশ্চিমি প্রভাবে নরম মনোভাব দেখাচ্ছে বলে রীতিমত খোলা চিঠি দিয়ে সাংসদ পদ আর দল থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ২০১৫ সালে। তিনি সেই খোলা চিঠিতে লিখেছিলেন- “নারী আর পুরুষকে মোটেই সমান করে তৈরি করা হয়নি। মেয়েদের ঠাঁই হলো রান্ন ঘরে, পুরুষদের দেখাশুনা করার জন্য।” ২০১০ সালে যখন মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষন বিল পাশ করার কথা ওঠে, তখন তিনি বলেন- “আমাদের হিন্দুশাস্ত্রে (পড়ুন মনুসংহিতা) নারী স্বাধীনতার কথা বলা হয়নি, নিয়ন্ত্রনের কথা বলা হয়েছে। মেয়েদের সত্যি সত্যি স্বাধীনতার প্রয়োজন নেই। এতে ওরা স্বেচ্ছাচারী হয়ে সমাজ ধ্বংস করবে।” 


বিজেপির এই অখণ্ড ভারত বা হিন্দুরাষ্ট্র (পড়ুন ব্রাহ্মণ রাষ্ট্র) গঠনের তীব্র ইচ্ছে যা উচ্চবর্ণের আদেশ মেনেই সেটি করবার মূল উদ্দ্যেশ্য পুরোপ্রদেশে মনুসংহিতার শাসন লাগু করা। এই মনুসংহিতা বা মনুস্মৃতিতে রয়েছে মোট ২,৭০০টি শ্লোক এবং ১২ টি অধ্যায় যা খুব মন দিয়ে পড়লেই বোঝা যায় এতে ছত্রে ছত্রে আছে নারী ও শুদ্রদের প্রতি নির্যাতন ও বিদ্বেষের স্পষ্ট সুর। ১৯২৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর  বাবাসাহেব ড. ভীমরাও আম্বেদকরের নেতৃত্বে ‘মনুস্মৃতি’ পুড়িয়ে দিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনা যা প্রমাণ করে। বিজেপি, আরএসএস এর প্রিয় গোলওয়ালকর, সারভারকার, মোহন ভাগবত কিংবা যোগী আদিত্যনাথ এই মনুসংহিতার শাসনকেই প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। এই হিন্দুধর্মীয় আইনি শাসন গ্রন্থকে অস্ত্র করে ফের তারা সতীদাহপ্রথা, স্তনকর, বাল্যবিবাহ, নির্বিচারে দলিত হত্যা, নারীকে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে গৃহবন্দী রাখা, দেবদাসী প্রথা, বিধবাবিবাহ রোধ ইত্যাদি করে মধ্যযুগ ফিরিয়ে আনতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তাই তাদের ব্রাহ্মণরাষ্ট্র থুড়ি অখণ্ড হিন্দুরাষ্ট্র চাইই চাই। 


হিন্দুধর্মে জাতপাত এর স্রষ্টা জৈবলি, উদ্দালক ও আরুণি এবং আরুণি শিষ্য যাজ্ঞবল্ক্য যাদের উত্তরসূরি সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যরা  হিন্দুধর্মের সবচেয়ে বড় হাস্যকর দিক হচ্ছে হিন্দুদের চারবর্ণে বিভক্ত করবার পরে এখন মোহন ভাগবত থেকে নরেন্দ্র মোদীর গলায় শোনা যাচ্ছে- ‘সকল হিন্দু এক হও।’ যদি এক হওয়াই লক্ষ্য ছিল তাহলে ভাগাভাগি কেন? পৃথিবীর অন্যান্য দেশে দাস-বিদ্রোহের আগুন জ্বলতে দেখেছি কিন্তু ভারতে জ্বলতে দেখিনি। এই মহান দেশে দাস-বিদ্রোহের আগুন জ্বলতে দেয়নি জন্মান্তরবাদের জলকামান। যে ধর্ম একশ্রেণীর মানুষকে শ্রেষ্ঠ আর একশ্রেণীকে অস্পৃশ্য, অচ্ছুৎ করে রাখে সে ধর্ম, ধর্ম নয় বরং ক্রীতদাস বানিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র। 


গণদাবী পত্রিকায় (৭০ বর্ষ ৩৬ সংখ্যা ২৭ এপ্রিল, ২০১৮) একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশিত হয়েছে। “জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ বরাবরই বিজেপি করে থাকে৷ এবার যাতে সেই অভিযোগ তুলতে না পারে সে জন্য উক্ত দলিতরা স্বেচ্ছায় বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের ফর্ম পূরণ করে জেলাশাসকের দপ্তরে জমা দিয়েছেন৷ স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, দলিত অপমানের প্রতিবাদে এই ধর্ম পরিবর্তন। অর্থাৎ দলিতদের কাছে এই ধর্মান্তর আসলে প্রতিবাদ আন্দোলনের একটা রূপ।” এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো, বাবা সাহেব আম্বেদকর, ১৯৫৬ সালের ১৪ অক্টোবর নাগপুরে প্রায় পাঁচ লক্ষ নিম্নবর্গীয় বা দলিত মানুষকে সঙ্গে নিয়ে হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধধর্মকে গ্রহণ করেছিলেন। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে অক্টোবর ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের লখনৌতে যেখানে ১৫ হাজার দলিত,আদিবাসী মানুষেরা, হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধ ধর্মকে গ্রহণ করেছে।


পরিশেষে, অখণ্ড হিন্দুরাষ্ট্র বা অখণ্ড ভারত কিংবা অখণ্ড ব্রাহ্মণ রাষ্ট্রের কট্টর সমর্থকদের উদ্দ্যেশ্যে কিছু কথা জানিয়ে লেখার ইতি টানবো। 

কট্টর ইসলামিক দেশ হিসেবে চিহ্নিত ‘সুদান’ তাদের রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’কে ত্যাগ করে “ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র”তে পরিণত হচ্ছে। বাস্তব এটাই যে, আধুনিক পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রই কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই পরিণতিতে পৌঁছবে, আজ, কাল কিংবা পরশু। এটাই ভবিতব্য। একটি রাষ্ট্রের সংখ্যাগুরু জনগণের ধর্ম যা-ই হোক না কেন, আধুনিক পৃথিবী যেহেতু গণতন্ত্রের, ধর্মমুক্তির, যুক্তিবাদ, বিজ্ঞান, বিজ্ঞানমনষ্কতার। তাই কেউ যদি গায়ের অথবা গলার জোরে এসব অস্বীকার করে, তাহলে অস্তিত্ব-সংকট তারই। মোটেই গণতন্ত্র, ধর্মমুক্তি, বিজ্ঞানমনষ্কতা অথবা যুক্তিবাদের নয়। আমাদের প্রতিবেশী, ছোট্ট এবং গরিব দেশ নেপাল এই সত্য কথাগুলো অনেক আগেই বুঝেছিল বলেই বেশ কয়েক বছর আগে হিন্দুরাষ্ট্র (হ্যাঁ, পৃথিবীর একমাত্র হিন্দুরাষ্ট্র ছিল নেপাল) থেকে ধর্মনিরপেক্ষতায় আশ্রয় নিয়েছিল। ভারতকেও একদিন এই পথেই আসতে হবে। হবেই।


আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86929