তাদের নিজেদের ধর্মই ‘শ্রেষ্ঠ’

অমিত মণ্ডল


May 20, 2025 | | views :3 | like:0 | share: 0 | comments :0

‘সবই ব্যাদে আছে’। ‘বিজ্ঞানময় কোরআন’। ‘scientific facts in Holy Bible’… 

এই কথাগুলো শুনতে-শুনতে কান পচে গেলো। প্রায় সকল ধর্মের ধ্বজাধারীরাই আজকাল এই কথা বলে থাকেন। উদ্দেশ্য একটাই, আর তা হলো এটা প্রমান করা যে, তাদের নিজেদের ধর্মই “শ্রেষ্ঠ”। একমাত্র তাদেরই ধর্ম ঈশ্বরের বাণী, আর সব ধর্মই ভুয়ো, মানুষের বানানো। নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রচারই করাই একমাত্র উদ্দেশ্য যদি হতো, তাও ক্ষমা ঘেন্না করে মেনে নিতাম। একটু তলিয়ে দেখলেই আসল উদ্দেশ্যটা পরিষ্কার হয়। 


সাধারনত, মানুষ অবাক হতে খুব ভালোবাসে। সেই আদিম যুগ থেকে মানুষ অবাক হয়ে আসছে। মানুষ অবাক হয়েছে চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারা দেখে। মানুষ অবাক হয়েছে ঝড়, বৃষ্টি আর বজ্রপাত দেখে। মানুষ অবাক হয়েছে সজীব আর নির্জীব পদার্থের পার্থক্য দেখে। অবাক হতে হতে হেদিয়ে পড়ে, যখন সকল ঘটনার কারণ খুঁজতে গেছে, তখন পদে-পদে ব্যর্থ হয়ে এক অসীম শক্তিশালী ঈশ্বরের কল্পনা করেছে। এতে একটা সুবিধা আছে। যেমনি কোনও ঘটনার ব্যাখ্যা পাওয়া গেলো না, ওমনি ঈশ্বরের ঘাড়ে চাপিয়ে দাও। সূর্য কেনো ওঠে? ঈশ্বরের ইচ্ছে। ‘চাঁদটা কেনো বাড়ে কমে, জোয়ার কেনো আসে’? ঈশ্বরের ইচ্ছে। রোগ অসুখ কেনো হয় থেকে শুরু করে জন্ম, মৃত্যু সব কিছুই ঈশ্বরের ইচ্ছে ধরে নিয়েই চলতে থাকলো। যদি জানতে চান, এই Adam আর Eve এরা আকাশ থেকে পড়ল, আর যীশু জন্ম নিলেন মাতৃগর্ভে কেনো? তার উত্তর ঈশ্বরের ইচ্ছে। আবার যদি জানতে চান, এক নিষ্পাপ শিশু বিকলাঙ্গ জন্ম হলো কেনো, তার উত্তর হবে আল্লাহই ভালো জানেন। 

কিন্তু ধীরে ধীরে এই অবাক হওয়া মানুষগুলোর মাঝে, কিছু মানুষ যখন এই প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোর, প্রাকৃতিক আর যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যা দিতে আরম্ভ করলো, তখন এই ঈশ্বরের বিশ্বাসে ভাঁটা পড়ল। ঈশ্বরের প্রয়োজনীয়তা, তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশের প্রয়োজনীয়তাও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করলো। কিছু মানুষ ঈশ্বরের অস্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করলো। মানুষ বুঝতে শিখল ঈশ্বরের উপর ভরসা না করে ঘটনাবলীর প্রাকৃতিক কার্যকারণ ব্যাখ্যা করার সুবিধা অনেক বেশি। ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস করে, তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে তাকে বিভিন্নভাবে খুশি করার চেষ্টা করে, সব সময় যে সুফল পাওয়া যায় না, তা মানুষ আগেই বুঝেছে। ঈশ্বর যে খুশি হলো কিনা তা বোঝার কোনও নির্ভরযোগ্য উপায়ও নেই। তার থেকে বরঞ্চ যুক্তি দিয়ে বুদ্ধি দিয়ে প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর একটা প্রাকৃতিক ব্যাখ্যা জানতে পারলে সুবিধা অনেক বেশি। এবারে বর্ষা হবে কিনা, সেটা ঈশ্বরের ইচ্ছের উপর না ছেড়ে নিজে নিজে অন্বেষণ করা বুদ্ধিমানের কাজ। আর এভাবেই ধীরে ধীরে মানুষ এগিয়ে চলল প্রাকৃতিক বিশেষ জ্ঞানকে হাতিয়ার করে। একসময় যা ছিল কল্পনার অতীত, অথবা একসময় মানুষ যে দিব্যাস্ত্র বা অলৌকিক যানের কল্পনা করেছে তাই আজ বাস্তব। যে অসুখের নিরাময়ের জন্য একসময় মন্ত্র পড়ে, কলমা পড়ে, মন্দিরে-মসজিদে হত্তা দিয়ে পড়ে থাকলেও কোনও লাভ হয়নি, সামান্য অ্যান্টিবায়োটিকের পাঁচদিনের course করে ভালো হয়ে গেছে।

মোদ্দা কথাটা হল ঈশ্বরের ব্যবসা লাটে উঠেছে।

কিন্তু একটা প্রশ্ন সকল মানুষই তো বিজ্ঞানের উন্নতির প্রত্যক্ষদর্শী। সকলেই তো হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে যে বিজ্ঞানের উপর ভর করেই আজকে আমাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে। প্রত্যেকেই একথা অকপটে স্বীকার করবে যে, নগর জীবন ছেড়ে মানুষকে যদি বনে জঙ্গলে বাস করতে হতো তাহলে প্রাণটা বাঘের থাবায় বেঘোরে হারানোর সমূহ সম্ভাবনা ছিল। তাহলে কিছু মানুষ এখনও ধর্মের ধ্বজাধারী কেন? কেন অনেক মানুষ এখনও ওই প্রয়োজনহীন ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস আঁকড়ে ধরতে চায়? এখনও কেন মানুষ প্রমাণ করতে চায় ধর্ম সত্য, ঈশ্বর সত্য আর ঈশ্বর ভয়ানক হলেও তাকে যারপরনাই ভালোবাসে? কেন মানুষ এটা প্রমাণ করতে চায় যে, যে ঈশ্বর তাকে গরম তেলে মুচমুচে আলু ভাজার মতো ডিপ ফ্রাই করবে সেই ঈশ্বর ক্ষমাশীল ও দয়ালু। যে ঈশ্বর ইহকালে কোনও সুযোগ সুবিধাই দিতে পারে না, সেই ঈশ্বরই পরলোকে মানুষকে চরম সুখে রাখবে, এই অযৌক্তিক চিন্তা থেকে মানুষ কেন বের হয়ে আসতে পারে না, বা আসতে দেওয়া হয় না?

সাধারণ মানুষ যদি যুক্তিবাদী শিক্ষিত হয়ে ওঠে তারা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে। তারা শাসকগণকে প্রশ্ন করে, “রাজা তোর কাপড় কোথায়?” তারা চায় শিক্ষার অধিকার। তারা চায় সুস্বাস্থ্যের অধিকার। তারা চায় মানুষের মতো বাঁচার অধিকার। 

আর সাধারন মানুষকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখতেই একসময় সর্বশক্তিমান অদৃশ্য এক ঈশ্বরের ভয় দেখিয়ে ছিল ওই শাসকগোষ্ঠী। ব্যাপারটা এরকম যেন এই জীবনটা তোমার পরীক্ষা এখানে যতই কষ্ট পাও নিজের অধিকারের জন্য চেঁচামেচি করো না। তাঁকে ভয় করো। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। তিনি তোমাকে এই কষ্টের জীবন থেকে মুক্তি দেবেন। তিনি তোমাকে খুবই ভালোবাসেন। কিন্তু যদি নিজের অধিকার নিয়ে চেঁচামেচি করো, তাহলে নরকেও ঠাঁই হবে না। 

এই একবিংশ শতাব্দিতেও দেখছি সেই আদিম কৌশল খাটানোর নিরলস প্রচেষ্টা। এই কৌশলের সুবিধাটি এই যে, মানুষের চোখে যতদিন এই ধর্ম নামক পর্দা আছে ততদিন মানুষ অন্ধকূপে সুখে জীবন যাপন করবে। এই ধর্মের মোহ সরে গেলে, মানুষকে বিভাজন করে ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করা দুঃসাধ্য। একজন নেতার পক্ষে এটা প্রতিশ্রুতি দেয়া অনেক সহজ যে একটা মন্দির বা মসজিদ বানিয়ে দেবেন। সময়মতো সেই মন্দির বা মসজিদ বানিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষাও করা যাবে। কিন্তু স্কুল বানানো কি চাট্টিখানি ব্যাপার? এই শিক্ষক আনো রে, এই বই আনো রে, এই বেঞ্চ আনো রে। আবার সেই বিদ্যালয় থেকে বেরোনো শিক্ষিত ছাত্রই হয়তো একদিন প্রশ্ন করে বসলো, “রাজা তোর কাপড় কোথায়”। বড্ড risky ব্যাপার হতে পারে। সেদিক থেকে মন্দির বা মসজিদ বানানো নিরাপদ। মন্দিরের দেবতা সে প্রশ্ন করে না। 

এখন এই প্রয়োজনহীন ধর্ম বিমুখ মানুষকে ধর্মের ছত্রছায়ায় ফিরিয়ে আনা যায় কিভাবে? যে বিজ্ঞানের উপর আমাদের এত ভরসা সেই বিজ্ঞানকে যদি ব্যবহার করা যায় তা হবে এক অব্যর্থ হাতিয়ার। আর ওই যে আগেই বললাম মানুষ অবাক হতে ভালোবাসে। সেই সুযোগ নিয়ে বিজ্ঞানের বড় বড় বুলি আউড়ে সাধারণ মানুষকে হতবাক করা খুব কঠিন কাজ কিছু নয়। তারা বিজ্ঞান বুঝুক বা না বুঝুক, মহাবিশ্বের কোনও একটা ছবি দিয়ে তাকে শিবলিঙ্গের সাথে তুলনা করতে পিছপা হয়না। আবার চাঁদে বসে আজান শোনার মত হাস্যকর ঘটনা জনসমক্ষে বলতে এদের ঠোঁট কাঁপে না। একদিকে কোন ধর্মের ধর্মগুরু যেমন গোমাংস বিক্রেতার হত্যাকে ‘Justify’ করে, অন্যদিকে তেমনি অন্য ধর্মের ধর্মগুরু, ধর্ম অবমাননার অপরাধে মানব হত্যাকে ‘glorify’ করে।

এই সকল ধর্মের ধর্মগুরু উদ্দেশ্য একটাই, আর তা হলো মানুষকে বোকা বানানো। অনেক ক্ষেত্রেই এরা সরকারের মদদপুষ্ট। যারাই একটু নামকরা ধর্মগুরু তারাই বেশ ধনী। শুকনো কাঠের মত খেতে না পাওয়া অপুষ্টিতে ভোগা ধর্মগুরু কোনদিন চোখে পড়ে না।

এই নধরপুষ্ট ধর্মগুরুরা যেসব সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ আত্মসাৎ করে দিন দিন ফুলে-ফেঁপে ওঠে, সেই সব সাধারণ মানুষকে আমি দোষ দেই না। তাদের জন্য আমার একরাশ সহানুভূতি। এই সহানুভূতির কারণ তাদের অবস্থাটা আমি বুঝি। 

ভাবুন একবার, আপনি ছোটবেলা থেকে একটা অলৌকিক ঈশ্বরের গল্প বারংবার শুনে এসেছেন, তার উপর আস্থা রেখেছেন। জীবনের নানা ওঠা পড়ার কারণ হিসেবে সেই অলৌকিক কাল্পনিক স্বত্বাকে দোষ দিয়েছেন। যখনই কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে, আপনি আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়েছেন এই বলে,  “হা ঈশ্বর! এমনি কেন করলে!” কোন ঝামেলায় পড়লে হিন্দি সিনেমার নায়ক এর মতো বলেছেন, “ইয়া আল্লাহ পরোয়ার দিগার, মদত!” এই বিশ্বাস নিয়ে যে, কেউ সাহায্য করবে। এখন শৈশব থেকে তিল তিল করে জমানো এই বিশ্বাস, মনের মধ্যে ঠুসে ঠুসে ভরা এই পরনির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসা সহজ নয়। সেটা আমিও বুঝি। খাঁচায় বন্দি পাখি যে আকাশ কখনও দেখেনি, কোনদিন উড়তে শেখেনি, তাকে হঠাৎ করে একদিন যদি অনেক উঁচু থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে সে ভয় পাবেই। 


তাহলে কি এই ধর্মান্ধতা আঁকড়ে ধরে থাকা যুক্তিযুক্ত? মোটেই না! ঈশ্বরে বিশ্বাস মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করা ছাড়া আর কোনও কাজে আসে না। মানুষকে শোষণ করা ছাড়া আর কিছুই শেখায় না। মাথার উপরে কেউ আছে আমি একা নই, এই ভাবনাগুলো মানুষকে প্রশান্তি দিলেও, মানুষকে আত্মনির্ভর হতে শেখায় না। 

তাহলে প্রতিকারের উপায় কি? শেষ অংশে সেই কথাই বলব। ‘সবই বেদে আছে’ অথবা ‘বিজ্ঞানময় কোরআন’ এই কথা বলার আগে একটা কথা ভাববেন। কথাটা হল সবই বেদে বা কোরআনে যদি থেকেও থাকে, তাতে আমাদের কি কোন লাভ হয়? ধরে নিলাম আপেক্ষিকতাবাদের ধারণা বেদে বা কোরআনে বা বাইবেলে গল্পের আকারে বা রূপক অর্থে বলা আছে। কিন্তু তাতে লাভটা কি হচ্ছে? আপনিতো বেদ বা কোরআন পড়েছেন। বলুন তো, একটা স্যাটেলাইটের ঘড়ি প্রতিদিন কতটা adjust করতে হবে যাতে সেই satellite সঠিক ভাবে কাজ করে? অথবা নিউমোনিয়া রোগের অব্যর্থ ওষুধ কি? অথবা dark matter বা dark energy কে শনাক্ত করতে হলে ঠিক কোন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে? অথবা মাতৃগর্ভে শিশুর জিন বাহিত কোনও অসুখ নিরাময়ের উপায় কি?

আশ্চর্যজনকভাবে দেখবেন ধর্ম এ বিষয়ে নিরব। আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেন, এই যে ধর্মগ্রন্থে এই কথাটি লেখা আছে, এটা কি বিজ্ঞান তখন জানতো?!! তাদেরকে আমিও পাল্টা প্রশ্ন করি, এই কথাটা যে মানুষ প্রথম আপনাকে জানালো তাকে কে জানালো? বিজ্ঞান কি তখন জানতো? যেমন ধরুন general and special theory of relativity আইনস্টাইন এর আগে কেউ কি সেই ভাবে এই তথ্য কে উপস্থাপন করেছিলেন? তাহলে তিনি জানলেন কিভাবে? নিশ্চয়ই এই জ্ঞান অর্জনের জন্য ঈশ্বরের প্রয়োজন হয়নি? তার থেকেও বড় কথা বিজ্ঞানের এই জ্ঞান আমাদের কাজে লাগে। নিউটনের তিনটি গতিসূত্র এর উপর ভর করেই আমরা বহু সমস্যার সমাধান করেছি। ধর্ম তো যুগ যুগ ধরে আছে, কিন্তু মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে তখনই যখন মানুষ আর সেই কাল্পনিক ঈশ্বরের ইচ্ছের উপর নির্ভর না করে, স্বাবলম্বী হতে শিখেছে। 

‘বিজ্ঞানময় কোরআন’ বা ‘সবই বেদে আছে’ এই কথা বলার উদ্দেশ্য হলো এটা প্রচার করা যে, এই সকল ধর্মগ্রন্থ ঈশ্বরের বাণী। আমরা সবাই বিনাপ্রশ্নে বিনা বাক্যব্যয়ে ধর্মগ্রন্থের বাকি প্রত্যেকটি কথা মেনে নিয়ে আসুন আমরা অন্ধ হই, আসুন আমরা পরনির্ভর হই, আসুন আমরা অশিক্ষিত হই, আসুন আমরা মূর্খ হই, আসুন আমরা শোষিত হই।


আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86929