দ্রোহ
প্রিয়াঙ্কা মাইতি পাল
এ দেশে হত্যা মৃত্যুও,
নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না।
রাজনীতির মর্গে শুইয়ে রেখে,
ছিন্নভিন্ন শবেদেহের ব্যবচ্ছেদ চলে।
শাসকের গদি মজবুত হয়,লাস পচে গলে।
পৈশাচিক আনন্দে আত্মহারা বিবেকের মৃত্যু হয়।
এখন ভাইয়ের রক্ত ভাইয়ের রুজি রুটি জোগায়।
হানাহানি, হিংসার গ্রাসে
সভ্য সমাজ উদরপূর্তি করে।
উন্মত্ত ওরা রক্তের ঋণ ভোলে।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নগ্ন সন্ত্রাসবাদে
স্বার্থসচেতন সমাজে ধর্মের ধ্বজা ওড়ে,
ভোট বাক্সে ব্যালট আর বুলেটে সখ্যতা বাড়ে।
জনগণ সার্কাস দেখে, নয়তো দলে নাম তোলে।
স্তাবকতা আর মোসাহেবি!
গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের নামে,
ভোট উৎসব আর প্রহসন চলে।
রক্ষক অচিরেই ভক্ষকে পরিনত হয়
পদপিষ্ট পদলেহী জমানা ইতিহাস গড়ে,
সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে সিলমোহর পড়ে।
মানুষ তো আজীবন দাসত্বকেই উপভোগ করে!
এ সভ্যতা শ্বাপদ সঙ্কুল।
অস্তিত্বের সংকট!প্রাণ সংশয়!
এ পৃথিবী শিশুর বাসযোগ্য নয়।
মন্দিরে বানিজ্যিক স্বার্থ চরিতার্থ হয়।
মসজিদে ভক্তির পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন চলে।
ধর্মের আঁতুড় ঘরে ওরা সন্ত্রাসের জন্ম দেয়।
ক্ষমতালোভী বর্বরতায় সযত্নে ভয় লালন করে!
বলতে দ্বিধা নেই আজ,
জন্মেছি অশিক্ষিতের দেশে।
এ মানব জাতি ধর্মান্ধতার ফসল!
এই সমাজ দিগ্বিদিক শূন্য বহুকাল!
মহামানবের জীবনদর্শন প্রতিভাত হয়,
পুঁথিগত অসার জ্ঞানের উপঢৌকন বেশে।
'আমির' বাড়বাড়ন্তই আজ 'আমিত্বে'র অবক্ষয় !