গল্পের ফাঁকফোঁকর : অলৌকিকতা নাকি বুজরুকি?

Guitar K Kanungo


Jan. 12, 2025 | | views :78 | like:3 | share: 0 | comments :0
অলৌকিকতা ছাড়া সম্ভবত  সব ধর্ম অর্থহীন। ঈশ্বর অলৌকিক তো বটেই, যারা সেই ঈশ্বরের বাণী প্রচার করতে আসেন তাদের অনেক কর্মকান্ড ও  অলৌকিক। এই সমস্ত অলৌকিক কর্মকান্ডকে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা না গেলেও এসব ধর্মে যার আস্থা স্থাপন করেছে তারা এই ঘটনাগুলোকে কোন প্রশ্ন ছাড়াই গ্রহণ করে। ব্রিটিশ গণিতবিদ জন সি লেনক্স তাঁর "ক্যান সাইন্স এক্সপ্লেইন এভরিথিং" গ্রন্থে যথার্থই প্রশ্ন তুলেছেন বিজ্ঞান কি সবকিছু ব্যাখ্যা করতে পারে? পারে না - বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে কিন্তু আবার একথাও তো ঠিক আজ থেকে পাঁচশ বছর আগে বিজ্ঞান যা ব্যাখ্যা করতে পারত না, এখন সেটা পারে। আগামী পাঁচশ বছর পরে এমন কিছু ব্যাখ্যা করতে পারবে যেটা ঠিক এই মুহূর্তে ব্যাখ্যা করতে পারছে না।  

পৃথিবীর প্রধান প্রধান ধর্মগুলোর এমন কিছু ঘটনার কথা আমাদেরকে শোনানো হয়েছে যেগুলো যেসময় ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে, সেই সময় ঠিকঠাক ব্যাখ্যা করা না গেলেও এখন কোনো রকম প্রশ্নের উদ্রেক না করেই সেগুলো ব্যাখ্যা করা যায়। ধারণা করা হয়, প্যালিওলিথিক যুগে (প্রায় ১,০০,০০০ থেকে ৩০,০০০ বছর আগে) প্রথম মানুষের ধর্মবিশ্বাস বিকশিত হয়েছিল। এই সময়ে মানুষের মধ্যে অতিপ্রাকৃত অনুভূতির প্রকাশ ঘটতে শুরু করেছিল। নৈমিত্তিকভাবে ঘটে চলা অনেক ঘটনাই সেই সময়ের মানুষের কাছে অলৌকিক মনে হত, যেহেতু সেই সমস্ত ঘটনার কারণ তাঁদের জ্ঞান এবং বুদ্ধির অগম্য ছিল। কিন্তু সেই সমস্ত ঘটনাগুলোকে তারা অলৌকিক মনে করলেও, এই সমস্ত ঘটনার পেছনে একজন (বা একাধিক) ঈশ্বর আছেন—সেই ধারণা পাকাপাকিভাবে তখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অর্গানাইজড রিলিজিয়নগুলো আসার পর থেকে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সপক্ষে এবং ধর্মের প্রয়োজনকে বৈধতা দিতে গিয়ে এই সমস্ত ঘটনাকে অত্যন্ত সুকৌশলে সাধারণ মানুষের মনোজগৎকে প্রভাবিত করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি ধর্মই একাজ করেছে।

ইহুদি ধর্মের আলোচনা দিয়ে শুরু করা যাক। মুসাকে একজন মেসায়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বেশ কয়েকটি অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হলো মুসার লোহিত সাগরের পানি দুই ভাগে ভাগ করে একটি চলার পথ সৃষ্টি করা। এই পথ দিয়েই তিনি তাঁর অনুসারীদের নিয়ে সাগর পার হয়ে ইসরায়েলের পথে যাত্রা করেছিলেন। লেনক্স যত কথাই বলুক, সাগরের পানিকে মাঝ বরাবর দুই ভাগ করা সম্ভব নয়—এমনকি স্বয়ং ঈশ্বরের পক্ষেও সম্ভব নয়। ঈশ্বর নিজেও প্রকৃতির নিয়মের কাছে সীমাবদ্ধ; ইচ্ছা করলেই সেই নিয়ম ভাঙা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে এক ধরণের নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। ঈশ্বর সেটা চাইবেন না, যদি আলোচনার খাতিরে এটা ধরে নিই যে ঈশ্বরের সেই ক্ষমতা আছে। প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে কি এই গোটা ঘটনাটাই বানোয়াট? আসলে এরকম কিছু ঘটেনি? সেই সম্ভাবনাই বেশি—আসলেই কিছু ঘটেনি। বাইবেলের রচয়িতা এখানে জুল ভার্নের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তফাৎটা এই যে, জুল ভার্ন স্বীকার করেছেন তিনি কল্পবিজ্ঞান লিখছেন, বাইবেলের রচয়িতা সেকথা স্বীকার করেননি।

যীশুকে ঘিরে সবচাইতে অবিশ্বাস্য অলৌকিক ঘটনাটি হলো ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যবরণ করার কয়েকদিনের মধ্যে তাঁর পুনরুত্থান; এই ব্যাপারটা খ্রিস্ট ধর্ম বিশ্বাসের অন্যতম প্রধান মূলনীতিও বটে। অর্থাৎ, কোন ব্যক্তি যদি যীশু পুনরুত্থিত হয়েছেন এই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন, তাহলে ধরে নিতে হবে খ্রিস্টধর্মের প্রতি তার ভক্তি অচল নয়। বাইবেল বলছে, যীশুকে শুক্রবারে কবরস্থ করা হয়েছিল এবং তিনি কবরস্থ হওয়ার তৃতীয় দিনে, অর্থাৎ রোববারে পুনরুত্থিত হয়েছেন। এরপর চল্লিশ দিন তিনি এই ধরাধামেই ছিলেন। বিভিন্ন শিষ্যদের দর্শন দিয়েছেন, তবে সবার আগে যীশুর দর্শন পেয়েছেন মেরি—তাঁর মা মেরি নন, শিষ্য মেরি। শিষ্যদের নানান উপদেশ-আদেশ দিয়েছেন। তারপর তিনি সশরীরে স্বর্গারোহন করেছেন। দুজন ফেরেশতা তাঁকে এই কাজে সহযোগিতা করেছেন, অর্থাৎ তাঁকে স্বর্গে তুলে নিয়ে গেছেন।

এরকম স্বর্গারোহনের ঘটনা আমরা আরো অন্তত দুটি ক্ষেত্রে ঘটতে দেখব। প্রথমটা মহাভারতে ঘটেছিল পাণ্ডবদের ক্ষেত্রে, দ্বিতীয়টা ইসলামের নবী মুহাম্মদের মেরাজের ক্ষেত্রে। বর্ণনা শুনে মনে হয়, স্বর্গ—তথা যে স্থানে ঈশ্বর বসবাস করেন সেটা অন্তরীক্ষের কোন এক স্থানে। ফলস্বরূপ, তাঁদের দুজনকে ঊর্ধ্বপথেই যেতে হয়েছিল, যদিও আমরা ঠিক নিশ্চিত নই, স্বর্গটা আসলে কোথায়। যীশুর ক্ষেত্রে, দুইজন ফেরেশতা এসে তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু মুহাম্মদের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ বাহন ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটার যে শারীরিক বর্ণনা পাওয়া যায়, সেটা কোন অবস্থাতেই একটি স্পেসশিপের নয়। যীশুর স্বর্গারোহন সেই অর্থে অনেকে যুক্তিযুক্ত মনে করেন, যদিও তিনি আদৌ পুনরুত্থিত হয়েছিলেন কিনা, সেই প্রশ্নটা এখনো রয়েই গেছে। পান্ডবদের স্বর্গারোহন করার ব্যাপারটা ছিল আরো হাস্যকর। তাঁরা পায়ে হেঁটে স্বর্গের পথে রওয়ানা দিয়েছিলেন, যে পথ অতিক্রম করতে হলে হিমালয় পর্বত পার হতে হয়। হিমালয়ের কৈলাস পর্বত শিবের আবাস, কিন্তু সেটা স্বর্গ নয়। তাহলে হিমালয়ের ওপারে কোথাও পান্ডবদের স্বর্গ কি, তিব্বত কিংবা চীনের কোথাও? বলা মুশকিল।

এবার যীশুর পুনরুত্থানের আলোচনায় ফেরা যাক। ক্রুশবিদ্ধ করার আগে এবং ক্রুশবিদ্ধ থাকা অবস্থায় যে শারীরিক নির্যাতন যীশু সহ্য করেছেন, তাতে তিনি যে মৃত্যবরণ করেছেন, এই ব্যাপারটা নিশ্চিত—বিজ্ঞানসম্মতভাবেই নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে তাঁকে জীবিত দাফন করা হয়েছে, এমন ভাবার কোন সুযোগ নেই। যদি জীবিত দাফন করা না হয়ে থাকে, তাহলে মৃত্যুর তিন দিন পরে তাঁর আবার কবর থেকে বেরিয়ে আসারও কোন সুযোগ নেই। মৃত্যুর মোটামুটি দুই থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে মানব শরীরে রিগর মর্টিস শুরু হয়ে যায়। মৃত্যুর বায়াত্তর ঘণ্টা পরে, তাঁর সুস্থ শরীরে বেরিয়ে আসার কোন সুযোগ নেই। এখানে আরো একটা মনে রাখা দরকার, যারা বলছেন পুনরুত্থানের পর তাঁরা যীশুকে দেখেছেন, এদের কেউই নিরপেক্ষ সাক্ষী নন। এদের সবাই যীশুর শিষ্য এবং অনুরাগী। যীশুকে একজন মেসাইয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার একটা উদগ্র ইচ্ছা এদের মধ্যে থাকতে পারে।

ইসলাম ধর্মের প্রচারক মুহাম্মদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি অলৌকিক ঘটনার একটির কথা আগেই বলা হয়েছে। একটা ঘোড়া সদৃশ প্রাণীর পিঠে চড়ে অন্তরীক্ষে ভ্রমণ করে আসার গল্প কল্পবিজ্ঞানকেও হার মানায়। এই ঘটনার একটাই যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা হতে পারে, আর সেটা হল, তিনি গোটা ব্যাপারটা স্বপ্নে দেখেছেন। সেক্ষেত্রে কিছু বলার নেই। মুহাম্মদের ছোটবেলার একটা ঘটনার কথা বলা হয়েছে, যেটাকে অনায়াসে অলৌকিক বলা চলে। বলা হয়, জিব্রাইল ফেরেশতা এসে মুহাম্মদের বুক চিরে বুকের ভেতর থেকে কিছু কালো জমাট বাঁধা রক্ত বের করে আনেন। তারপর মুহাম্মদের হৃৎপিন্ডটাকে বুক থেকে বের করে এনে জমজমের পানি দিয়ে ধুয়ে, সেটাকে আবার যথাস্থানে বসিয়ে দেন। মুসলমানদের কাছে এই ঘটনা সাক-আল সদর নামে পরিচিত। এই ঘটনা চাক্ষুষ করেছে মুহাম্মদেরই কিছু সমবয়সী খেলার সাথী। মুহাম্মদের বয়স তখন চার বছর, এবং তাঁর খেলার সাথীদের বয়সও এর কাছাকাছি ছিল।

এই ঘটনার বর্ণনা শুনে সবার আগে যে প্রশ্নটা মনে উদিত হয়, সেটা হল, চার-পাঁচ বছর বয়সী বাচ্চাদের পর্যবেক্ষণ কতটা গ্রহণযোগ্য। তারা নিশ্চয়ই, যদি এই ঘটনা ঘটে থাকে, গোটা ঘটনাকে দূর থেকে দেখেছে। তাহলে তারা কিভাবে বুঝতে পারল যে, যিনি এই কাজটি করছেন, তিনি জিব্রাইল? এদের কেউ কি জিব্রাইলকে আগে দেখেছিল? দ্বিতীয় প্রশ্ন, তারা কিভাবে বুঝল, মুহাম্মদের বুক চিরে যে বস্তুটা বের করে আনা হয়েছে, সেটা হৃৎপিন্ড নাকি কলিজা? মরুভূমিতে বেড়ে ওঠা কিছু বাচ্চা, যাদের মানব শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে কোন ধারণা থাকার কথা নয়, তারা গড়গড় করে বলে যাচ্ছে জমাট বাঁধা রক্ত বের করে আনা হয়েছে, হৃৎপিন্ড পরিশোধন করা হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার এটাও বলছে, সেই হৃৎপিন্ড আবার জমজমের পানি দিয়ে ক্লিন করা হচ্ছে। এইসব শিশুরা কিভাবে বুঝল, ওটা জমজমের পানিই ছিল, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নয়? জিব্রাইল কি তাহলে ধারাবিবরণী দিচ্ছিলেন? পুরো ঘটনাটির বর্ণনা আধুনিক সময়ের ওপেন হার্ট সার্জারির কথাই মনে করিয়ে দেয়, কিন্তু খোল আকাশের নিচে কোন রকম 'অ্যানেস্থেশিয়া' ব্যবহার না করে এরকম ভাবে ওপেন হার্ট সার্জারি করা কি যায়?  বিশেষত যখন ড. দেবী শেঠীর মত হার্ট সার্জন যেখানে তখনো জন্মাননি। গোটা ব্যাপারটাই হাস্যকর রকমের কষ্টকল্পিত।

শুরুতেই বলেছিলাম, এরকম বুজরুকি সব ধর্মেই আছে। হিন্দু ধর্ম তার ব্যতিক্রম নয়, হতেও পারে না। নাদিয়ার মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যের মহাপ্রয়াণের কথাই ধরা যাক। বৈষ্ণবরা তো বটেই, বৈষ্ণব নন এমন অনেকে হিন্দুও একথা বিশ্বাস করেন যে, মহাপ্রভু পুরীর জগন্নাথ বিগ্রহের সঙ্গে বিলীন হয়ে গিয়েছিলেন। অলৌকিকতার চূড়ান্ত পরাকাষ্ঠা। কোন জীবিত মানুষের পক্ষে একটি মাটির কিংবা পাথরের তৈরি বিগ্রহ মূর্তির সঙ্গে বিলীন হয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। মহাপ্রভু ভগবান বিষ্ণুর অবতার লীলা সম্পন্ন করে তিনি আবার জগন্নাথের মধ্যেই আবারো বিলীন হয়ে গেছেন, অনুসারী ভক্তদের কাছে মহাত্ব্যপূর্ণ করে তোলার জন্যেই যে ব্যাপারটাকে এইভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। সেইজন্যেই, অনেকেই যেমন কোন রকমের যুক্তির ধার ধারে না গিয়ে গোটা ব্যাপারটাকে বিশ্বাস করেছে, তেমনি যুক্তিবাদী মানুষরা যুক্তিহীন এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যানও করেছে। শেষোক্ত মানুষেরা মনে করে, মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যকে আসলে খুন করে তাঁর মৃতদেহ এই মন্দিরের জগন্নাথ বিগ্রহের পেছনে (অথবা অন্য কোথাও) লুকিয়ে রাখা হয়েছে।

এই সমস্ত অলৌকিক ঘটনাকে সাড়ম্বরে তুলে ধরার মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মনে ঈশ্বর বা কোনো উচ্চতর শক্তির প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধাশীল করে তোলা। অলৌকিক ঘটনা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে এমন কিছু দেখানোর চেষ্টা করে যা যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। ফলে, যারা ধর্মে বিশ্বাস করে তাদের মধ্যে ঈশ্বর সম্পর্কে এক ধরনের রহস্যময় ধারণার জন্ম হয়। ঈশ্বরের মহিমা, ক্ষমতা সম্পর্কে তাদের মধ্যে ঔৎসুক্যের সৃষ্টি হয়। অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন সেই উচ্চতর শক্তির কাছে প্রণত হতে ইচ্ছে করে। কিন্তু যে ব্যাপারটাকে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা চলে না, সেই ব্যাপারটাকে অযৌক্তিক জেনেও বিশ্বাস করতে বলা, যে নৈতিকতা বিরোধী, সেকথাটা অনেক সময় যারা এইভাবে বিশ্বাস করতে বলেন, তাদের মনে থাকেনা। অভিজ্ঞতা এবং প্রমাণের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাটাই যুক্তিযুক্ত, সেটাই সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়া উচিত—এমনকি ঈশ্বর বিশ্বাসের ক্ষেত্রেও। ঈশ্বর যদি আমার আনুগত্য চান, তাহলে তিনি যে আছেন সেটা প্রমাণ করার দায়ভারটা একান্তই ঈশ্বরের। অযৌক্তিক অলৌকিকতা বুজরুকিরই নামান্তর।


আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86929