গল্পের ফাঁকফোঁকর : পিতার অন্যায্য সন্তুষ্টি বিধানও কি ধর্ম ?

Guitar K Kanungo


Jan. 6, 2025 | | views :50 | like:5 | share: 2 | comments :0

আদি পুরুষ হলেও মনু মহারাজ আমার পছন্দের ব্যাক্তি নন। পুরানবিদদের মধ্যে এঁর  মত পাঁড় 'মিসোজিনিস্ট' আর একটিও নেই। কিন্তু আজকের আলোচনায় জন্যে মনুস্মৃতি থেকে একটা শ্লোক ধার করতেই হচ্ছে। শ্লোকটা এইরকম :

পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম: পিত্য হি পরমং তপ:
পিতরি প্রীতিমাপন্নে প্রীয়ন্তে সর্বদেবতা।
 
এই মন্ত্রের সরলার্থ - পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম, পিতাই শ্রেষ্ট তপস্যা। পিতা সন্তুষ্ট হলে দেবতারাও সন্তুষ্ট হন। এককথায় পিতার সন্তুষ্টি বিধান করাই সন্তানের কর্তব্য। প্রশ্ন হচ্ছে সবসময় কি পিতাকে সন্তুষ্ঠ করা যায়? পিতা যদি অন্যায্য কথা বলে সেক্ষেত্রে পুত্রের কর্তব্য কি হবে?

পিতা-পুত্রের সম্পর্কের এই জটিলতা নিয়ে হিন্দু পুরাণে কয়েকটি  ঘটনার কথা বলা আছে। সেই ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্ঠা করা যেতে পারে। 

প্রথম ঘটনাবাল্মিকী রামায়ণ থেকে উদ্ধৃত।

অযোধ্যার রাজা দশরথ নবোঢ়া পত্নীর প্রেমে বিগলিত হয়ে সেই পত্নীর তিনটি ইচ্ছে পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেই স্ত্রী একসময় রাজা দশরথের কাছে জ্যেষ্ঠপুত্র রামের পরিবর্তে তাঁর গর্ভজাত ভরতকে অযোধ্যার রাজা এবং রামকে একটা লম্বা সময়ের জন্যে বনবাসে পাঠানোর দাবী জানালেন। দশরথ নিরুপায় কারণ তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

কিন্তু রাম নিরুপায় ছিলেন না। তাঁর সামনে তখন দুটো উপায় খোলা ছিল: প্রথম উপায় পিতাকে সরিয়ে নিজেই অযোধ্যার রাজা হয়ে বসা; দ্বিতীয় উপায় পিতার আদেশ মেনে নিয়ে বনবাসে চলে যাওয়া। প্রথমটা তার অধিকার, দ্বিতীয়টা তাঁর কর্তব্য ; রাম কর্তব্যটাকেই বেছে নিয়েছিল। আপাত দৃষ্টিতে রামের এই সিন্ধান্তকে মহৎ একটা কাজ বলে মনে হতে পারে, কিন্তু পিতা দশরথ তাতে সন্তুষ্ঠ হয়েছিলেন কি? রাম দশরথের সত্য পালনে সহায়তা করলে পিতার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেননি। 

প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা সত্বেও দশরথ চাননি রাম বনবাসে যাক। রামের এই চলে যাওয়াটা তাঁকে  এতটাই আহত করেছিল যে রাম রাজধানী ত্যাগ করার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি দেহত্যাগ করেন।রাম কি অনুমান করতে পারেননি এরকম একটা ঘটনা ঘটতে পারে? যদি অনুমান করতে পারেন তাহলে তাঁর এইভাবে বনবাসে যাবার তো কোন প্রয়োজন ছিল না। প্রতিশ্রুতি তো তিনি দেননি, সে দায় পিতা দশরথের। তাঁর দায় ছিল কেবল পিতার সন্তুষ্টি বিধান করা। তাহলে রাম কি ঠিক কাজটি করেননি ?

দ্বিতীয় ঘটনা -  মহাভারত থেকে উদ্ধৃত।

বাসুদেব কৃষ্ণের একজন পূর্বপুরুষ ছিলেন - যযাতি। যয়াতি রাজা হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শাসন করছিলেন। অসুরদের গুরু  শুক্রাচার্যের কন্যা দেবযানী ছিলেন তাঁর স্ত্রী।  এই দেবযানীর সঙ্গে  অসুররাজ বৃষপর্বার কন্যা শর্মিষ্ঠাও এসেছিলেন দেবযানীর সঙ্গে, যেহেতু তিনি দেবযানীর দাসী ছিলেন। যয়াতি  শর্মিষ্ঠার প্রতিও আকৃষ্ট হন এবং গোপনে তাঁর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন। দেবযানী যখন ঘটনা জানতে পারেন, তখন রুষ্ট হয়ে তিনি তাঁর পিতা শুক্রাচার্যের কাছে অভিযোগ করেন। ক্রুদ্ধ শুক্রাচার্য যয়াতিকে বার্ধক্যের অভিশাপ দেন; যয়াতি প্রোঢ়ত্বে পৌঁছনোর আগেই বার্ধক্যে পৌঁছে যান। এদিকে যযাতি ছিলেন অত্যন্ত কামুক একজন পুরুষ; তিনি কামপ্রবৃত্তি পূরণের জন্যে আবারো তাঁর যৌবন ফিরে পেতে চাইছিলেন। শুক্রাচার্যের অভিশাপের শর্ত অনুযায়ী যযাতির অন্য কারো সঙ্গে তাঁর জরা বদলের সুযোগ ছিল। ফলত তিনি তাঁর পাঁচ পুত্রের মধ্যে একজনকে তাঁর বার্ধক্য গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করলেন, যাতে তিনি পুনরায় যৌবনের সুখ উপভোগ করতে পারেন। যয়াতির প্রথম চারপূত্র তাঁর এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলেও, তাঁর পঞ্চম পুত্র পুরু পিতার বার্ধক্য গ্রহণ করতে সম্মত হয়।

অনেক প্রজন্ম পরে দেবব্রত পিতা শান্তনুর যৌন লালসা পূরণের সুযোগ করে দেবার জন্যে নিজে সারাজীবন কৌমার্য ব্রত পালন করার শপথ গ্রহণ করবেন  অর্থাৎ তিনি পিতার সন্তুষ্টি বিধান করাটাকেই যুক্তিযুক্ত মনে করবেন যে সন্তুষ্টি বিধান করতে গিয়ে পুরু পিতার বার্ধক্যকে গ্রহণ করতে দ্বিধা করেননি। 

কিন্তু সন্তুষ্টি বিধানটাই কি সবকথা? পুত্র কিংবা কন্যার একমাত্র ধর্ম, বিশেষ করে পিতা যদি ক্ষমতাবান হন? যে পুত্ররা বার্ধক্য গ্রহণ করতে রাজী হয়নি, যযাতি সেই পুত্রদের প্রতি রুষ্ট হয়েছিলেন। তিনি তাদেরকে রাজ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিলেন যে কাজটা তাঁর দিক থেকে অনৈতিক হয়েছে। এইরকম একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রখ্যাত ইংরেজ নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপীয়ার একটি নাটক রচনা করেছিলেন। এই নাটকে ব্রিটেনের রাজা লেয়ার তাঁর তিনি মেয়েকে একদিন কাছে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন তারা তাঁকে কেমন ভালোবাসে। বড় এবং মেজ মেয়ে ছিল ভীষণ চালাক। তারা জানত তাদের বাবা উত্তর শুনে সন্তুষ্ঠ না হলে আখেরে তাদের ক্ষতিই হবে; রাজ্যের অংশ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবার সমূহ সম্ভাবনা। অতএব তার এমন উত্তর একটা উত্তর দিল যে উত্তর শুনে লিয়ার বেজায় খুশী হলেন। লিয়ারের তৃতীয় এবং কনিষ্ঠ কন্যার নাম ছিল কর্ডেলিয়া। একই প্রশ্ন তাকে করা হলে সে কোন রকমের ভণিতার আশ্রয় না নিয়ে বলেছিলে একজন সন্তানের তার পিতাকে যতোটুকু ভালোবাসা উচিত তিনি রাজা লিয়ারকে ততটাই ভালোবাসেন। রাজা লিয়ার উত্তরটা শুনে প্রচন্ড  বিরক্ত হলেন; তিনি কর্ডেলিয়াকে সমস্ত উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করে গোটা রাজ্য বড় দুই মেয়ের মধ্যে ভাগ করে দিলেন। বড় দুই মেয়ের মিথ্যাভাষণে বিভ্রান্ত হয়ে রাজা লিয়ার যে কত বড় ভুল সিন্ধান্ত নিয়েছিলেন সেটা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন নিজের জীবনের বিনিময়ে। সন্তুষ্ঠ করার এবং সন্তুষ্ট হবার মধ্যে বড় ধরনের একটা প্রভেদ আছে। ব্যাপারটা উপরের দিক থেকে যতটা সহজ মনে হয়, ততটা সহজ নয়।  

তৃতীয় ঘটনা : মহাভারত থেকে উদ্ধৃত।

রেণুকা ছিলেন ঋষি জমদগ্নির স্ত্রী।  খুবই পতিব্রতা একজন নারী ছিলেন তিনি।  এতটাই যে জমদগ্নি যখন তীরচালনা প্রাকটিস করতেন তখন রেণুকা দৌড়ে গিয়ে সেই তীর কুড়িয়ে আনতেন। এহেন রেণুকা জলকে গিয়ে একদিন এক গন্ধর্ব এবং তাঁর স্ত্রীদের জলকেলী দেখে কিছুটা মোহিত হয়ে পড়েন। তাঁর মনে এরকম ভাবের উদয় কেন হল এই অপরাধে জমদগ্নি তাঁর ছেলেদের রেণুকার ধড় থেকে মুন্ডু আলাদা করে ফেলতে। রেণুকা এবং জমদগ্নির বাসু এবং বিশ্বাবাসু নামের দুজন এবং পরশুরাম নামের আরো একজন সন্তান ছিল। পিতা অসন্তুষ্ট হবে জেনেও প্রথম দুই সন্তান গর্ভধারিণীকে হত্যা করতে রাজী হল না। পিতার আদেশ পালন করতে গিয়ে মা'কে হত্যা! বড় রকমের ধর্মসঙ্কট।

 কিন্তু পরশুরাম তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রশ্ন না  করেই একটা কুঠার দিয়ে জননী রেণুকার মাথা কেটে ফেলেন। শুধু তাই নয়, রেণুকা আত্মরক্ষা করতে গিয়ে আশ্রমের আশেপাশে বসবাস করে এমনকিছু অন্ত্যজ মানুষদের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তিনি ভেবেছিলেন তাঁর এই ঋষিপুত্র এই অন্ত্যজ জনগোষ্ঠীর বাড়িতে পা দেবেন না কিন্তু পরশুরাম সেখানে তো গেলেনেই, উম্মাদনার এক পর্যায়ে মায়ের মাথা কাটতে গিয়ে ওই অন্ত্যজ পরিবারের এক নারীরও মাথা কেটে ফেলেছিলেন।যেটা নিয়ে পরবর্তীতে আরেকটা বিপত্তি তৈরি হবে। তবে সেই আলোচনা এখানে মুখ্য নয়।  

যদিও রেণুকা পরবর্তীতে প্রাণ ফিরে পাবেন কিন্তু পরশুরাম কি কাজটা ঠিক করেছেন? এই প্রশ্নটা সবসময়ই উঠেছে এবং এখনো প্রাসঙ্গিক। জমদগ্নি দুটো অসংলগ্ন কাজ করেছেন। প্রথমত তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার গোলযোগের মধ্যে জড়িয়েছেন যে কাজটা তাঁর একেবারেই উচিত হয়নি। দ্বিতীয়ত জমদগ্নি নিজে একজন ঋষি হলেও রেণুকা একজন সাধারণ, তিনি সমস্ত ইন্দ্রিয় জয় করে বসে থাকেননি।  তাছাড়া তিনি একজন ক্ষত্রিয়াণীও বটে। জমদগ্নির সঙ্গে বিয়ের আগে তিনি একজন  রাজকন্যা ছিলেন। গান্ধর্বের জলকেলী ক্ষত্রিযসুলভ আচরণ ; সেটা দেখে তিনি  কিছুটা স্মৃতিকাতর হয়ে উঠতেই পারেন। এটা বড় কোন অপরাধ হতে পারে না।  এটা অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা যেত যদি রেণুকা দেবগুরু বৃহস্পতির স্ত্রী তারার মত চন্দ্রদেবর সঙ্গে পালিয়ে যেতেন এবং চন্দ্রের সন্তান গর্ভে ধারণ করে ফিরে আসতেন। জমদগ্নি লঘু পাপে গুরুদন্ডের বিধান দিয়েছেন।  

লক্ষ্য করবার বিষয় ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসাবে খ্যাত পরশুরাম পিতার আদেশে মাটিকে হত্যা করার প্রশ্নে কোন রকমের ধর্মসঙ্কট অনুভব করেননি। তিনি স্পষ্টতই মায়ের মৃত্যুর চাইতে পিতার আদেশকে অনেক বড় করে দেখেছেন। তাঁর পিতার হত্যাকারী ক্ষত্রিয় রাজাটিকে তিনি খুন করেছিলেন এবং সেখানেই তাঁর হত্যাযজ্ঞের সমাপ্তি ঘটার কথা ছিল কিন্তু তিনি সেখানে থামেননি, তিনি আরো একুশবার এইরকম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন , যেটা করার কোন ন্যায়সঙ্গত অধিকার তাঁর ছিল না। এই জন্যে হিন্দু পুরাণে পরশুরামকে একজন অবতারের মর্যাদা দেয়া হলেও কেউ যদি তাঁকে একজন একজন বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী এবং সাইকোপ্যাথিক কিলার বলে মনে করে, তাহলে কি তাকে খুব একটা দোষ দেয়া চলে?

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের আগমুহূর্তে অর্জুন এইরকমই একটা ধর্মসংকটের মুখোমুখি হয়েছিলেন। অর্জুনকেও অস্ত্র ধারণ করতে হচ্ছিল তার ভাইদের বিরুদ্ধে। কৃষ্ণ তাঁকে অস্ত্রধারণ করার উপদেশ দিয়েছিলেন। অর্জুনকে যদি এইরকম একটা অবস্থার মুখোমুখি, অর্থাৎ কুন্তীকে হত্যা করার কথা বলা হত কর্ণের জন্মবৃত্তান্ত গোপন করার অপরাধে, তাহলে  বাসুদেব কৃষ্ণ তাকে কী উপদেশ দিতেন?

বাসুদেব কৃষ্ণ অর্জুনকে বারবার বলেছেন ধর্ম মানে অন্ধভাবে কোনো নিয়ম মেনে চলা নয়, বরং ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া। যদি অর্জুনকে মাতা কুন্তীকে  হত্যা করতে বলা হত, এবং যেহেতু এই আদেশ নৈতিকতার পরিপন্থী ছিল, কৃষ্ণ সম্ভবত অর্জুনকে এই আদেশ অন্ধভাবে অনুসরণ না করে এই আদেশ নিয়ে প্রশ্ন করতে এবং এই আদেশের ন্যায়সঙ্গতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরামর্শ দিতেন। কৃষ্ণ বলেছেন অহিংসা ত্যাগ করে যুদ্ধ কেবল তখনই গ্রহণযোগ্য যখন তা ধর্ম রক্ষার জন্য অপরিহার্য হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে সেটা অপরিহার্য ছিল না। নিজ মাতাকে হত্যা করার মতো আদেশ নিশ্চিতভাবে অহিংসার বিরোধী, এবং কৃষ্ণ অর্জুনকে সম্ভবত সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার কথাই বলতেন। তাছাড়া কৃষ্ণ এটাও বলেছেন প্রতিটি কাজের একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি থাকে। মা'কে হত্যা করার মতো একটি চরম কাজের কেবল তাৎক্ষণিক নয়, ভবিষ্যত পরিণতিও যে ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে কৃষ্ণ নিশ্চয়ই অর্জুনকে সেকথা স্মরণ করিয়ে দিতেন।

 

আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86929