প্রকৃতি ও কৃত্রিম ভাবে সৃষ্ট পদ চিহ্ন

সোমনাথ কুমার দাস


Nov. 26, 2024 | | views :284 | like:0 | share: 0 | comments :0

নদীর কাজ

সামান্য বন্ধুর বা উচুঁ নীচু জমির ওপর প্রবহমান জলধারা (fluvial river) বা নদী সেখানে নিম্নক্ষয় (downcut erosion) এবং খুব সামান্য পার্শ্বক্ষয় (valley cut erosion) করে তৈরি করে বিভিন্ন আকৃতির গর্ত, মূলত বর্তুলাকার বা ছোট হাঁড়ি, গামলার মত গর্তগুলো আমরা মন্থকূপ বা poteholes বলে ডাকি।


তবে যেখানে সেখানে এগুলো তৈরিও হবে না। দামোদর অববাহিকায় ঘুরতে আসুন পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে। সেখানে পটহোল কলোনি দেখতে পাবেন (poteholes familiy)।

এগুলো জন্ম নিতে গেলে দরকার নদী উপত্যকায় তুলনামূলক শক্ত বেলে বা গ্রানাইট জাতীয় আগ্নেয় পাথর, ব্যাসল্ট শিলাতেও এগুলো ভালো জন্ম নেয়।


জমি থাকবে সামান্য উচুঁ নীচু, আবহবিকারে সামান্য ক্ষত বিক্ষত করলে এগুলো গড়ে তোলা নদীর জন্য বেশ সুবিধাজনক বটে।


নদীর গতি শক্তি সামান্য বাড়তে হবে,

নদীর শক্তি বাড়ে ক্ষয় সীমার উচ্চতা ও জমির ঢালের তীব্রতার ওপর, নদীর কোথাও কোথাও খরস্রোত দেখা দিলেও নীচের উপত্যকায় এগুলো বিকাশ ঘটায়।


বিশেষ চরিত্রের মন্থ কূপ এর জন্ম

এই বন্ধুর পথে নদী ভ্রমণ করার সময় সামান্য নীচু ও ক্ষত স্থানে জল আটকে কিছুটা পিছিয়ে যায় এবং বাকিটা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, দেখা দেয় টারবুলেন্স। নদীর জলের সাথে বয়ে আসে ছোট পাথর ও কাঁকর বালি এসব, যারা ওই গর্তে আটকে পড়ে।


এখন সেখানে নিয়মিত জলে এসে পড়ে, সেখানে জল আটকে চারিদিকে প্রবাহ না হয়ে সামান্য ঘূর্ণন সৃষ্টি করে, এতে জলের মধ্যে থাকা কাঁকর পাথর নীচের উপত্যকার কঠিন পাথরের গায়ে ঘষা দিয়ে দিয়ে ক্ষয় করতে থাকে যাকে আমরা বলি অবঘর্ষ ক্ষয় (corrasion erosion)।

ঘূর্ণন গতির জন্য এখানে অপকেন্দ্র বলের (centrifugal force) প্রভাবে কেন্দ্র থেকে জল বাইরের দিকে বেরিয়ে যেতে চাই, এর জন্য চওড়া হয়ে গামলার মত গর্ত তৈরি করে দেয়।

এখানে কোথাও ছোট কোথাও বড় কোথাও চওড়া বেশি হয়, কোথাও লম্বাটে হয়ে যায়, এগুলো নির্ভর করে নদীর গতিশক্তি, পাথরের কাঠিন্যতা এবং ক্ষয় ক্ষমতা। মূলত এখানে বিভিন্ন আকৃতির পেছনে জল গতিময় শক্তি (hydro dynamic force) কাজ করে।


নদীর জল প্রবল গতিতে এগিয়ে যাওয়ার সময় গর্তের মধ্যে আটকে ঘূর্ণন গতির সাথে সাথে জল প্রবাহ কোনও একটা নির্দিষ্ট দিকে বেশি ধাক্কা দেয়, সেক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষমতা সেই অংশে অনেক বেশি থাকে, প্রবল ক্ষয়ে অতি সংকীর্ণ লম্বাটে মন্থকূপগুলো জন্ম দেয়।


এই স্থানে পদ চিহ্নের ওপরের দিকে জলের ঘূর্ণন গতির ফলে গর্ত বেশ বৃত্তাকার হলেও সামনের দিকে জলের গতি শক্তির প্রভাবে জল প্রবাহ এগিয়ে এসে ক্ষয় করে বেশ চওড়া ও লম্বাটে আকার নিয়েছে, তবে অতি শক্ত পাথর থাকায় নিম্ন ক্ষয়ের মাত্রা কম।


দ্বিতীয়ত, এগুলো পটহোল সৃষ্টির একদম প্রারম্বিক পর্যায় রয়েছে। নদীর জলের মাত্রা কম বা বন্যার সময় এগুলো তৈরি করার কাজ চলে। এর মধ্যে পরিমার্জিত করে মানুষ হুবহু পায়ের চিহ্ন তৈরি করেছে।

আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86929