বইমেলা

অশোক দাস চার্বাক


Nov. 26, 2024 | | views :882 | like:0 | share: 0 | comments :0

বাবাগাধা - ছি ছি ছি!! তুই কিনা গাধার ব্যাটা হয়ে এ কথা বললি মুখ ফুটে? জিভে আটকাল না একটুও! ছি! কোনও গাধাকে কোনও যুগে কেউ বইমেলায় যেতে দেখেছে, না কোনও গাধাকে কেউ বই চিবোতে দেখেছে। গাধা জাতের নাম ডোবাবি দেখছি আহাম্মক গর্ধব কোথাকার। এর পরে তো অল্পবয়সী তোর গাধা বন্ধুরা 'হাঁদাগাধারাম' বলে তোকে ৱ্যাগিং করবে। হাঁট-হাঁট, নইলে এক্ষুনি মধু ধোপার চাবুক খাবি। 


ছেলেগাধা - কেন বাবা, গাধারা বইমেলায় যায় না কেন?

বাবা- দরকারই হয় না। গাধারা হচ্ছে সবজান্তা। গাধাদের 'ব্যাদে' সব লেখা আছে। গাধাদের সে গর্ধববেদ পড়তেও হয় না কখনও। মেঘনাদ সাহা নিজে এ সার্টিফিকেট দিয়েছেন সব জন্মসিদ্ধ গাধাদের। গাধারা হচ্ছে ভূ-ভারতের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রজাতির প্রাণী। বামুনদের মত ভগবান ব্রহ্মার মাথার ঘিলু থেকে তাদের জন্ম।  পরশ্রীকাতর নিম্ন প্রজাতির  মানুষরা লজ্জায় তা স্বীকার করে না বটে, তবে আমাদের প্রাচীন জন্মসিদ্ধ সাধুসন্ত মুনিঋষিরা এ কথা বলে গেছেন। আর আমাদের বাপ ঠাকুরদা চোদ্দোপুরুষেরা বংশ পরম্পরায় এ 

সনাতন কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে এসেছে। গাধাদের শাস্ত্রবাক্য, গাধামুনি ঋষিদের বেদবাক্য তো আর মিথ্যে হতে পারেনা। অনর্থক বই পড়ে নতুন জ্ঞান অর্জন করা যে কতটা নিরর্থক সেটা সব গাধারাই জানে। 


ইচ্ছে হলে অন্য যে কোনও মেলায় যা। কোনও ভদ্রলোক গাধা ও নিয়ে কিচ্ছু বলবে না। শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসে চেপে পৌষমেলায় যা। সেখানে নরম নরম কচি কচি ঘাস দিয়ে তৈরী থালা, বাটি, ঠাকুরদেবতার পুতুল পশু প্রাণীদের আদলে তৈরী নানা আর্ট ওয়ার্ক চিবিয়ে চিবিয়ে খা। গরম গরম জিলিপি খা। বুঝিস বা না বুঝিস, মাইকে রবীন্দ্র সংগীত শুনে হিন্দী গানে নাচতে নাচতে বড় মুখ করে বাড়ি ফের। নিজেকে বেশ ইন্টেলেকচুয়াল গাধা মনে হবে। 


বন্ধুদের কাছে বড় মুখ করে বলতে পারবি রবীন্দ্রতীর্থ ভ্রমণের উপাখ্যান। সে পুণ্যে মরার আগেই তোর আত্মার শান্তি হয়ে যাবে। মহাপাপীর ছেলেদের মত বিজ্ঞাপন দিয়ে আত্মার শান্তিকামনা করতে হবে না। বোকা শ্রাদ্ধশান্তিও করতে হবে না পুরুত ডেকে। শিল্পমেলায় যা-বাহারি দু’একটা ভোগবিলাসের জিনিস কিনে মনে আনন্দ পাবি। জিনিসগুলোর জন্য তোর গর্ব আর পড়শীর ঈর্ষা হবে। বড় সুখ হবে তোর মনে। খাদ্য মেলায়ও যেতে পারিস। সেখানে নানা দেশের ঘাস বিচালি খেয়ে আস্তাবলে শুয়ে শুয়ে জাবর কাট মনের সুখে। অপার আনন্দ পাবি মনে। ঋণ মেলায় ব্যাংকের টাকা ধার করে শোধ না দেবার মতলব কর। দাদা দিদি নেতা মন্ত্রীদের কাটমানি দিয়ে হাতে রাখতে পারলে কেউ তোর টিকি ছুঁতে পারবে না। টাকা চুরির অনাবিল আনন্দ পাবি মনে। বিবাহ  মেলায়ও যেতে আপত্তি নেই। মনের মত একটা ইউজ এন্ড থ্রো বউ ধরে নিয়ে আয় ওখান থেকে। সারাজীবন না হোক বছরখানেক until the day of divorce বেশ ফুর্তি করতে পারবি।  সাগর মেলায়ও যেতে পারিস।  সেখানকার নোনতা জলে গোলা দৈব ডিটারজেন্টে বছরভর করা সব পাপ কেচে কুচে সাফসুতরো করিয়ে আয়। আহা, মুখ শুকনো করছিস কেন? পাপের ফল, মানে ঐ কালো টাকা-ফাকাতো আর সাগরজলে ধুয়ে যাবে না। শুধু পাপটুকু। ওগুলো গা থেকে মুছে আবার নবোদ্যমে বিধবা লতাপিসির বাগানের শাকসবজি খেয়ে পাপ করা শুরু করে চালিয়ে যা পরের পুণ্যস্নান পর্যন্ত। সাধুসাজা চতুর মানুষেরাও এসব পুণ্যকর্ম করে। কেউ এ জন্য গালমন্দ করে না। দু’একজন বোকা গাধা ছাড়া সব বুদ্ধিমান কৃতী গাধারাই সে সব পাপ করে পেট মোটা করে। 

             

যে কোনও মেলা থেকে ফেরার পথে মনে একটা অনাবিল আনন্দ পাবি। কিন্তু বইমেলা! দূর দূর দূর! দু-চারখানা সস্তা বই, কিছু লিটল ম্যাগ আর ব্যাগভর্তি ক্যাটালগ নিয়ে যখন মেলার গেট পেরিয়ে বাইরে আসবি, তখন তোর মন একেবারে শুকনো মরুভূমি হয়ে যাবে। আত্মা পাথর। তখন শুধু মনে হবে মেলায় কত্তো বই আর ট্যাঙ্কের টাকা কত কম। মোট বওয়ার ফাঁকে মেলায় গেলা বইগুলো জাবর কাটার সময় মনে হবে - হায় আমি কত কম জানি।  অন্য মেলায় গিয়ে পেটভরে, মনও ভরে। আর এ মেলায় পাবি শুধু দুঃখের সমুদ্র। এখানকার ক্ষুধা সর্বগ্রাসী। বইয়ের খিদে কখনো মেটে না। যত কিনবি তত কিনতে ইচ্ছে করবে।  কেঁদে কেটে কুল পাবি না একেবারে।  


গুরুজনেরা বলেন বড় সাংঘাতিক দ্রব্য ঐ বই। সর্বদুঃখের কারণ। পশুপ্রাণীদের মানুষই সবচেয়ে দুঃখী। কেন জানিস? বই, মানে যাকে বলে গিয়ানের খনি। সেই জ্ঞানবৃক্ষে ঝুলে থাকা নিষিদ্ধ ফলগুলো যেদিন হতভাগা মহাপাপী মানুষেরা বোকার মত খাওয়া শুরু করল সেদিন থেকেই শুরু হল ওদের দুঃখের ইতিহাস। যে যত বই পড়েছে, যে যত জ্ঞানী হয়েছে সে তত অজ্ঞান অশিক্ষিত বলে নিজেকে ভাবতে শিখেছে। 

এটাকে ডাক্তারী ভাষায় বলে ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স। সক্রেটিস থেকে শুরু করে নিউটন সব লেখাপড়া জানা মানুষেরা নিজেদের অজ্ঞান ভেবে সারা জীবন দুঃখকষ্টে কালাতিপাত করেছে। সারা জীবন আরও আরও জ্ঞান চেয়ে হ্যাংলার মত কাঙাল হয়েছে।  

                

বইমেলায় গেলে তোকেও ওই মারণ রোগে ধরবে। কথায় বলে, বইয়ের নেশা সর্বনাশা। ড্রাগের মত। একবার ধরেছ তো ভবিষ্যত অন্ধকার। ফতুর করে ছেড়ে দেবে ক্যান্সার রোগীর গরীব ছেলেমেয়েদের মত। 

                  

তবে হ্যাঁ, ধর্মীয় বইয়ের কথা আলাদা। সেগুলো গাধারা দুলে দুলে চিবিয়ে চিবিয়ে বেশ খায়। কিচ্ছু অর্থ বুঝতে হবে না, শুধু গলায় ঢুকিয়ে মুখস্ত করে বইগুলো গিললেই হবে। জাবরও কাটতে হবে না হজম করার জন্য। অথচ তোর মনে একটা সবজান্তা আধ্যাত্মিক ভাব জন্মাবে। গাধাদের মধ্যে যারা গুরুবাবা হয় তারা আবার ওই সব বইয়ের গালগপ্পের কোর্টেশন সহ ভক্তদেরকে বাণী শুনিয়ে খুব খাতির পায়। মোট বয়ে চাল কলা ঘাস বিচালি আয় করতে  হয় না তাদের।  যে সব গাধাদের একটু কম বুদ্ধি তাদেরকে স্বর্গের লোভ আর নরকের ভয় দেখিয়ে তাদের মুখ থেকে কচি ঘাস কেড়ে খায় মহানন্দে। আর হদ্দগাধা ঐ বোকা গাধারা নিজেরা অভুক্ত থেকে চতুর গুরুবাবা পুরুতবাবাদের পেট মোটা করিয়ে পুণ্যি  অর্জন করে। যা, রাস্তার ওপারে গাছের তলায় বসে থাকা তেল সিঁদুর মাখা পাথরটায় তোর সামনের পায়ের ক্ষুর ঠুকে প্রণাম করে আয়। পরকালের জন্য পুণ্যি হবে। আজকে বেশি ঘাস দেবে মধু, মরার পর স্বর্গে যাবি। 


হ্যাঁ, যে কথাটা বলছিলাম। এই যে বাংলা অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ। এ দেশে এমন হাড়-হাভাতে দৈন্যদশা কেন জানিস? কবিতা, গল্প, আড্ডা, আর ঐ বইপড়ার নেশা। ঐ নেশাটাই বাঙালি জাতটাকে একেবারে দেউলিয়া করে ছেড়ে দিয়েছে। কর্মবিমুখ। এখানকার লোকেরা বোঝে না যে, যে সময় অনর্থক বই পড়বি সে সময় একটু বেশি করে মোট বইলে মধু ধোপা একটু বেশি ঘাস বিচালী ওভারটাইম দেবে।  দেবে কিনা? সেই অমূল্য সময় হেলায় অপব্যয় করে তোরা যদি কবিতা উপন্যাস আর বস্তাপচা যুক্তিবাদী দর্শন পড়িস কেউ তোকে খেতে দেবে? দেবে না। এই ওয়ার্ক কালচারটা তোরা যদি না বুঝিস গাধাদের জিজ্ঞেস করলেই তো পারিস। অথবা আমাদের জীবনযাপনের বৈজ্ঞানিক কৌশল শিক্ষা নকল করতে পারিস। কেন না আমাদের জীবনই আমাদের বাণী।

                   

উন্নতি নাই তাই ঐ বই নেষুড়ে  মানুষদের।  যারা বই লেখে তারা আরও হতভাগা। যেমন ধর মাইকেল। মেঘনাদ না লিখে যদি বাপের জমিদারিটা দেখতিস, তাহলে পায়ের ওপর পা তুলে কত সুখে কত বেশিদিন বাঁচতিস। তা না করে কাব্য লিখতে গেলি। তাও আবার উল্টোপাল্টা রামচন্দ্র বিরোধী কাব্য। কি লাভ হলো তাতে? ধারদেনা করে অকালে অক্কা পেলি, বৌ পালালো, ছেলে মরল। শেষ বয়সে  'কি ফল লভিনু হায়' বলে মাথা চাপড়ালি। আবার দেখ না, রুশদি নাসরিনদের। কী দরকার ছিল হাবিজাবি লেখবার? খাওয়া পরার তো অভাব ছিল না তোদের। বাড়িতে কোরান, বাইবেল, গীতা, ব্রতকথা, পুরাণেরও অভাব ছিল না দুলে দুলে পাঠ করবার জন্য। বাপেদের পয়সাও ছিল, আবার নিজেদেরও এলেম ছিল পয়সা রোজগারের। ঐ হাবিজাবি বই লেখার জন্যই তো আজ তোরা ঘরছাড়া, দেশছাড়া হয়ে ধার্মিকদের ছুরি, গুলি খাবার ভয়ে পথে পথে ছুটে বেড়াচ্ছিস। এবার বুঝলি ব্যাটা কেন বইমেলায় যাবি না। বইয়ের নেশা মারাত্মক। নতুন বইয়ের গন্ধেও নেশা ধরায়। তাই বুদ্ধিমান গাধারা কখনো বই পড়ে না, বইমেলার ধার দিয়েও যায় না।  

                    

মানুষগুলো কী বোকাবুদ্ধু দেখ। গর্ধবের এক শেষ। হাজার হাজার বছর ধরে ভেবে, কোটি কোটি বই লিখে, দেশ বিদেশের সভা সমিতিতে সেমিনার করে, বিশ্ববিদ্যালয়ে থিসিস লিখে এখনও তারা ঠিক করতে পারল না তারা কী খাবে, কী পরবে, কী ভাবে শোবে, কী ভাবনা ভাববে, আমাদের মত ফুল উলঙ্গ থাকবে, না নটনটীদের মত হাফ উলঙ্গ থাকবে, কী ভাষায় কথা বলবে, কোন সুরে গান গাইবে। শুধু রাশি রাশি বই লিখেই চলেছে। সুস্বাদু নরম কচি কচি ঘাসবিচালী পচিয়ে কাগজ বানাচ্ছে, আর সেই কাগজে হাবিজাবি ছাপছে। কিন্তু এত করে ঐ রামগর্ধব মানুষের দল কোনও কিছুর কুল কিনারা করতে পেরেছে? পারেনি। মনে শুধু প্রশ্ন আর প্রশ্ন। তার উত্তর পেল তো সেটা আবার আর একটা প্রশ্ন হয়ে গেল। সেই নবজাত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে আবার হয়রান। এর শেষ নেই। অনন্তকাল ধরে এই ট্র্যাডিশন চলছে মানুষদের মনে।  

                       

কিন্তু প্রকৃতির সেরা সৃষ্টি গাধাদের দেখ। সেই কোন যুগে গাধাদের মুনি ঋষি সাধু সন্তেরা কত সহজে সব কিছু তাঁদের গর্ধব পুরাণ, গর্ধব শাস্ত্রে, গর্ধব উপনিষদে ঠিক করে দিয়ে গিয়েছেন। সেগুলোর নির্দেশ একেবারে ধ্রুব সত্য। ধ্রুব নক্ষত্রের মত স্থির, নিশ্চল। পরিবর্তন সংশোধন কিচ্ছু করতে হয় না গবেষণা করে। ঠিক কি ভুল বিচার করতে হয় না।  লাখো লাখো বছর আগে একটা গাধা যা ভেবেছে, যা খেয়েছে, সারা পৃথিবীজুড়ে যে ভাষায় কথা বলেছে, যে সুরে গান গেয়েছে, আজও সারা পৃথিবীর তাবৎ গাধারা সেই একইভাবে চলছি, একই সনাতন ধর্ম বিশ্বাসের সাথে পালন করে চলেছি। ভাষা, চিন্তা, ধর্মের বা জীবনযাপনের কোনও ভেদাভেদ মতভেদ নাই গাধাদের মধ্যে। সনাতন ধর্মের কোনও পরিবর্তন, কোনও সংশোধন এমেন্ডমেন্ট কিচ্ছু করতে হয়নি। সারা বিশ্বের সমস্ত দেশের সমস্ত গাধার সনাতন চিন্তারও কোনও ভেদাভেদ নেই। বাঙালিগাধা-ইংরেজগাধা, হিন্দুগাধা-মুসলমান গাধা বলে কোনও কৃত্রিম ভেদাভেদ নেই।  গাধাদের সেই সুপ্রাচীন বিজ্ঞানসম্মত ঐতিহ্য মহান। আমরা মনে করি "বাসুধৈব কুটুম্বকম", সারা দুনিয়ার সমস্ত গাধারা পরস্পর আত্মীয়, পরস্পর ভাই।  আমরা 'ওরা' 'আমরা' ভেদ করি না। বলি না"। তাই আমরা গর্বের সাথে বলি "আমরা গাধা " 

                     

আস্তে চলার জন্য এই যে চাবুকটা খেলি পিঠে, তার জন্য তোর মনে কি কোনও কষ্ট হলো? পিঠটা দু’মিনিটের জন্য সামান্য জ্বলে গেলেও মনে কোনও কষ্ট হয়নি। বুদ্ধিমান গাধাদের মনে কোনও কষ্ট হয় না। কেন জানিস? কেন না আমরা জানি দুনিয়ার নিয়ম অনুযায়ী এটা আমাদের প্রাকৃতিক পাওনা। আমাদের পূর্ণগর্ধব ধর্মগুরু একশোআট শ্রী মহাগাধানন্দ বলেছেন এটা আমাদের বিগত জন্মের পাপের ফল। প্রেমময় ঈশ্বরের অপার করুনা। এতে দুঃখ বেদনার কি আছে। একটু পরে ঘাটে পৌঁছে গেলেই তো কাপড়ের গাঁটরি নাবিয়ে নিয়ে আমাদের ছেড়ে দেবে ঘাস খেতে। আমরা তখন স্বাধীন।  

                   

কিন্তু মানুষকে দেখ। ওরা বইতে পড়েছে যে ফ্রান্স রাশিয়া চীনে দক্ষিণ আফ্রিকায় নাকি বিপ্লব হয়েছে। লন্ডনে মানবাধিকার আন্দোলন হচ্ছে। তুই যদি মূর্খ  মানুষদের ঐসব বই পড়িস তোরও তখন চাবুক খাওয়ার জন্য দুঃখ হবে, রাগ হবে। মন প্রতিবাদ করতে চাইবে। গর্ধবাধিকার কমিশন বসানোর দাবিতে ইনকিলাব করতে ইচ্ছে করবে। অশান্তির একশেষ হবে। তুই তখন মরবি। 

 তাই বলি, বইমেলার ধরে কাছে যাবি না। মানুষদের বোকা বোকা রোগ ওসব।  মরুক ব্যাটারা বইমেলার ধুলাবালি খেয়ে।  আমরা গলায় দড়িঘন্টি বেঁধে টুং টাং করতে করতে দুর্লভ গর্ধব জীবন উপভোগ করি। মালিকের দেওয়া ঘাসবিচালী খাই আর গলা তুলে দু’পা উঁচু করে গাধা প্রজাতির জীবনমুখী গান গাই। চল, হাঁট। 

সমালোচনা: সম্পাদক অথবা 

asokdas.godless@gmail.com/ asokdas1943@gmail.com 

আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86929