ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর - রামকৃষ্ণ, একটি ‘অসফল’ সাক্ষাৎকার
অভিষেক ঘোষ
Nov. 25, 2024 | | views :900 | like:2 | share: 2 | comments :0
পর্ব – ১
কামারপুকুর থেকে আগত দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের পূজারী ব্রাহ্মণ গদাধর চট্টোপাধ্যায় তখন কলকাতায় এক পরিচিত নাম। তিনি প্রায়শই 'বড় মানুষদের' সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্ৰহী হন। তাদের বাজিয়ে দেখতে চান। নিজের কষ্ঠিপাথরে, অন্য কথায় ধার্মিকতার কষ্ঠিপাথরে তাদের বিচার করতে চান। কথামৃতকার শ্রীম তার ভক্ত। তাকে তিনি প্রকাশ করেছেন ঈশ্বর বিদ্যাসাগরের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা। বিদ্যাসাগর অবশ্য পূজারী বামুনটি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না, তাঁর কর্মপরিধি ধর্মকুসঙ্গ থেকে বহুদূরের। কেবল জিজ্ঞাসা করলেন শ্রীম কে "কীরকম পরমহংস? তিনি কি গেরুয়া কাপড় পরে থাকেন?" যাই হোক শ্রীম, যিনি তখন বিদ্যাসাগরের বিদ্যালয়ে কর্মরত এক শিক্ষক, নিয়ে গেলেন তার প্রাণের ঠাকুর রামকৃষ্ণকে বিদ্যাসাগরের বাদুড়বাগানের বাসগৃহে। বিদ্যাসাগর- গদাধরের সাক্ষাৎ হল 5 অগস্ট, 1882 ।
বিদ্যাসাগর তাঁর স্বভাব অনুযায়ী ভদ্র ও সুন্দর ব্যবহার করলেন গদাধরের সঙ্গে। তাঁকে বর্ধমানের মিষ্টি খেতে দিলেন। গদাধর তার স্বভাব অনুযায়ী ধর্মকথায় খই ফোটালেন। একথা সেকথা। সবই একই বিষয়ে ঘোরাঘুরি। কথামৃত পড়লে জানা যায় গদাধরের প্রবচনপ্রিয়তা। বিদ্যাসাগর সম্পর্কেও কিছু ভাল ভাল কথা বললেন, "তুমি তো অবিদ্যার সাগর নও, বিদ্যার সাগর" ইত্যাদি। বিদ্যাসাগরের দয়া করুণার প্রশংসা করলেও ঠারেঠোরে বোঝাতে চাইলেন এসব ঠিক আছে তবে আসলে ঈশ্বরের কথা না ভাবলে সব মাটি। অর্থাৎ কিনা একমাত্র গদাধরের পথটিই অবলম্বনীয়। তিনি যা করছেন তার কাছে এসব দান দয়া সব ফিকে। এসব সারবত্তাহীন ভাবের কথার থেকে মানুষের অভাব যাকে বেশি বিচলিত করতো সেই কর্মবীর মানুষটি 16 বছরের ছোট এক অশিক্ষিত পুরোহিতের কথা কিভাবে নিয়েছিলেন অনুমান করা কঠিন নয় তবে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। বরং "সাগরে এসে মিললাম" এর উত্তরে মজার ছলে, "তবে নোনা জল খানিকটা নিয়ে যান" বলেছেন। কথামৃতে এই সাক্ষাৎকারে কথোপকথনের সিংহভাগ জুড়ে আছে গদাধরের মুখঃনিঃসৃত কথাবার্তা, অন্য কথায় সেই চেনা ধর্মীয় বুলি,যা আছে কথামৃতের সর্বত্র। বিদ্যাসাগর প্রশ্ন করেছেন - "তিনি কি কারুকে বেশি শক্তি, কারুকে কম শক্তি দিয়েছেন?" পাঠক এই প্রশ্নটি মনে রাখুন। এই প্রশ্নের উত্তর থেকে পরে গদাধরের মনোজগতের একটি পরিচয় পাওয়া যাবে।
উত্তরে গদাধর জানান নিশ্চয়ই তাই। তাতে বিদ্যাসাগর মৃদু মৃদু হাসছেন। পাঠক লক্ষ্য করুন, বিদ্যাসাগর প্রায় সমস্ত সময়টাই গদাধরকে নিচ্ছেন হালকা মনে। সহাস্যআননে। গম্ভীর তত্বকথা যা ভাবাতে পারে, তাতে মানুষের আচরণ এরকম হয় না। গদাধরের বচনামৃত যে তাঁর মনে রেখাপাত করছে না, (বা পরেও করেনি) তার প্রমাণ পাতায় পাতায়।
গদাধর বলছেন "তাকে পান্ডিত্য দিয়ে বিচার করে জানা যায় না।" (বিদ্যাসাগর পন্ডিত ব্যক্তি বলেই কি তার সামনে এই জাতীয় কথাপ্রসঙ্গ ?) এর মধ্যে মাঝেমধ্যে তিনি ভাবাবিষ্ট হচ্ছেন। কখনো মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের ভাষায় 'সমাধিমন্দিরে' চলে যাচ্ছেন।
এসব পর্বের পর গদাধর বিদ্যাসাগর কে বললেন "একদিন বাগান দেখতে যাবেন, রাসমণির বাগান"। তাতে বিদ্যাসাগর তৎক্ষণাৎ ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তা যে কেবল কথার কথা ভদ্রতা ছিল, আমার জানতে পারি তিনি কখনোই রাসমণির বাগান দেখতে না যাওয়ায়। পাঠক এই প্রসঙ্গটিও মনে রাখুন।
বেশ কিছুক্ষণ ধরে ধর্মপ্রসঙ্গ করবার পর (অবশ্য কথামৃতে বহু কথার সংযোজন শ্রীমর, এ প্রসঙ্গে পরে আলোচনা করা যাবে) গদাধর বোধহয় বুঝতে পেরেছিলেন এখানে ঠিক হালে পানি পাওয়া যাবে না।
এটি বিদ্যাসাগর - গদাধরের প্রথম ও শেষ সাক্ষাৎকার।
যৌক্তিক দৃষ্টিতে ভাবাটা বোধহয় অসঙ্গত নয় যে তৎকালীন সমাজে গদাধর চট্টোপাধ্যায় নানান লোকের তোল্লাই পেয়েছিলেন। নিজেকেই স্বয়ং অবতার বা ভগবান ভেবেছিলেন কিনা জানি না তবে ভগবান সম্পর্কে তিনি যে একজন authority এই বোধ বেশ দৃঢ় ভাবেই তার মনে গেঁথে গিয়েছিল। শুধুমাত্র উক্ত সাক্ষাৎকারটি নির্মোহ দৃষ্টিতে দেখলেই তা বেশ বোঝা যায়। তিনি অন্যদের চেয়ে বেশ কিছুটা আলাদা (যদিও নিজেকে বহুক্ষেত্রে অধম বলে বিনয় করেছেন) সেই ধারণাও তার অবশ্যই হয়েছিল।
পর্ব – ২
নিজের আগ্ৰহেই যখন গদাধর চট্টোপাধ্যায় কলকাতার তৎকালীন নামী মানুষদের সঙ্গে যেচে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন, নিজের ধর্মে তাদের ভজানোর জন্যই হোক বা 'বড় মানুষ' দেখার ঐকান্তিক আগ্ৰহেই হোক, তখন তিনি নানান মানুষের মত পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্রের সঙ্গেও দেখা করে তাকে নানান ধর্ম প্রবচন দেবার পরে, দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি দেখতে আমন্ত্রণ করেন। বলাই বাহুল্য বিদ্যাসাগর তখন মিষ্টি কথায় তাঁকে, 'আপনি এলেন আর আমি যাব না!' বললেও কখনোই কালীবাড়ির পথ মাড়াননি। কারণ বিদ্যাসাগরের চলার পথ ছিল যুক্তির ও কর্মের। ভাববাদের ও কুসংস্কারের পঙ্কিল ঘূর্ণাবর্ত থেকে তাঁর শিক্ষিত শীলিত যৌক্তিক চেতনা ছিল অনেক দূরের।
এই পর্বে আমরা শুধুমাত্র উক্ত সাক্ষাৎকারটির ভিত্তিতে গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের মনোজগতে সামান্য আলোকপাতের চেষ্টা করব।
সাধারণ দৃষ্টিতে আমরা দেখি পদমর্যাদায় ও সম্মানে বড় কোন মানুষকে একজন সাধারণ মানুষ, যিনি শিক্ষার আলো তেমন পাননি অথবা পদমর্যাদায় অনেক নীচের, তিনি কিভাবে দেখেন? হয় তিনি উচ্চপদের মানুষটিকে অতিভক্তি দেখাবেন নয়তো তাঁর সামান্য ভুল ত্রুটি খুঁজে নিয়ে তাকে, 'আরে ও তো অতি সাধারণ, এই সামান্য কথাও জানে না!' জাতীয় কথা বলে নিজেকে তাঁর চেয়ে বড় দেখানোর চেষ্টা করে নিজের অহংপুষ্টি করবেন। এটি গ্ৰাম অঞ্চলে অতি সাধারণ একটি ঘটনা। আমার ঠিক এই মনোবৃত্তিই দেখতে পাব গদাধরের একটি মন্তব্যে। গদাধর, যে কিনা তৎকালীন সমাজে কিছু পৃষ্ঠপোষকের তোল্লাই পেয়ে বেশ একটু পরিচিতি পেয়েছে, তার ইগো বুস্টেড হয়েছে বেশ ভালই! বিদ্যাসাগর কথার কথা 'আপনি এলেন আর আমি যাব না' বলে, না যাওয়ায়, পরিস্কার বলে বসে, 'বিদ্যাসাগর মিথ্যা কথা কয় কেন?'। পাঠক ভেবে দেখুন বিদ্যাসাগর যে কিনা একা হাতে শিক্ষার মশাল নিয়ে তখন সমাজ সংস্কারে, শিক্ষাবিস্তারে, পরের দুঃখনিবারণে উদয়াস্ত পরিশ্রম করছেন, তখন তাঁকে সরাসরি "মিথ্যাবাদী" প্রতিপন্ন করে দিতেও এই পূজারী বামুনটির বাধছে না! যেন দক্ষিণেশ্বরে এসে বেশ একটু ধর্মকথা শুনে, সমাজে রামকৃষ্ণ কে আরেকটু পরিচিত করে দিলেই সে সত্যবাদী নাহলেই মিথ্যুক। এখানে হয়তো তার বুঝতে ভুল হয়েছে যে ওটা কেবল কথার কথা নয়ত ধরে নিতে হয় বিদ্যাসাগরের কর্মপরিধি কোন মন্দিরের চৌকাঠ দিয়ে যায় না এই সামান্য বিষয় বোঝার মত বুদ্ধিও তার ছিল না। যাই হোক, গদাধরের মন্তব্যটি কথামৃতে রয়েছে।
আগের পর্বে আমরা দেখেছি বিদ্যাসাগর গদাধরকে প্রশ্ন করেছিলেন (কথামৃত অনুযায়ী) -"তিনি কি কাউকে বেশি কাউকে কম শক্তি দিয়েছেন?" তাতে গদাধর জানান, নিশ্চয়ই, নাহলে তোমাকেই বা এত লোকে মানে কেন, 'তোমার কি শিং বেরিয়েছে দুটো?'
পরে কথামৃতে দেখি এই প্রশ্নে গদাধরের ছদ্ম অহং কিভাবে পুষ্ট হয়েছিল তারই একটি মন্তব্য থেকে। গদাধর বেশ নিজেই নিজেকে সাবাশ দেবার কায়দায় বলে বসে, "বিদ্যাসাগরের এক কথায় তাকে চিনেছি!” এই জাতীয় গভীর আত্মবিশ্বাস ও তার আত্মম্ভরী ঘোষনা একমাত্র মূর্খের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যে কিনা এক কথায় কাউকে চিনে যাবার দাবি করতে পারে! এখানেও সেই পূর্ব কথিত মনস্তত্ব কাজ করেছে বলে প্রতীয়মান হয়। আসলে তার মত এক 'অবতার' ধরাধামে নেমে লীলা করছে, 'যেই রাম সেই কৃষ্ণ সেই এই দেহে রামকৃষ্ণ', তাকে কিনা এতখানি উপেক্ষা! নিজে যেচে গিয়ে ডাকলেও না আসা! নিশ্চয় গদাধরের অহং তীব্র আহত হয়েছিল। তাই কি এতখানি বিষোদগার বিদ্যাসাগরের বিরূদ্ধে? অনুমান করা কঠিন নয়।
আচ্ছা তথাকথিত 'যত মত তত পথ' এর প্রবর্তক হঠাৎ করেই বিদ্যাসাগরের পথটিকে গ্ৰহনযোগ্য মনে করেননি কেন? তার মধ্যে তাহলে আসলে সংকীর্ণতাই ছিল,এমন মনে হয়নি কি?
পাঠকদের প্রসঙ্গক্রমে তিনটি ঘটনা জানিয়ে বলি -
ঘটনা ১ : শ্রীম অর্থাৎ মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। একবার বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় বিদ্যাসাগর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি খবর পেয়েছিলেন দক্ষিণেশ্বরের পরমহংসের কাছে বেশি যাতায়াতের জন্যই শ্রীম বিদ্যালয়ে যথেষ্ট সময় দিতে পারতেন না। শ্রীম গুরুর অপমান হচ্ছে বুঝে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। ধন্য শিক্ষক বলতে হয়! যার কাছে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল গুরুর সম্মান!
ঘটনা ২ : ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার বদলে ধর্মশিক্ষা বেশি দিচ্ছেন খবর পেয়ে বিদ্যাসাগর (তাঁর ছাত্রতুল্য) তাঁর বিদ্যালয়ে কর্মরত নরেন্দ্রনাথ দত্তকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন। প্রাতঃস্মরণীয় মহাপুরুষ বিদ্যাসাগরের স্পষ্ট মতামত ছিল শিক্ষকরা অবশ্যই ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুক্ত থাকবেন।
ঘটনা ৩: গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর, তাঁকে নিয়ে কোন অনুষ্ঠান করবেন হলে তার শিষ্যরা বিদ্যাসাগরের কাছে চাঁদা চাইতে যান। সেই বিদ্যাসাগর যিনি অন্যের কষ্টে অনেকসময় অপাত্রেও দান করেছেন, তিনি তাদের একটা টাকাও দেননি।
নিশ্চয় দেশের যুবসমাজ যাঁদের তিনি চেয়েছিলে আধুনিক শিক্ষিত ও যুক্তিবাদী করে গড়ে তুলতে, তাদের এভাবে পথভ্রান্ত হতে দেখে একজন মানুষ গড়ার কারিগর বিদ্যাসাগর খুবই মর্মাহত হয়েছিলেন।
এই ঘটনা ও উপরের আলোচনা থেকে বোধহয় যুক্তিবাদী পাঠকের কাছে এই বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে বিদ্যাসাগরের,তথাকথিত পরমহংস এবং তাদের চেলাদের সম্পর্কে মনোভাব কেমন ছিল। তিনি এই ধর্মের নামে সমাজকে অন্ধকারের দিকে যেতে দেখছিলেন যা তাঁর নিজের সমাজ ও মানবগঠনের পরিপন্থী ছিল।
কাজেই সাক্ষাৎকারটি চূড়ান্তভাবে 'অসফল' হয়েছিল একথা বলাই বাহুল্য।
এই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গেই কথামৃত গ্ৰন্থটি সম্পর্কে দু'একটা কথা বলা যায়। তথাকথিত শ্রুতিধর শ্রীম র ওপর অভিযোগ তিনি একটি কি দুটি শব্দ থেকে অনেক পত্রপল্লব বিস্তার করেছেন। যাকে সোজা কথায় ফেনানো বলা যায়। এই ফেনানো যে অনেকক্ষেত্রে ভক্তসুলভ এবং সত্যের উলটো দিকে গিয়েছে সেটাও অনুমান করা খুব কঠিন নয়। যেখানে শ্রীমর সমকালীন ভক্তরাই কথামৃতকে খুব trustworthy মনে করতেন না। রামকৃষ্ণ র কথিত গ্ৰাম্য slang ও গালিগালাজ গুলি অনেকক্ষেত্রে বাদ গেছে। নিশ্চিতভাবেই গুরুকে glorify করতে। কথামৃতের পূর্ব সংস্করণে ‘শালার পন্ডিত’ কথাটি ছিল। এখন সেটি অবশ্য edit out হয়েছে। এরকম আরো নানা ক্ষেত্রে।
বঙ্কিমচন্দ্র র সঙ্গে গদাধরের সাক্ষাৎ বিষয়টিতে প্রথমে শ্রীম নিজ উপস্থিতির কথা বললেও পরের সংস্করণে তার উপস্থিতি না থাকার কথা জানান। কাজেই ঈশ্বরচন্দ্র -গদাধর সাক্ষাৎকারের মন্তব্যগুলি, বিশেষত বিদ্যাসাগরের ভক্তসুলভ আপনি আজ্ঞা জাতীয় মাখোমাখো মন্তব্যগুলি কতখানি সত্যি আর কতখানি রঙচড়ানো তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে।
যুক্তিবাদী দৃষ্টিতে পারম্পর্য ও চরিত্রবিশ্লেষণ করে ভক্তরচিত কেতাবগুলি পড়লে বিষয়গুলি আরো স্পষ্ট হতে থাকবে।
পুস্তক সহায়তা - প্রাগুক্ত।
(১) শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত, লেখক- শ্রীম,প্রকাশক- উদ্বোধন
(২) কামারের এক ঘা, লেখক- রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য, প্রকাশক- পাভলভ ইন্সটিটিউট
ছবি ঋণ - ড্রয়িং অ্যাকাডেমি।