অবিশ্বাসের ব্যবসা ভাঙতে হবে
সায়ক সরকার
Nov. 25, 2024 | | views :278 | like:0 | share: 0 | comments :0
আমাদের প্রয়োজনে আজকে আমরা 6G, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence), Internet Of Things, অটোমেশন নিয়ে কাজ করছি। এই প্রযুক্তি ভারতের মতো দেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য তে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে।
একটা সময় ছিলো যখন আদিম মানুষ পশু শিকার করে খেত, আজকে সেই মানুষ একটি চাপে কয়েক আলোকবর্ষ দূরের তথ্য পেয়ে যাচ্ছে।
আজকে আমরা পৃথিবীর গতি সম্পর্কে এতটাই জানি যে পৃথিবীর বাইরের কক্ষপথে স্যাটেলাইট পাঠিয়ে দিচ্ছি।
একটা সময় আমরা এসব কিছু জানতাম না, আগুন বা বৃষ্টির ভয় আমাদের এক অদৃশ্য শক্তি সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করেছিল। আজকে সেই শক্তির খোঁজ আমরা পেয়ে গেছি।
কিন্তু আজও অনেক মানুষ সেই পুরোনো ভুল বিশ্বাস আকড়ে ধরে বসে আছে, তারা এতটাই উন্মাদ যে সেই বিশ্বাস গুলোকে সমাজের বুকে টিকিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা করে, কারণ তাতে তাদের লাভ। সমাজের বুকে তারা নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে নেতা স্থানে বসবে। হাজার বাধা সত্বেও ডিরোজিও, রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর রা শেষ অবধি লড়ে গেছিলো। কোনো ক্ষমতা তাদের দমাতে পারেনি
পুরনো ভাবনা গুলো ধর্ম, সংস্কৃতির আড়ালে বেড়ে উঠছে। সেগুলো মানতে না চাইলে বলে দেওয়া হয় যে অমুক জায়গার লোক হয়ে অমুক সংস্কৃতি কিভাবে অস্বীকার করতে পারি।
একটা সময় চিঠিতে কথা বলতাম, এখন ভিডিও কল করে একে অপরকে দেখতে পারি। পরিবর্তন সমাজের নিয়ম, একের পর এক জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে সে এগিয়ে যাচ্ছে।
তাহলে ধর্মীয় বিশ্বাস আর সংস্কৃতির আড়ালে যে পুরোনো বিশ্বাস গুলো সমাজে আছে সেগুলো যাবে না কেন? ফেসবুক - টুইটারে সেই বিশ্বাসের নামে কিছু লোক সমকামিতা পাপের চোখে দেখে, ছোট পোষাক পরা কে ঘৃণার চোখে দেখে, তাদের বিশ্বাস না মানায় এমন করে যেনো ভিনগ্রহের প্রাণী দেখে ফেলেছে।
বিজ্ঞানের পরিবর্তনের সাথে মানুষ নিজেকে সব দিক থেকে নিজেকে ছাপিয়ে যাবে, এটা ঠেকানোর চেষ্টা বোকামি। গ্যালিলিওর তত্ত্ব আজকে দাঁড়িয়ে প্রমাণিত
অনেকে তাদের পুরোনো ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞানের হদিস পায়। তাই যদি হয় সেই সময়ে দাড়িয়ে আজকের সাফল্য পাইনি কেন?