ধরুন আপনি দোকানে গেছেন। দোকানদারকে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসটির মূল্য বাবদ কিছু টাকা দিয়ে বললেন, " আমাকে অমুক একটা দিন তো"। দোকানদার আপনার হাত থেকে টাকা নিয়ে আপনাকে আপনার প্রাপ্য জিনিসটি না দিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। তখন আপনি কী করবেন?
আপনি প্রথমে তাকে বিষয়টি জানাবেন। তারপর ক্রমশ বাকবিতণ্ডা শুরু হবে, যা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়াতে পারে। শেষমেশ দোকানদার তার ভুল স্বীকার করে আপনার প্রাপ্য জিনিসটি আপনাকে দিল।
ঠিক সেইরকম, আপনি সরকারকে নিজের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাবদ, ক্রয়কৃত পণ্য বাবদ, পরিবহণ বাবদ, উপার্জন বাবদ ও আরো নানা বিবিধ উপায় কর প্রদান করছেন। তার বিনিময় আপনি আপনার প্রাপ্য দাবি করবেন না? যখন আপনি তা পাচ্ছেন না।
আপনার প্রাপ্য থেকে আপনাকে বঞ্চিত করা যেমন অন্যায়, ঠিক তেমনই সেই অন্যায় মুখবুজে মেনে নেওয়াও অন্যায়। সে অন্যায় যেই করুক, তার প্রতিবাদ করা আপনার অবশ্য কর্তব্য। অন্যায়ের সাথে আপোস করা কখনো উচিৎ নয়। এই আপোস না করার নামই আন্দোলন।
আপনি আপনার পরিবারে অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করুন, আপনি আপনার কর্মস্থলে অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করুন। আপনি প্রতিবাদ করুন আপনার সাহিত্যে, আপনার অঙ্কিত চিত্রে - স্থাপত্যে- ভাস্কর্যে, চলচ্চিত্রে। আপনি প্রতিবাদ করুন আপনার সঙ্গীত- আবৃত্তি- অভিনয় সত্বার মধ্য দিয়ে। আপনি প্রতিবাদ করুন রাজনীতির ময়দানে।
অন্যায়ের প্রতিবাদে সংগঠিত আন্দোলন দমন করা ঘোরতর অন্যায়। ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে হোক, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে হোক, আমাদের উচিৎ তার তীব্র প্রতিবাদ করা। মনে রাখবেন, ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে অন্যায়ের সাথে আপোস করে, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব নয়।