ভক্ত পদাবলী: নেহরু, চীন এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘ

অনুজ বিশ্বাস


Nov. 24, 2024 | | views :279 | like:0 | share: 0 | comments :0

গালওয়ান উপত্যকা এবং ডোকালাম অঞ্চলের সীমান্ত সমস্যা প্রসঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বলেছেন “ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা। জওহরলাল নেহেরু সেটি না নিয়ে চীনকে দিয়ে দেন। তাই আজ আমাদের এতো খারাপ অবস্থা।”

পোষ্ট ট্রুথ সময়কালে দাঁড়িয়ে আজকের বিজেপি নেতারা পেট গজিয়ে যা বলে সেটি “ইতিহাস” হয়ে যায়।  যেমন হঠাৎ একদিন সকালে বলে দিল যে “শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী পশ্চিমবঙ্গ তৈরি করেছিলেন”। অমনি সঙ্গে সঙ্গে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, দেশপ্রাণ বীরেন শাসমল, নেতাজি সুভাষ, ডঃ প্রফুল্ল ঘোষ, প্রফুল্ল সেন, অতুল্য ঘোষ, কিরণ শঙ্কর রায়, কালিপদ মুখার্জী, সতীশ দাশগুপ্ত, অজয় মুখার্জী, খগেন দাসগুপ্ত, লোকনাথ বল, সতীশ সামন্তদের মতো 10-15 বছর জেলে কাটানো সর্বত্যাগী “সন্ন্যাসী” স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আগে ট্রেন্ড করতে শুরু করে দিলেন “শ্যামা দা” .. যে শ্যামাদা ইউনিয়ন জ্যাক জড়িয়ে ধরে ঘুমোতেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকা কালীন ইউনিয়ন জ্যাক অমান্য করার অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বেত মারার হুকুম দিয়েছিলেন। এই শ্যামাদা 1941 সালে জিন্নার হাতে পায়ে ধরে তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার মুসলিম লীগ জোট সরকারের অর্থমন্ত্রী তথা ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার হয়েছিলেন (তখন রাজ্যের প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী বলা হত)। বাংলা ভাগের পক্ষে শ্যামাদা ভোট দিয়েছিলেন মুসলিম লীগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে। মনে বড়ো বাসনা ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কিন্তু যখন দেখলেন কংগ্রেস মন্ত্রীসভায় তার কোনো জায়গা হবে না, মুখ্যমন্ত্রী হবেন প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ, উপরন্ত জহরলাল নেহেরুর দয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রথম শিল্প মন্ত্রী হয়েই থাকতে হবে তখন দেশভাগকে হাতিয়ার করে বলে বসলেন, “অখন্ড ভারত”।

লে হালুয়া।.. এখন তো আর দেশ জোড়া লাগানো যাবে না... এখন যত পারি অখণ্ড ভারত বলে চিল্লা-চিল্লি করি। “... ভাঙো, ভাঙো, ভাঙো, ভাঙো। .. যেই ভেঙে গেলো, অমনি শ্যামাদা ডাক ছেড়ে বলে উঠলেন, “জোড়ো”... দেশীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক থাকার জন্য, বিরোধিতা করার জন্য ওনাকে বিরোধিতা করতেই হবে। আর বিরোধিতা করতে গিয়ে শ্যামাদা এমন ভাবে রং বদলাবেন যে গিরগিটি অব্দি লজ্জা পাবে। যাই হোক, ১৯৫৩-তে dry pleurisy -তে শ্যামাদা পটল তোলার পরে 2019 সালে শ্যামাদা হঠাৎ বেঁচে উঠে এখন ঘোরাফেরা করছেন........“শ্যামা নামে লাগলো আগুন”।

এখন অমিত বাবু হঠাৎ বলছে যে, “ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করার প্রস্তাব চীনকে দিয়ে দিয়েছিলেন নেহেরু।“

1955 সালে 27 শে সেপ্টেম্বর সংসদে নেহেরু কি বলছেন?

“ভারতকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি... যারা রটিয়ে বেরাচ্ছে তারা ভুল রটিয়ে বেড়াচ্ছে। .. ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে গেলে রাষ্ট্রসংঘের সনদ পরিবর্তন করতে হবে যে সনদের মাধ্যমে 1945 সালে স্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। .. সে সনদ পরিবর্তন করা এখন সম্ভব নয়... ভারত নিজের জোরেই একদিন রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করবে।“


তাহলে চীন ঢুকলো কি করে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসাবে 1949 সালে?

উঃ চীন 1949 সালে ঢোকেনি... ঢুকেছে 1971 সালে। 

1971 সালের 15ই জুলাই, রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ পরিষদের (General Assembly) 26 তম অধিবেশনে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের চীন সফর করে মাও জে দঙের সঙ্গে মিটমাট করে আসার পরে আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদতে আলবেনিয়ার নেতৃত্বে 17টি দেশ একযোগে  Restoration of the lawful rights of the People's Republic of China in the United Nations নামে একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে, যেটা  The United Nations General Assembly Resolution 2758 (Resolution on Admitting Peking) নামেও পরিচিত। এই প্রস্তাব থেকেই যত সমস্যার উদ্ভব হয়। ঠাণ্ডা যুদ্ধে চীন কে পাশে পাওয়ার জন্য 25 অক্টোবর 1971 সালে 76-35 ভোটে এই প্রস্তাব চীনের পক্ষে পাস করানো হয় এবং রাষ্ট্র সংঘে চীনের অনুপ্রবেশ ঘটে। যদিও আমেরিকার উদ্দেশ্য সফল হয়নি। এই ঘটনার দুই মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ মুক্তি যুদ্ধে  পাকিস্তানকে সাহায্য করতে গিয়েও রাশিয়ার ভয়ে চীন ব্যাক গিয়ার দেয় এবং মাদাগাস্কার প্রণালী থেকে ব্রিটিশ নৌবহর ল্যাজ গুটিয়ে পালায়। তথাপি ভিয়েতনাম যুদ্ধের ক্রমাগত ভয়াবহ পরিণাম, চীনের ভৌগোলিক অবস্থান এসব কারনে চীনকে যে কোনও মূল্যে পাশে পাওয়ার জন্য নিক্সন গিয়েছিলেন মাও এর সাথে সেটিং করতে।


সেকি? এ তো নতুন কথা। .. তাহলে 1949 থেকে 1971 পর্যন্ত কি হয়েছিল?

উঃ নাম নিয়ে বিবাদ। এই বিষয়টা একটু বিশদে জানা দরকার।

1912 সালের জানুয়ারি মাসে মাঞ্চু রাজবংশের পতন ঘটিয়ে সান ইয়াত সেনের নেতৃত্বে স্বাধীন ও সার্বভৌম Republic of China প্রতিষ্ঠিত হয়। অর্থাৎ 1912 থেকেই চীন একটি স্বাধীন দেশ। 1917 সালে ব্রিটেনের নেতৃত্বে চীন মিত্র বাহিনীর পক্ষে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেয় এবং ইংরেজদের স্বাভাবিক মিত্র (Natural Ally) হিসাবে কাজ করে। 1945 সালের 26 জুন রাষ্ট্র সংঘ প্রতিষ্ঠার সময় যে 51টি দেশ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে সনদে স্বাক্ষর করে তাদের মধ্যে অন্যতম এই Republic of China, আমাদের দেশেও ছিল কিন্তু স্বাধীন দেশ হিসাবে নয়, ব্রিটিশ ভারত হিসাবে আর চীন ছিল স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসাবে। কিন্তু যখন রাষ্ট্র সংঘের স্বপক্ষে অনুসমর্থন বা Deposit of Ratification দেওয়ার সময় আসে তখন তৎকালীন চিনা প্রেসিডেন্ট চিয়াং কাইসেক তা জমা দেন 28 সেপ্টেম্বর 1945 এবং ব্রিটিশ ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে তৎকালীন বড়লাট লর্ড মেয়ো, যুদ্ধোত্তর দেশের পুনর্গঠনের অজুহাত দেখিয়ে Deposit of Ratification জমা করেন 30 অক্টোবর 1945.... স্বাভাবিক ভাবেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে চীন ভারতের চেয়ে অনেক এগিয়ে যায়। 

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ১৯৪৫ সালে করা হয় Republic of China (ROC) কে, তখন সেই দেশের প্রধান ছিলেন চিয়াং কাই শেক এবং ওই ROC ছিল বর্তমান চীন ভূখণ্ডই। 1945 সালে যে পাঁচটি দেশ রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী এবং ভেটো ক্ষমতাধারী সদস্য (ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীন) তারা প্রত্যেকেই স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদ অনুযায়ী কোনও পরাধীন অথবা যুদ্ধপরাধী দেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ভেটো প্রদানকারী সদস্য হতে পারে না। তাই জাপান, জার্মানীর মত দেশ যুদ্ধপরাধী বলে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্যতা লাভ করে অনেক পরে। ভারত স্বাধীন হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সৃষ্টির আরো 2 বছর পরে আর ততদিনে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংবিধান সংশোধনের সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সে কারনেই, আজ অবধি ষষ্ঠ কোনও দেশ এই গ্রুপে ঢুকতে পারেনি। 


 ১৯৪৯ সালে মাও যে দঙের নেতৃত্বে চীনে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।  কমিউনিস্ট পার্টি চিয়াং কে পিটিয়ে তাইপেতে পাঠিয়ে দেয়, যেটির নতুন নাম হয় তাইওয়ান এবং সেই নতুন দ্বীপরাষ্ট্রের নাম হয়, Republic of China (RoC) ... আর মূল চীন ভূখণ্ডের নাম হয় Peoples Republic of China (PRC) ... মাও যে দঙের নেতৃত্বে। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্য হিসাবে তো UN charter অনুযায়ী জ্বলজ্বল করছে ROC.. সেটা তাহলে এখন কারা? মূল ভূখণ্ড না তাইওয়ান? শ্যাম রাখি না কুল রাখি? চিয়াং কাই শেককে রাখি? না চীনের মূল ভূখন্ডকে রাখি?


এবারে এই দুটোর দেশের মধ্যে কোন দেশটি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হবে? আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেনের মতো পুঁজিবাদী রাষ্ট্র বলতে থাকে, তাইওয়ানই স্থায়ী সদস্য হওয়ার উপযুক্ত। কমিউনিস্ট রাশিয়া সমর্থন করতে থাকে চীনকে। 


দুটো দেশকেই কেন একসঙ্গে সদস্য করা যাচ্ছিলো না?

 ROC এবং PRC কেউ কারুর অস্তিত্ব মানছিল না এবং আজও মানে না... দুজনেই বলছিল তারাই মূল ভূখণ্ড এবং তাইওয়ানের শাসক। .. কিন্তু ধীরে ধীরে পশ্চিমী দেশগুলোও PRC কেই নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য মানতে শুরু করে যখন ১৯৬৯ সালের মার্চ মাসে চীন – সোভিয়েত সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয়। আমেরিকা সেই সুযোগটা হাতছাড়া করেনি।  তাইওয়ানকে বিশেষ কিছু ব্যবসায়িক সুবিধা দিয়ে চীনের মূল ভূখণ্ডকেই নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করা হয় সোভিয়েতকে কোনঠাসা করতে। এর পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে ঠান্ডা যুদ্ধ। যদি আমেরিকার সাথে ইউরোপের কোনও দেশের ঠান্ডা যুদ্ধ লাগতো তাহলে কেউ চীনের দিকে ফিরেও দেখতো না। কিন্তু সংঘর্ষ বাধলো রাশিয়ার সঙ্গে। এক্ষেত্রে চীনের ভৌগোলিক অবস্থান ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে ভিয়েতনাম যুদ্ধের শোচনীয় অবস্থা,  তার উপরে রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সীমান্ত সংঘর্ষ। অর্থাৎ শত্রুর শত্রু মানে আমার বন্ধু। এই ফর্মুলা মেনেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের চীন সফর করে মাও জে দঙের সঙ্গে মিটমাট করে আসার পরে আমেরিকার ইশারায় আলবেনিয়ার নেতৃত্বে 17টি দেশ একযোগে  Restoration of the lawful rights of the People's Republic of China in the United Nations নামক প্রস্তাব উত্থাপন করে যা  The United Nations General Assembly Resolution 2758 (Resolution on Admitting Peking) নামেও পরিচিত। ভোটাভুটিতে পাশ হওয়ার পর রাষ্ট্রসঙ্ঘের পক্ষ থেকে সরকারী ভাবে জানানো হয়, "Recognising that the representatives of the Government of the People's Republic of China are the only lawful representatives of China to the United Nations and that the People's Republic of China is one of the five permanent members of the Security Council.

Decides to restore all its rights to the People's Republic of China and to recognise the Representatives as the only legitimate representative of China to the United Nations, and to expel forthwith the representatives of Chiang Kai-shek from its place..." 

1976th plennary meeting, dtd. 25 October 1971.

তাহলে নেহেরু আসছেন কোথা থেকে?

উঃ 1949 সালে নেহেরু নিজের মতামত দিয়েছিলেন যে দুই চীনের মধ্যে একজনকে যদি করতেই হয়, তাহলে পুঁচকে দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে না করে জনসংখ্যার কারণেই মূল চীন ভূখন্ডকেই অর্থাৎ PRC কেই নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করা হোক। এটা সম্পুর্নভাবে নেহেরুর ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ।


কিন্তু আমেরিকা তো ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল?

উঃ কোনো সরকারি প্রস্তাব আসেনি... কেনেডির মতো কেউ কেউ মনে করতেন যে গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে ভারতেরই রাষ্ট্রসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া উচিত। .. কিন্তু সেক্ষেত্রে UN charter বা রাষ্ট্রসংঘের সনদ পরিবর্তন করতে হতো। আমেরিকা চাইলেই হতো না, সোভিয়েত ভেটো প্রয়োগ করে আটকে দিতে পারতো। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম আমেরিকার গায়ের জোরে ভারতকে স্থায়ী সদস্য হওয়ার আহ্বান জানালো, তাহলে তো রাষ্ট্রসঙ্ঘের নথিতে সেসব উল্লেখ থাকতো। এমন কোনও নথি রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাফেজখানায় পাওয়া যায় নি। যদি এমন কিছু ঘটতো তাহলে তার নথি অবশ্যই থাকতো। রাষ্ট্রসঙ্ঘ কোনো NDA সরকার নয়, যাদের সব কিছুতেই No Data Available থাকে।

তাহলে নেহরুর রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ অগ্রাহ্য করার তথ্যটি মিথ্যা?


উঃ ওই “শ্যামা দা”-র হঠাৎ করে মৃত্যুর 66 বছর পরে “পশ্চিমবঙ্গের রূপকার” হয়ে যাওয়ার মতো “সত্য “... “স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে গল্প “ করতে করতে শ্যামাদা হঠাৎ পশ্চিমবঙ্গকে কখন যে টেনে ভারতে নিয়ে এনে ফেললেন, অন্ধভক্তরা ছাড়া কেউ ধরতেই পারলো না। নেহরুর রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্যপদ চীনকে দিয়ে দেওয়ার গপ্পটিও অমন “শ্যামাদা”-র গপ্পের মতোই whatsapp university তে লেখা হয়েছে। কিভাবে লেখা হয়েছে সেকথা জানতে গেলে কিন্ত নিজের মগজাস্ত্রটি  গোয়াল ঘরে জমা রাখতে হবে।।

অনুজ বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর, নদীয়া।

বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের ডাক বিভাগে কর্মরত।

আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86929