(একটি ছোট্ট কাহিনী)
ইউরোপের নরওয়ে দেশের মধ্যে একটি সুন্দর গ্রাম ছিল। গ্রামটির নাম ‘God's Land’(ভগবানপুর)। সেখানে রাস্তাঘাট ছিল অতি সুন্দর, পুকুর ছিল মাছে ভর্তি, মাঠ ছিল ফসলে ভর্তি, স্বাস্থ্য সেবা অসাধারণ। গ্রামের জনসংখ্যা খুবই অল্প, প্রায় 20 জনের একটি গ্রাম। এককথায় অসাধারণ সুন্দর একটি গ্রাম যা শুধু কল্পনার জগতেই শোনা যায়।
সেখানে মানুষদের সুরক্ষার জন্য একজন সেনাপতি ছিল, তার নাম ছিল এলোহিম। সেই গ্রামের সব মানুষ তাকে ঈশ্বরের মত শ্রদ্ধা করতো এবং তাকে বিভিন্ন দামী দামী উপদৌকন এবং খাবার দিয়ে যেত। এলোহিমের সাথে তার আরও 4 জন সৈনিক থাকত। তারাও আনন্দের সাথে সেই সব গ্রহণ করত। গ্রামবাসীর এই সব কর্মের পিছনে একটা বিশ্বাস ছিল যে কোনো বিপদ আসলে এলোহিম্ এবং তার সৈনিকটা তাদের বাঁচাবে।
এই রকম ভাবেই তাদের জীবন চলছিল। হঠাৎ একদিন 5 জনের একটি ডাকাতের দল তাদের গ্রামে হামলা করল। তারা প্রাণের ভয়ে এলোহিমের কাছে ছুটে গিয়ে তাদের রক্ষা করার আবেদন জানাল। কিন্তু আশ্চর্য রকম ভাবে এলোহিম তাদের জানাল, “আমি তোমাদের কিচ্ছু সাহায্য করতে পারবো না।” এই কথা শুনে গ্রামবাসীরা কাকুতি মিনতি করতে লাগল তাদের বাঁচানোর জন্য। এলোহীমের কাছে তার পায়ে পড়ে নিজেদের প্রাণের ভিক্ষা চাইতে লাগলো। কিন্তু সেই সব কিছুই এলোহিমকে তার স্থান থেকে সরাতে পারলো না। তখন তারা গ্রামের শিশুদের এগিয়ে দিয়ে বললো, “আমাদের না হয় ছেড়ে দিন, এই ছোট্ট শিশুদের তো বাঁচান”। কিন্তু এলোহিমের কঠোর মন কিছুতেই শুনলো না। শেষে এলোহিম বলল, “আমি আসলে ঈশ্বর, আমার এটাই কাজ, আমি শুধু দেখি”।
তারপরে ডাকাতের দল গ্রামের সমস্ত মানুষকে এক এক করে হত্যা করল। এলোহিম শুধু চুপ চাপ দেখে গেলো। আর বললো, “এটাই তোদের ভাগ্যে ছিল”।