(মনস্তাত্বিক ভ্রম সম্পর্কে একটি ছোটো প্রবন্ধ)
আমাদের চারপাশে যা কিছু ঘটে সেই তথ্যগুলিকে আমরা আমাদের মস্তিষ্কের সাহায্যে বিশ্লেষণ করে আমরা বুঝতে পারি ঘটনাটি কী, কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল, আবার এক তথ্য থেকে অন্য তথ্যে উপনীত হই। এই বিশ্লেষণ এর কাজটিকেই বলা হয় যুক্তি বা লজিক।
আবার এই মস্তিষ্কই কখনো কখনো তথ্যপ্রমাণের ভুল উপস্থাপনা করে, যার ফলে সঠিক বা বাস্তব তথ্য আমাদের সামনে বর্তমান থাকলেও আমরা অন্যকিছু বুঝি বা অন্যকিছু অনুভব করি বা অন্যকিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হই। এটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু এই বিভ্রান্তিগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া, বিভ্রান্তিগুলিকে চিনতে শেখা এবং এড়িয়ে চলার যতটা সম্ভব চেষ্টা করা জরুরি।
বিভ্রান্তিগুলি বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হতে পারে। যেমন আমাদের স্মৃতি, শিক্ষা, বিশ্বাস, ধ্যানধারণা ইত্যাদিও প্রভাব ফেলতে পারে আমাদের অনুভূতি, চিন্তা, যুক্তির উপরে। আবার জন্মগতভাবে আমরা (যেকোনো মানব মস্তিষ্ক) কিছু কিছু বাঁধাধরা চিন্তাপদ্ধতির শিকার যার ফলে এইপ্রকার ত্রুটির উদ্ভব হয়। আজকের আলোচনায় রোগজনিত বা প্যাথলজিক্যাল বিভ্রম গুলিকে বাদ রাখছি। বিভ্রম বা ভ্রান্তি গুলিকে মোটামুটিভাবে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায়।
১. ফ্যালাসি (fallacy), বা যুক্তির ফাঁকি ।
২. বায়াস (bias), বা কোনও ঘটনায় একটি ব্যাখ্যা বা একটি সম্ভাবনার উপরে প্রকৃত ব্যাখ্যার চেয়ে একটি ভুল ব্যাখ্যাকে অধিক গ্রহণযোগ্য বলে মনে হওয়া।
৩. ইলিউশন (illusion), বা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অনুভূতির ত্রুটি।
৪. প্যারাডক্স (paradox), বা এমন ঘটনা যা আপাতদৃষ্টিতে যুক্তির বিপক্ষে যায় বা যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়না, কিন্তু গভীরভাবে তদন্ত করলে এটি যুক্তিগ্রাহ্য ঘটনা। (আবার অনেকসময় পরস্পরবিরোধী যুক্তি কেও প্যারাডক্স বলা হয়) ইত্যাদি।
কোনও কোনও ত্রুটি এদের মধ্যে একাধিক শ্রেণীতে পড়তে পারে। এরা আবার মূলতঃ যুক্তির ভুলের কারণেই হতে পারে (লজিকাল এরর) অথবা এর পিছনে কোনো মনস্তাত্বিক কারণ থাকতে পারে (সাইকোলজিক্যাল এরর, সাইকোলজিক্যাল বায়াস) আমরা এদের মধ্যে অল্প কিছু উদাহরণ নিয়ে আলোচনা করবো। মনে রাখতে হবে, সাইকোলজিক্যাল এরর, লজিকাল এরর এর মতই গুরুত্বপূর্ণ; বিচারপতি থেকে নীতিপ্রণেতা, গরীব ভোটার বা মধ্যবিত্ত খরিদ্দার, যে কেউ এইসব বিভ্রান্তির শিকার হতে পারেন। আবার রাজনীতিক বা ধর্মপ্রণেতা, সাধারণ জনগণ কে প্রভাবিত করতে নানা মনস্তাত্বিক কৌশল এর সাহায্য নিতে পারেন যা থেকে সতর্ক হওয়া অতীব জরুরি।
যুক্তির ভুল
বিশুদ্ধ যুক্তির ভুল বলে হয়ত কিছু হয়না, কারণ যুক্তি আমাদের মন এবং মস্তিষ্কের ই অংশ। তবুও সাধারণভাবে যুক্তি বা কার্যকারণ সম্পর্ক বা অন্য শ্রেনীবিভক্তকরণে ভুল হলে সেগুলিকে যুক্তির ফাঁকি বা যুক্তির ভুল (লজিকাল ফ্যালাসি) বলা হয়। ধরা যাক নিম্নলিখিত কয়েকটি তথ্য বা বক্তব্য।
১. কুকুরের একটি লেজ
২. গরুর একটি লেজ
অতএব কুকুর হল একটি গরু।
কিংবা
১. মানুষের পাঁচটি আঙ্গুল
২. রামবাবুর চারটি আঙ্গুল
অতএব রামবাবু মানুষ নয়।
এগুলি কিছু যুক্তির ভুল যা সহজেই ধরা পড়ে। তবে মনস্তাত্বিক বিভিন্ন কারণে অনেকসময় এই ভুলগুলোই সত্যি মনে হয়। অর্থাৎ ভ্রমাত্মক বিশ্লেষণের প্রতি বায়াস সৃষ্টি করে। উপরের উদাহরণগুলোই সামান্য পরিবর্তিত করে ব্যাপারটা দেখাচ্ছি।
১. রামবাবু রাজনৈতিক দল ‘ক’ এর সমর্থক ও ধর্ম ১ বিশ্বাসী।
২. শ্যামবাবুও ধর্ম ১ বিশ্বাসী
অতএব শ্যামবাবু নিশ্চয়ই রাজনৈতিক দল ‘ক’ এর সমর্থক হয়ে থাকবেন।
কিংবা
১. মানুষের মান-সম্মান বোধ থাকতে হবে।
২. বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যদু মান-সম্মান বলে আর কিছু অবশিষ্ট রাখলো না।
অতএব যদু মানুষের পর্যায়ে গণ্য নয়।
এখানে প্রচলিত সামাজিক দৃষ্টিকোণ (পারসেপশন) বা বিশ্বাস (বিলিফ সিস্টেম); সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বিচার এ উপনীত করায়।
এবার আসি বিভিন্ন মনস্তাত্বিক ভ্রম এর উদাহরণ এ।
এগুলিকে কগনিটিভ বায়াস বা বুদ্ধিগত বিভ্রম ও বলা হয়। এর অজস্র প্রকারভেদ রয়েছে। তবে আমাদের স্বল্প পরিসরে এর কয়েকটি নিয়ে আমরা আলোচনা করবো।
অ্যাপোফেনিয়া (Apophenia) –
সম্পূর্ণ এলোমেলো (random) নয়েজের মধ্যে কোনও অবাস্তব সঙ্কেত দেখতে পাওয়া (যেমন ধরুন অজস্র রেডিও সিগন্যাল এর মধ্যে কোনওটিকে যথোপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই ভূত বা ভিনগ্রহী বলে দাবি করা, কিছু লোকজনের শারীরিক গঠন দেখে তাকে খারাপ বা ভালো লোক বলে দাবি করা, এগুলি অ্যাপোফেনিয়া র উদাহরণ)।
প্যারেইডোলিয়া (Pareidolia) –
অ্যাপোফেনিয়া-র দৃশ্যগ্রাহ্য রূপ হল প্যারেইডোলিয়া। এতে আমরা কোনও হিজিবিজি জ্যামিতিক আকৃতির মধ্যে ভ্রমাত্মক অর্থবহ কিছু আকৃতি বা লেখা খুঁজে পাই। প্যারেইডোলিয়া যে সবসময় ক্ষতিকর তা নয় (যেমন মেঘের মধ্যে মানুষের মুখ বা আকাশের তারা র মধ্যে কন্সটিলেশন খুঁজে বার করতে ভালো লাগে বা তার কিছু ব্যাবহারিক উপযোগিতাও রয়েছে), কিন্তু প্যারেইডোলিয়া কে বুঝতে পারলে আমরা এটাও বুঝতে পারি মানুষ কেন কোনো প্রাকৃতিক গঠন এর মধ্যে দৈবী বার্তা খুঁজে পায়। যেমন কেউ হয়ত পাহাড়ের পাথরে কোন মুখাবয়ব দেখতে পেয়ে ভাবতে শুরু করলো কোনো দৈব শক্তি ওই পাথরের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পাচ্ছে। আবার প্রাচীন কালে মানুষ যা কিছু নক্ষত্র দেখেছে তার প্রায় প্রত্যেক-কটা কে কোনো না কোনো কন্সটিলেশন (নক্ষত্র মণ্ডলী) র মধ্যে ঢুকিয়েছে। তারা হয়ত ভেবেছে এইসব আকৃতি কোনো দৈবী শক্তির পরিচয় বহন করছে ও আমাদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু আমরা এখন জানি সম্পূর্ণ এলোমেলো হিজিবিজির মধ্যেও আমাদের মস্তিষ্ক কোনো না কোনো নকশা খুঁজে পায়। এটা প্যারেইডোলিয়া, কোনো অলৌকিক শক্তির বহিঃপ্রকাশ নয়।
বার্নাম এফেক্ট (Barnum effect) –
জ্যোতিষী, ভাগ্যগণক, প্রভৃতি ব্যক্তিবর্গ, কোনও অপরিচিত ব্যক্তির ভাগ্য, অতীত, ব্যক্তিত্বও, মানসিক অবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে এমন বক্তব্য রাখে, যা প্রায় যেকোনো কারুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ওই ভবিষ্যতবাণী সম্পূর্ণ অর্থহীন। কিন্তু ক্লায়েন্টের মগজ শুধু লক্ষ্য করে তাঁর নিজের সাথে ওই ভবিষ্যতবাণী মিললো। তার ফলে ভ্রমাত্মক ভাবে ওই ক্লায়েন্ট মনে করে ভাগ্যগণনা সঠিক হয়েছে।
প্ল্যাসিবো এফেক্ট (Placebo effect) এবং নোসিবো এফেক্ট (Nocebo effect) –
সম্পূর্ণ অকার্যকরী ওষুধ খেয়ে বা কোনো বস্তু ধারণ করে যখন মনে হয় রোগযন্ত্রণার উপশম হয়েছে তখন তাকে প্ল্যাসিবো এফেক্ট বলে। এর ঠিক বিপরীত ঘটনা কে বলা হয় নোসিবো এফেক্ট যেখানে কোনো অকার্যকর দ্রব্য বিষক্রিয়া বা অশুভ প্রভাব ছড়াচ্ছে বলে মনে হয়।
কনফার্মেশন বায়াস (Confirmation bias) –
আগে থেকেই যে ঘটনা বা ব্যাখ্যা জানা আছে, একগাদা তথ্যের ভিড়ে সেই তথ্য বা সেই ব্যাখ্যা ই প্রমাণিত হচ্ছে বলে মনে হয়। যদিও প্রকৃতপক্ষে তথ্যগুলি হয়ত এমন কোনও ব্যাখ্যা কে নির্দেশ করেনা অথবা অন্য কোনো ব্যাখ্যা কে নির্দেশ করে। এটা কিছুটা অ্যাপোফেনিয়া বা প্যারেইডোলিয়া-র ই মতন কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে, একটি প্যাটার্ন আপনি আগে থেকে জানেন, কাজেই আপনার মস্তিষ্ক অযাচিত ভাবে ওই প্যাটার্নটি সবকিছুতে খুঁজে পাচ্ছে। এর উদাহরণ হল, ধরুন একটি প্রবাদ বলছে অমুক জাতের লোক যদি কালো রঙের হয় তাহলে তারা বদমাইশ হবে। এক্ষেত্রে তদন্তকারী ব্যক্তি যদি ১০০০ মানুষ কে পর্যবেক্ষণ করে মনে করবার চেষ্টা করেন, তখন, কতবার অমুক জাতের কালো লোকরা বদমাইশি করেছে সেটাই মনে পড়বে। কতবার ওই জাতের সাদা লোক বদমাইশি করেছে আর কতবার ওই জাতের বাইরে অন্য জাতের কালো লোক বদমাইশি করেছে তা মনে করা কষ্টসাধ্য হবে।
কনফরমিটি বায়াস (Conformity bias) – যখন একই তথ্য বা পরিমাপ বা ব্যাখ্যা বা যুক্তি অনেক অনেক লোকজন দাবি করতে থাকে, তখন সংখ্যাগুরুর যুক্তিকেই অধিকতর সঠিক বা অধিকতর গ্রহণযোগ্য বলে মনে হতে থাকে। আবার অধিক মান্যতাপ্রাপ্ত কোনো অথরিটি যদি ভুল কথাকে সঠিক বলে আশ্বাস দেন তখনও এইপ্রকার ভ্রম হয়। একে অথরিটি বায়াস বলে।
ডানিং-ক্রুগার এফেক্ট (Dunning Kruger effect) –
যখন কোনো বিষয়ে সামান্য জ্ঞান অর্জন করার পরই মনে হতে থাকে অনেক জ্ঞান অর্জন করে ফেলেছে। আবার এর উল্টোটাও হয়, যাকে ইমপোস্টার সিনড্রোম বলা হয় - যখন অত্যন্ত জ্ঞানী বা যোগ্য কেউ নিজেকে অযোগ্য ভাবতে থাকেন।
সেলফ-ফুলফিলিং প্রফেসি (self fulfilling prophecy)
এটি হল একটি সামাজিক ঘটনা যেখানে কোনো ভবিষ্যৎবাণী বা অলৌকিক আদেশ (আশীর্বাদ অভিশাপ ইত্যাদি) বা অদ্ভুত কোনো দাবী নিজেই নিজেকে সত্যি করে তোলে। অর্থাৎ এটি একটি কগনিটিভ বায়াস এবং তার পরিণতি দুই মিলিয়ে এই ঘটনা ঘটে। ধরা যাক একটি ছাত্র পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে কেউ বলল যদি আজ ডিম খাস তাহলে পরীক্ষায় গেল করবি। ছাত্রটি ডিম খেয়ে ফেলার পর নার্ভাস হয়ে পড়ল এবং মনে করলো সে বোধহয় সত্যই ফেল করবে। এর ফলে সে পড়াশোনা করে যাওয়া সত্বেও কিছু লিখতে পারলোনা, ফেল করল। এটি নসিবো এফেক্টের সাথে তুলনীয়। এতে করে দাবির ফলাফল মিলেগেলেও দাবির অলৌকিকতার সত্যতা প্রমাণিত হয়না।
সারভাইভারশিপ বায়াস (Survivorship bias) –
আমরা সর্বদা সফল লোকের কথা শুনি, সফল ছাত্রের মতামত কে অধিক গুরুত্ব দিই। এর ফলে আমরা অসম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে ভুল ব্যাখ্যায় উপনীত হই। একে সারভাইভারশিপ বায়াস বলে। এর একটি ঐতিহাসিক উদাহরণ হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মাটি থেকে ছোঁড়া গোলার আঘাতপ্রাপ্ত যুদ্ধবিমান। দেখা যাচ্ছিলো, যেসব বিমান যুদ্ধ করে ফিরে আসছে তাদের ডানা ও লেজে অপেক্ষাকৃত বেশি গোলার দাগ। তখন সিদ্ধান্ত করা হল যে বিমানের ডানা ও লেজের ওইসব স্থানেই হয়ত বেশি গোলা লাগার সম্ভাবনা। অতএব সেনাকর্তারা বললেন ওইসব স্থান অধিক মজবুত করে তৈরী করা হোক। কিন্তু গণিতজ্ঞ আব্রাহাম ওয়াল্ড বললেন ঠিক উল্টো কথা। যে স্থানগুলিতে একেবারেই গোলা লাগছে না, আসলে মজবুত করতে হবে সেই জায়গাগুলি। কেন? তার কারণ যে বিমানগুলি আর ফিরে আসেনি, তারা সেই সমস্ত স্থানেও গোলা খেয়েছে। সেই জায়গাগুলিতে ছিল বিমানের ইঞ্জিন ও পেট্রোল ট্যাংকার। যে বিমানগুলি ফিরে এসেছে তারা ওই স্থানগুলিতে গোলা না খাওয়ার ফলেই ফিরে আসতে সমর্থ হয়েছিলো। ঠিক এইরকম ভ্রম হয় যখন মনে করা হয় বিড়াল উঁচু থেকে পড়লেও কখনই মারা যায়না। আসলে মৃত বিড়ালকে কেউ হাসপাতালে নিয়ে আসে না, কাজেই মৃত বিড়াল পরিসংখ্যান থেকে বাদ যায়। আবার, কোনো স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কত ভালো তা জানতে সাধারণতঃ সফল অ্যালামনি দের মতামত চাওয়া হয়। ড্রপআউট দের সাথে কী কী ঘটেছিলো তা কেউ জানতে পারে না। আবার অনেক সফল ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে বলা হয় উনি চেষ্টা করেছেন তাই পেরেছেন। কিন্তু যারা চেষ্টা করেও পারলো না, তাদের তথ্য হারিয়ে যায়। যারা পারলো না, বিফল হল, তাদের প্রচেষ্টা ছিলোনা বলেই আপাতদৃষ্টি তে মনে হয়।
নরম্যালসি বায়াস (Normalcy bias) –
বহুল প্রচলিত রীতি বা ধারণার সাথে মেলে না এমন তথ্যপ্রমাণ সামনে আসলে নতুন করে সত্যিটাকে মেনে নিতে কষ্ট হয়। এমনকি মানসিক দোলাচলগত যন্ত্রণা (কগনিটিভ ডিসোন্যান্স) তৈরি হয়। ফেলে আসা মিথ্যাটাকেই অধিক সত্য বলে মনে হয়। একে নরম্যালসি বায়াস বলে।
পরিশেষে আবারও বলছি, ফ্যালাসি বায়াস ইলিউশন এগুলি কোনো অপরাধ নয়। এগুলি মানব মস্তিষ্কের সীমাবদ্ধতা বলা যেতে পারে। কিন্তু যুক্তি ও আত্মঃসমীক্ষার মাধ্যমে এইসব বিভ্রান্তির থেকে প্রকৃত তথ্য খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। কোন প্রচলিত বিশ্বাস বা চিন্তাপদ্ধতির বাইরে বেরিয়ে নিজের মনকে যেকোনো দিকে চিন্তা করার স্বাধীনতা দিতে হবে। অর্থাৎ মনকে মুক্ত রাখতে হবে। তবেই সত্যিটাকে খুঁজে পাওয়া যাবে।
তথ্যসূত্রঃ
১. Series – ‘Brain Games’ : National Geographic Channel
২. Wikipedia – List of Cognitive bias
৩. Michael Stevens (Vsauce) youtube channel.