গুরুত্ব বুঝেই বিদ্যাসাগর সক্রিয় নাট্যকর্মী হয়েছিলেন

তপন চক্রবর্তী


Nov. 21, 2024 | | views :391 | like:0 | share: 0 | comments :0

বিদ্যাসাগর মানেই বর্ণপরিচয়, বিধবাবিবাহ, নারী শিক্ষা, দয়ার সাগর। কিন্তু বিদ্যাসাগর মানে সেকালের রঙ্গমঞ্চ বা থিয়েটার একথা সর্বজন বিদিত নয়। আসলে থিয়েটারের ক্ষেত্রে সব সময়েই সব দেশেই একটি ব্যাপার খুবই স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে, সেটি হল একজন উচ্চমানের অভিনয় শিল্পী বা নাট্যকার যে পরিমান জনপ্রিয়তা আর পরিচিতি আদায় করেছেন, যত সহজে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিদগ্ধ পণ্ডিতজনের এক ব্যাপক অংশের ভাবনা চিন্তায় আগ্রহের সৃষ্টি করেছেন, নিজেকেই একজন সংগঠক মধ্য আলো আঙ্গিক শিল্পীর পক্ষে অতটা সম্ভব হয়নি।


আজ আমরা পরপর দু দুটো বিশ্বযুদ্ধ ও ফ্যাসিস্ট আগ্রাসনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা থেকে গণ প্রতিরোধের সম্পূরক নাট্য আন্দোলনের কার্যকর প্রভাবের কথা জেনেছি। কিন্তু সেই উনিশ শতকের গোড়ায় সমাজ সংস্কার আন্দোলনের পর্বেই। বিদ্যাসাগর নিজেরই বিধবা বিবাহ প্রচলনের ও বহুবিবাহ রোধের আন্দোলনকে বঙ্গরঙ্গ মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত করার গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন। ভারতে আশ্চর্য লাগে, ভালও লাগে। তিনিও কি সেই রোপনপর্বে বার্ডোন্ট রেট বা গার্সিয়া সোরকার মত অনুভব করেছিলেন “দেশের মানস গঠনে থিয়েটার এক অত্যন্ত উপযোগী ও অভিব্যক্তিক অস্ত্র, যার পরিমাপে দেশের উত্থান বা পতনের বার্তা পাওয়া যায়" বা যে জাতি তার থিয়েটারকে সাহায্য করে না, তার মেরুদন্ড সোজা হয়না" ঠিক যেমন "যে থিয়েটার তার সমাজ স্পন্দন, তার ইতিহাসের স্নায়ুস্পন্দন অনুভব করেনা, তার থিয়েটার নামের মুখ থাকে না।" আমরা জানি, বাংলা থিয়েটার ১৮৫৭-৭৬ সালের নাট্য নিয়ন্ত্রন বিধি চালু করেছিল। তখন থিয়েটার হলে ঢুকে ব্রিটিশ আমলা পুলিশ অমৃতলাল ও উপেন্দ্রনাথকে গ্রেপ্তার করে জেলে পুরেছিল। নাট্যাভিনয়ের জন্য শিল্পী নাট্যকারদের কারাবরণ এই প্রথম এবং ঐতিহাসিক ঘটনা।


অতঃপর বাংলা থিয়েটার চলে গেল। যুক্তিবাদী বা র‍্যাশনাল সমাজসেবীদের হাত থেকে ভক্তিবাদী হিন্দু পৌরানিক পুনরুজ্জীবনকামীদের হাতে। এল বঙ্কিমচন্দ্র গিরিশচন্দ্রের হিন্দু জাতীয়তাবাদের যুগ। ঠিক এই সময়েই রামকৃষ্ণ স্টারে চৈতন্যলীলা দেখতে এসে বলেছিলেন “তোদের চৈতনা হোক, থ্যাটারে লোক শিক্ষে হয়রে।" অথচ বিদ্যাসাগর চেয়েছিলেন, মানুষের মনে ঐহিক জীবনবাদী যুক্তিবোধের উন্মেষ হোক থিয়েটারের মাধ্যমে। সমকালের ঐতিহাসিক ঘটনা নীল বিদ্রোহ-প্রসুত দীনবন্ধুর "নীলদর্পণ" যা বাংলা থিয়েটারের প্রথম সাম্রাজ্যবাদ বিরোধি নাটক, যাকে উৎসাহিত করতে বিদ্যাসাগর সক্রিয়ভাবে নাট্যকার্যে যুক্ত হয়েছিলেন। তার সময়ে ইংরেজ শাসনের হাত ধরে এসেছে পাশ্চাত্য শিল্প-বাণিজ্য, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, স্কুল-কলেজ, এসেছে সেক্সপিয়ার, ভোলতেয়ার, লক, বেকন প্রমুখ আলোকপ্রাপ্ত স্রষ্টা ও দার্শনিকদের ভাবাদর্শ, যা আমাদের জাতীয় জীবনকে যুগসঞ্চিত ধর্মীয় শাস্ত্রবিধির বন্ধন থেকে মধ্যযুগ অন্ধকার থেকে মুক্তির রাস্তা দেখাতে পারে। সঙ্গে পেয়েছিলেন মাইকেল মধুসূদন, দীনবন্ধু মিত্র, শিयা রামনারায়ণ তর্করত্নকে যাঁরা মূলত নাটককার। তখনকার অক্ষম অনুকরনে বানানো থিয়েটারের মাধ্যমে তাদের লিখিত শ্ৰব্য রচনাকে অভি বা সামনে নীত করতে, অর্থাৎ নাটকে সমস্যা ও বার্তা মানুষের কাছে পৌছাতে, কলোনী প্রসাসন, শ্রেণীকক্ষ, শাস্ত্র দিয়েই শাসকার মণ্ডলের বিচার বিতর্কের মধ্যেই তিনি ছুটেছেন নাট্য সংগঠনে, নাটকের মহড়া কক্ষে। তখনকার নাগরিকদের মান এই নতুন বস্তুবাদী ভাবাদর্শ সঞ্চার করার তাগিদ নিয়ে। তখনকার সামাজিক সমস্যা ও থিয়েটারের পারস্পরিক প্রভাব প্রতিফলনের উপযোগিতা বিদ্যাসাগর বুঝেছিলেন। থিয়েটার সমাজ প্রগতি সহ্যাক শক্তিশালী শিল্প মাধ্যম শুধু বিশ্বাস নয়, কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। তাঁর এই উন্নত মনন প্রয়াস বিস্ময়কর।


যে বছর মহাবিদ্রোহ ঘটল, সেই ১৮৫৭ সালেই কোলকাতার রামজয় বসাকের বাড়িতে রামনারায়ণ তর্করত্নের 'কুলীন কুল সর্বস্ব' এর মত বিস্ফোরক সমাজ চেতনার নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল। রামনারায়ন ছিলেন সংস্কৃত কলেজে বিদ্যাসাগরের ছাত্র। বিধবা-বিবাহ, বহু বিবাহ বিষয়ক যুক্তি তর্কে গুরুর শাস্ত্র দিলেনই, শাকুকে নাকচ করার তীক্ষ্ণ পুনর্মূল্যায়নে উৎসাহিত হয়ে, এমনকি সংলাপে সেই সব যুক্তিকে নাট্যরসে চুবিয়ে রামনারায়ন কৌলিন্য প্রথার বর্বরতা ও মুখোশ উন্মোচিত করেন তাঁর প্রহসন নাটকে। গৌরদাস বসাকের স্মৃতিকথাতে ও সংবাদ প্রভাকরের প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই অভিনয়ের ব্যাপারে বিদ্যাসাগর ব্যক্তিগত ভাবে সাহায্য করেছেন এবং অভিনয় দখেছেন। একই সময় কালে বেলগাছিয়ার জমিদার প্রতাপচন্দ্র ও ঈশ্বরচন্দ্র সিংহ প্রাসাদ প্রাঙ্গনে যে নাট্যশালা তৈরী করে ছিলেন, তাতে মঞ্চস্থ হওয়ার আগে রামনারায়নের অনুদিত 'রত্নাবলীর মহড়ায় বিদ্যাসাগর পরিচালনার ব্যাপারে অংশগ্রহণ করেছিলেন।


বিদ্যাসাগরের বিধবা-বিবাহ আন্দোলনের প্রত্যক্ষ ফসল উমেশচন্দ্র মিত্রের 'বিধবা-বিবাহ' নাটক (১৮৫৭)। এটি মঞ্চস্থ হয়েছিল চিৎপুরের রামগোপাল মল্লিকের বাড়ীতে তৈরী মেট্রোপলিটান থিয়েটারে। এই ঘটনাতে কেশবচন্দ্র সেনের সাথে বিদ্যাসাগরও সহযোগী ছিলেন। এই নাটকের দ্বিতীয় সংস্করণের ভাষা অনেকটাই বিদ্যাসাগরের নাট্য ভাবনার প্রভাব পড়েছে। পরে উমেশচন্দ্র সীতার বনবাস' অবলম্বনে নাটক লেখেন। বোঝা যায় দুজনার ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। “বিধাব বিবাহ"। নাটকের চতুর্থ সংস্করণে ভদ্র চরিত্রের সংলাপে ক্রিয়ার সাধুরূপ বাদ দিয়ে। বিদ্যাসাগরের পরামর্শে হয়েছিল করতেছেন, বলতেছেন ইত্যাদি।


লক্ষ্যকরার মতো, তখনকার ধনী জমিদারদের প্রসাদে মঞ্চের সেই সেই নাটকাভিনয়ের প্রতি বিদ্যাসাগরের আকর্ষণ ও দায়বদ্ধতা ছিল, যেগুলিতে প্রধানত মধুসুদন, দীনবন্ধু, রামনারায়ণের মত সেকালের প্রেক্ষিতে প্রগতিশীল সাহসী নাটককারের রচনা মঞ্চস্থ হয়েছিল। রাজা যতীন্দ্রমোহনের পাথুরায়া ঘাটার নাট্যমঞ্চ পরিচালনার জন্য যে কমিটি হয়েছিল, তাতে কবি নাটককার মধুসুদন অভিনেতা কেশব গাঙ্গুলীর সঙ্গে বিদ্যাসাগরও স্বাগত হয়ে ছিলেন। রাজবাড়ীর মঞ্চ টানাটানি নেই। বিদ্যাসাগর পণ্ডিত হলেও ধনী ছিলেন না। তাই এটাই ঘটনা, নাটক নির্বাচনে, পরিমার্জনায় এবং চরিত্রানুগ অভিনেতা নির্বাচনে তিনি কেবল উৎসাহী ছিলেন বলে কমিটি সদস্য করা হয়নি, যোগাও ছিলেন। বিদ্যাসাগর সমকালের সামাজিক নাটক ও থিয়েটারের সঙ্গে তাঁর আন্দোলনকে


কতটা মেলাতে পেরছিলেন বোঝা যায়, তখনকার বহু বিবাহ বিষ্যাক নাটকগুলির প্রযোজনার। তিনি যে যুক্তিপূর্ণ বাক্য প্রয়োগ করে রক্ষণশীল সমাজকে নাড়িয়ে দিতেন সেই সমনোর নাট্য সংলাপ তার প্রয়োগ হয়েছে, "বিশ্ববা সুখের দশা' নাটকে যিনি দর্শকাসনে বসে শুনেছেন “সত্যি দিদি শুনে এলুন, চ আমারো বাবাকে বলে তাই করি। আমি সব কথা শুনে এসেছি। কলকাতায় নাকি কে একজন বিধবার বের পাঁজিপুতি করেছেন।" কৌলিন্য প্রধার ছোবলে বাল্য বিবাহ, বুড়ো মরতে দুই বোন বাবার ঘরে চলে এসেছে বিধবা হয়ে। এবার আন্দোলনের ঢেউ লেগেছে তাদের যৌবনে স্বপ্নে। দীনবন্ধুর "বিয়ে পাগলা বুড়ো" নাটকের অভিনয় দেখতে গিয়ে গৌরমনির সংলাপে শুনলেন “দিদি, ভাল খেতে ভাল করে সংসার ধম্ম করে কার না সাধ যায়? মা বাপ যদি একাদশীর জ্বালা বুঝতেন, তাহলে এতদিনে বিধবা-বিবাহ চলতো। দেখ দিদি, এসব পরমেশ্বর করেননি, মানুষে করেছে। তিনি যদি করেন, তবে আমাদের ক্ষুধা, পিপাসা, আশা, বাসনা স্বামীর সঙ্গে ভস্ম হয়ে যেত। বিদ্যাসাগর এই সময়েই জোড়াসাঁকো নাটা শালার পরিচালন কমিটির এবং পরবর্তী কালে বেঙ্গল থিয়েটারের উপদেষ্টা পর্যদের সদস্য হয়েছিলেন। ১৮৬৫ সালে “ইন্ডিয়ান মিরার" পত্রিকায় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞাপন দেন। গ্রামে জমিদারদের অত্যাচার বিষয়ে শ্রেষ্ঠ নাটক লেখককে ২০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে, যার অন্যতম বিচারক ছিলেন বিদ্যাসাগর।


বিদ্যাসাগরের অভিনব সৃষ্টি কালিদাস, ভবভূতি এবং সেক্সপিয়ারের কমেডি অবলম্বনে গদ্য ভাষায় নাট্যধর্মী আখ্যান রচনা, কালিদাসের শকুন্তলা (১৮৫০), ভবভূতির উত্তর রামচরিত অবলম্বনে সীতার বনবাস (১৮৬০) এবং সেক্সপিয়ারের কমেডি অব এররস্ অবলম্বনে ভ্রান্তিবিলাস (১৮৬৯) রচনাগুলি যেন তাঁর নাটাবোধের পরীক্ষাগার, বিশেষ করে স্থান-কাল-পাত্র ভেদে আখ্যানবর্ণিত চরিত্রগুলির সংলাপ, পরবর্তী প্রজন্মের নাট্যকারদের কাছে দৃষ্টান্তমূলক বলা যেতেই পারে, তাছাড়া ঘটনার ঘনঘটা বা বহিরঙ্গ থেকে নাট্য চরিত্রকে অন্তলোকে সংঘাতময় করে তোলার প্রতি তার মনোযোগ, বিভিন্ন মুড সৃষ্টিতে ও আবরনে নিয়ন্ত্রনে সেকালের প্রেক্ষিতে তাঁর পরিমিত বোধ অবাক করার মত।


একটি কথা স্মরণে রাখা দরকার। তা হল, সামাজিক আন্দোলন যেমন নাটকে ও মঞ্চে এসেছিল, তেমনি নাটক ও তার অভিনয় ও যে সামাজিক আলোড়ন সৃষ্টি করে, তার নজির রামনারায়নের কৌলিন্য প্রথা ও বাল্যবিবাহ বিরোধী নাটকাভিনয়। কারন তাঁর নাটকের জন্ম কোন পূর্ব ঘটিত আন্দোলনের নাড়া খেয়ে জানি। গুরুর শাস্ত্র দিয়েই শান্ত বিচারের মুক্তি তর্কের প্রেরনায় এবং গরুরই প্রত্যক্ষ সহচর্যে তৈরী হয়েছিল সেই অভূতপূর্ব বাংলা প্রহসন নাটক, রংপুরের জমিদার কালীচরণ চৌধুরি সম্বাদ ভাস্কর বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন "কৌলিদাপ্রথার কারণে নিঃবেশিত বঙ্গীয় কামিনীদের দুর্দশা নিয়ে যিনি শ্রেষ্ঠ নাটক রচনা করিবেন, তিনি ৫০ টাকা পুরস্কার পাইবেন, রামনারায়নের "কুলীন সর্বস্ব" নাটকই হয়েছিল প্রথম। এবং বিদ্যাসাগরের ব্যবস্থাপনায় কলকাতায় ও চুঁচুড়ায় পরপর অভিনয় হয়েছিল। রাজা রামমোহন রায় থেকেই এদেশের রেনেসাস আন্দোলনের শুরু বলা চলে, ইউরোপের বুর্জোয়া মানবতাবাদী ধ্যান ধারনা ও চিন্তা ভাবনাগুলিকে ধর্মের মূল সুরটির সঙ্গে মিলিয়ে ধর্মীয় সংস্কারের পথেই তিনি এদেশে রেনেসাঁস আন্দোলনের জন্ম দেন। ফলে এদেশের রেনেসাঁস আন্দোলন রিলিজিয়াস ল এর (ধর্মীয় সংস্কার) পথ ধরে ধরে এগোতে থাকে। পরবর্তীকালে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অভ্যুত্থান রেনেসাঁস আন্দোলনে একটি অভূতপূর্ব ঘটনা এবং যতদূর মনে হয় বিদ্যাসাগরই প্রথম ব্যক্তি যিনি ধর্মীয় সংস্কারের পথে রেনেসাস আন্দোলনের মধ্যে একটা ব্রেক ঘটালেন। তিনিই প্রথম এদেশে যতদূর সম্ভব মানবতাবাদী আন্দোলন কে ইতিহাস, বিজ্ঞান ও যুক্তির শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে চাইলেন। বিদ্বজনেরা তাই একমত যে তিনিই তদানীন্তন ভারতীয় সমাজ পরিবেশে একজন খাঁটি হিউম্যানিষ্ট, অত্যন্ত আধুনিক মানুষ, এবং ভারতবর্ষের নবজাগরনের অগ্রদূত। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে নিয়ে অনেক গবেষণা আলাপ আলোচনা হয়েছে হচ্ছে। কিন্তু তিনি সম্যক গুরুত্ব উপলব্ধি করেই এক জন যথার্থ ও সক্রিয় নাট্যকর্মী হয়ে বাংলা থিয়েটারকে সমৃদ্ধ করেছিলেন, একথা সর্বজনবিদিত নয়। এ দায় আমাদের নাট্য কর্মীদেরই নিতে হবে। বাংলা থিয়েটারে তাঁর অমরকীর্তি স্মরণ করে, থিয়েটারের গুরুত্ব বুঝে, থিয়েটারে নিবেদিতপ্রাণ হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত হতে হবে।

আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86929