দেশপ্রেম: একটি উপযুক্ত সংজ্ঞার খোঁজে

চিত্রদীপ সোম


Nov. 21, 2024 | | views :282 | like:2 | share: 2 | comments :0

হয়ত বড় অসময়ে এ লেখায় হাত দিয়েছি। বা হয়ত এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। সবে পনেরই আগষ্ট গেল। দেশপ্রেমের ঝড় প্রত্যক্ষ করেছি দু’দিন আগেই। বাইকে, গাড়িতে, বাড়ির মাথায় পতাকায় পতাকায় ছয়লাপ। মাইকে  দেশাত্মবোধক সঙ্গীত। টিভিতে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ গানের সাথে ভারী বুটের কুচকাওয়াজ আর আকাশে যুদ্ধ বিমান থেকে পুস্পবৃষ্টি। দেখতে দেখতে ভারী আরাম বোধ করি। অনুভব করি এই তো আমার দেশ। ওই যে সার দিয়ে যাওয়া ট্যাঙ্কের সারি, ওই যে কম্যাণ্ডের তালে তালে সারিবদ্ধ বুটের আওয়াজ, ওই যে মিলিটারি গাড়ির মাথায় রাখা স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপনাস্ত্র, এটাই তো আমার দেশ। ওই যে টিভিতে দেখাচ্ছে দেশের সেনা একমুঠো মাটি হাতে নিয়ে প্রতিজ্ঞা করছে শত্রুসৈন্যকে খতম করে দেবার, আর তারপর এগিয়ে যাচ্ছে রণক্ষেত্রে, এটাই তো আমার দেশ। ওই যে রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশে পতপত করে উড়তে থাকা তেরঙা পতাকা, ওটাই আমার দেশ।

কে দেশপ্রেমিক নয় আজকের দিনে? সাতে পাঁচে না থাকা হরিপদ কেরানী শ্যামলবাবু, দু’নম্বরি ওষুধের ব্যবসায়ী রমেশবাবু, আয়কর দপ্তরে কাজ করা দু’হাতে ঘুষ নেওয়া অনিলবাবু, স্থানীয় মস্তানদের থেকে তোলা আদায়কারী, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের পদলেহনকারী পুলিশ অফিসার সুনীলবাবু, পণের দায়ে বউকে ধরে পেটানো স্বরূপবাবু, বাড়ির ইলেকট্রিক মিটারে কারচুপি করে রাখা সুব্রতবাবু, বাড়ির শিশু গৃহশ্রমিককে খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়া অনিতা দেবী, সবাই সবাই দেশপ্রেমিক আজ। দেশপ্রেম আজ এতটাই সস্তা, এতটাই সহজলভ্য। দেশপ্রেমিক হবার জন্য আজ আর দেশের জন্য কিছু না করলেও চলে। দেশের মানুষের জন্য জীবনপাত না করলেও চলে। কেবল বুকে বা বাইকে পতাকার স্টিকার লাগিয়ে ঘোরা, টিভিতে মিলিটারি বুটের আওয়াজ বা মাইকে ‘অ্যায় মেরে বতন কে’ শুনে বুকের মধ্যে ছলাৎ ছলাৎ করে ওঠা আর দুপুরে টিভিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের খান দুই গরম গরম সিনেমা দেখলেই দেশপ্রেমিক হবার কোটা সম্পুর্ন। আর তাই দেশপ্রেমিক হবার এই সহজ প্রতিযোগিতায় কেউ পিছিয়ে নেই আজ।


আর দেশপ্রেমের এত বিচিত্র আয়োজনে গুলিয়ে যায় একটা সোজা প্রশ্ন, কাকে বলবো দেশ, কাকে বলবো দেশের প্রতি প্রেম।

দেশ কী? তা কি শুধুই কাঁটাতারে ঘেরা একটা ভূখন্ড? শাসকের মগজধোলাইয়ের শিকার অধিকাংশ মানুষের কাছে দেশ মানে তাই-ই৷  কাঁটাতারে ঘেরা এক ভৌগলিক এক সীমানা মাত্র। এক রঙিন মানচিত্র। আর সেই ভৌগলিক সীমানাকে অখন্ড রাখতে চাওয়াই দেশপ্রেমের একমাত্র সংজ্ঞা আজ মানুষের কাছে৷ এবং এর জন্য সাধারণ মানুষকে একটুও দোষ দেওয়া যায় না, কারণ বহু ঢক্কা নিনাদে, বহু ব্যায় করে মিডিয়া, স্কুল পাঠ্যপুস্তক থেকে পোষ্য নানা বুদ্ধিজীবীদের দিয়ে ইনিয়ে-বিনিয়ে সরকার জনগনের মাথার মধ্যে দেশপ্রেমের এই সংজ্ঞাই ঢুকিয়ে দিতে চায়। বোঝাতে চায় দেশ মানে কেবল কাঁটাতারে একটা ভূখন্ডমাত্র। আর সেই ভূখন্ডের রক্ষকরাই দেশের আসল সেবক। দেশের সীমানাকে যেনতেন প্রকারে অক্ষুন্ন রাখাই একমাত্র দেশপ্রেমের মাপকাঠি।

কিন্তু কেউ যদি শাসকের মগজধোলাইয়ের শিকার না হন, যদি সেই বিরল কিছু মানুষের মধ্যে পড়েন যারা স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা রাখেন, তাহলে অনুধাবন করবেন শুধু সীমানা দিয়ে দেশের ব্যখ্যা হয় না৷ দেশ মানে সেই সীমানার মধ্যে অবস্থিত সমস্ত জনগোষ্ঠী, সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ, সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রানী, সবকিছুই। আর তাই দেশপ্রেম মানে কেবল দেশের মাটি বা সীমানার প্রতি প্রেম নয়, “দেশপ্রেম মানে দেশের মানুষের প্রতি প্রেমও”। মানুষ ছাড়া দেশ অর্থহীন। মানুষই তৈরী করে এক দেশের সাথে অন্য দেশের সীমানা। পৃথিবীতে যখন মানুষ আসেনি, প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসররা যখন ঘুরে বেড়াত পৃথিবীর বুকে, তখন কোনটা ছিলো ভারত, কোনটা ছিলো পাকিস্তান, কোনটাই বা ছিলো রাশিয়া? আবার হঠাৎ করে যদি মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যায় দুনিয়া থেকে তখন কে বলে দেবে কোনটা ভারত আর কোনটা পাকিস্তান? এই যে কাঁটাতারে ঘেরা এই পৃথক পৃথক ভূখন্ডের ধারণা, এটা তো মানুষেরই সৃষ্টি। সেই মানুষই  যদি না থাকে তাহলে কী হবে সেই দেশ নিয়ে?

অথচ আজ শাসকগোষ্ঠী দেশপ্রেমের যে সংজ্ঞা আমাদের মাথায় ঢোকাতে চাইছে তাতে দেশের সীমানার কথা আছে, সীমান্তরক্ষাকারী প্রহরীদের কথা আছে, নেই কেবল দেশের মানুষের কথা। নেই রামা কৈবর্ত্য আর হাসিম শেখদের কথা। দেশপ্রেমিক বলতে আমাদের চোখে ভেসে ওঠে সীমান্ত রক্ষাকারী সৈন্যদের কথা, কিন্তু ভেসে ওঠে না রামা কৈবর্ত্য  বা হাসিম শেখদের কথা, যারা রোদ ঝড় মাথায় নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ফসল ফলায়, আমাদের মুখে অন্ন তুলে দেয়। ভেসে ওঠে না হাবিব মোল্লা বা কালু প্রামাণিকদের কথা, যারা কারখানায় হাতুড়ি পিটিয়ে সচল রেখেছে এ দেশের অর্থনীতিকে।


সৈন্যদের পেশার প্রতি আবেগে গদগদ ভাবকে কিছুক্ষনের জন্য ছুটি দিয়ে ভাবুন তো, দেশকে সচল রাখতে কার অবদান বেশী, একজন সৈন্যের, না একজন কৃষকের? একজন সৈন্যের, না একজন শ্রমিকের? আজ সারা পৃথিবী থেকে সৈন্যবাহিনী তুলে দিলেও পৃথিবী যেমন চলছে তেমনই চলবে। কিন্তু আজ যদি সারা পৃথিবীর কৃষকরা চাষ করা বন্ধ করে দেয়? যদি সারা পৃথিবীর শ্রমিকরা সমস্ত কারখানা বন্ধ করে দেয়? যদি সারা পৃথিবীর স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিষেবা দেওয়া থামিয়ে দেয়? ভাবতে পারছেন কী হবে তারপরে?  চলবে তো তারপর পৃথিবী স্বাভাবিকভাবে? নাকি এক অবশ্যম্ভাবী বিপর্যয়ের মুখে এসে দাঁড়াবে তা? দেশকে সচল রাখতে কে বেশী গুরুত্বপূর্ণ তাহলে?


তাহলে টিভিতে, মিডিয়ায় কেন দেশপ্রেমের নিদর্শন হিসাবে ঠাঁই পায় শুধু উর্দিধারী সীমান্তরক্ষীরা? কেন রামা কৈবর্ত্য বা হাবিব মোল্লারা নয়? কেন তারা সিনেমায়, গানে, কুচকাওয়াজে, কাব্যে সর্বত্র উপেক্ষিত? কেন সীমান্তে মৃত সেনারা শহীদের সন্মান পায়, কিন্তু চাষ করতে গিয়ে বজ্রপাতে বা সর্পাঘাতে মৃত কৃষকরা থেকে যায় উপেক্ষিত? কেন সৈন্য মারা গেলে আবেগে ছলছল করে ওঠে আমাদের চোখ, কিন্তু দেনার দায়ে গত পাঁচ বছরে প্রায় দেড় লক্ষ কৃষক মৃত্যুর খবর বিন্দুমাত্র ঝড় তোলে না আমাদের হৃদয়ে? কেন এদেশে সীমান্ত রক্ষার জন্য কোটি কোটি টাকার অস্ত্র আসে, বিদেশ থেকে যুদ্ধ বিমান কেনা হয়,  কিন্তু রামা কৈবর্ত্য বা হাসিম শেখরা যাতে ভালো থাকে, তাদের পেটে যাতে দুবেলা খাবার জোটে, তার ব্যবস্থা করা হয় না? কেন আজ ভারত পৃথিবীর অন্যতম সামরিক শক্তিধর দেশ হওয়া সত্ত্বেও আজও ভারতের হাজার হাজার গ্রাম বিদ্যুতহীন? কেন আজ ভারতের কাছে রাফায়েল কেনার টাকা থাকে, কিন্তু থাকে না প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে নূন্যতম স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলার টাকা? কেন ভারতের পরমানু বোমা পরীক্ষার টাকা থাকে, অথচ থাকে না প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার টাকা? মানুষের মুখে খাবার না দিয়ে, মানুষের নুন্যতম চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে, মানুষের শিক্ষার ব্যবস্থা না করে যারা হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে যুদ্ধাস্ত্র কেনে, যারা স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে ব্যয় বরাদ্দ কমাতে কমাতে ১% এর কাছাকাছি নিয়ে আসে, যারা নোট বাতিল, জিএসটি সহ নানা উদ্ভট পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে ৪০% ছোট ব্যবসাকে ধ্বংস করে অসংখ্য পরিবারকে ঠেলে দেয় বিপদের মুখে, যারা একের পর এক সরকারী সংস্থাগুলিতে তুলে দেয় বেসরকারি হাতে, যারা ছাঁটাইয়ের খাড়া নামিয়ে এনে হাজার হাজার পরিবারকে ঠেলে দেয় ধ্বংসের পথে, এভাবে দেশের মানুষের জীবনকে যারা করে তোলে সঙ্গীন, তারা যে আদৌ 'দেশপ্রেমিক' নয় বরং 'দেশের শত্রু' এটা কবে বুঝবো আমরা? কবে কাটবে আমাদের চিন্তাধারার এই অস্পষ্টতা? দেশের শত্রু মানে কি কেবল পাকিস্তান? যাদের জন্য আজ দেশের মানুষের এই চরম দুরবস্থা তারা দেশের শত্রু নয়? আর যদি তাই হয় তাহলে তাদের বিরোধিতা করাটা, তাদের মুখোশ উন্মোচন করাটা কেন দেশপ্রেম নয়? এদের বিরুদ্ধে মানুষকে তাদের অধিকার বুঝে নেবার লড়াইতে উদ্বুদ্ধ করাটা কেন দেশপ্রেম নয়?

দেশপ্রেম মানে শুধু সীমান্ত পাহাড়া দেওয়া নয়, মানুষকে তার অধিকার আদায়ের লড়াইতে উদ্বুদ্ধ করাটা, রাষ্ট্রীয় মগজ ধোলাইয়ের কুহেলিকা থেকে মানুষকে  বের করে এনে মুক্ত মনে চিন্তা করতে শেখানোটাও দেশপ্রেম, দেশের মানুষের জন্য ক্ষেতে ফসল ফলানোটাও দেশপ্রেম, কারখানায় হাতুড়ি পেটানোটাও দেশপ্রেম, হাসপাতালে রাত জেগে মুহুর্ষু রোগীর সেবা করাটাও দেশপ্রেম। দেশ শুধু সীমান্তের কাঁটাতার আর সৈন্য দিয়ে তৈরী নয়, দেশ আরো অসংখ্য সাধারণ মানুষ দিয়েও তৈরী। সেইসব মানুষের সেবা করাটা, তাদের জাগতিক ও মানসিক উন্নতির চেষ্টা করাটাই প্রকৃত দেশপ্রেম। আর সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয় এমন কাজ করটাই দেশদ্রোহীতা। এই সহজ সরল উপলব্ধিটা যতক্ষন না হবে ততক্ষন রাষ্ট্রীয় মগজধোলাইয়ের পুতুলই থেকে যাবেন আপনি।

বর্তমানে দেশপ্রেমিক হবার আর এক সহজ পথ পাকিস্তানকে তেড়ে গাল দেওয়া। আমরা ভুলে যাই নিজের মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রমান করার রাস্তা পাশের বাড়ির ভদ্রলোকের মা-কে তেড়ে গাল পাড়া নয়। আপনি নিজের মা-কে ভালোবাসেন সেটা তখনই প্রমানিত হবে যখন আপনি আপনার রোজগারের টাকা দিয়ে মায়ের জন্য পুষ্টিকর খাবার কিনে আনবেন, তার জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন, তার জন্য ভালো জামা কাপড় কিনে আনবেন। তখনই কেবল আপনাকে মায়ের সুসন্তান বলা যাবে। মায়ের প্রতি আপনার ভালোবাসা তখনই একমাত্র পরীক্ষার মানদন্ডে উত্তীর্ণ হবে। তার বদলে আপনার রোজগারের টাকায় যদি আপনি মায়ের জন্য খাবার না কিনে, তার অত্যাবশ্যক ওষুধ না কিনে, সেই টাকায় চকচকে ভোজালি কেনেন পাশের বাড়ির ভদ্রলোকের মা কে খুন করার জন্য, তাহলে সেটা আর যাই হোক মার্তৃপ্রেম বা মাতৃভক্তি নয়। নিজের মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রমানিত হয় না তাতে। বদলে এইটুকু প্রমানিত হয় কোনো কারণে পাশের বাড়ির ভদ্রলোকের মাকে ঘৃণা করেন মাত্র। ব্যাস।

ঠিক একইভাবে শুধু পাকিস্তানকে ঘৃণা করলেই বা দেশের সেনার প্রতি ভক্তিতে গদগদ হলেই আদৌ আপনি দেশপ্রেমিক হচ্ছেন না বা দেশের প্রতি আপনার দায়িত্ব শেষ হয়ে যাচ্ছে না। নিজের দেশের মানুষের প্রতি ইতিবাচক কিছু করার দায়িত্বও একইভাবে থেকে যাচ্ছে। সেটা যতক্ষন না সুষ্ঠুভাবে করছেন ততক্ষন বুকে বা বাইকে যতই তেরঙা স্টিকার লাগান, আর মাইকে অ্যায় মেরে বতন কি লোগো শুনে রক্ত গরম হোক, ওটা ভণ্ডামি ছাড়া কিছু নয়।


শাসকের শেখানো ছদ্ম দেশপ্রেমের মগজধোলাইয়ের হাত থেকে তাই মুক্ত হই আসুন। আবেগ বিবর্জিতভাবে শিখে নিই কাকে বলে দেশ, কাকে বলে দেশপ্রেম। বুঝে নিই দেশ মানে শুধু দেশের মাটি নয়, দেশের মানুষও। দেশকে ভালোবাসা মানে শুধু সীমান্ত আর সেনাকে ভালোবাসা নয়, দেশকে ভালোবাসার প্রকৃত অর্থ দেশের মানুষকে ভালোবাসা, তার জীবনসংগ্রামে পাশে থাকা, তার অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে সহযোদ্ধা হওয়া৷

এই বোধ ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যায় দেশপ্রেম।

আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86929