গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ভীতি

পৃথ্বীশ ঘোষ


Nov. 19, 2024 | | views :8560 | like:0 | share: 0 | comments :0

গ্রেপ্তার কথাটা শুনলেই কেমন যেন বুকের ভেতরটা কেমন শূন্য হয়ে যায় তাই না। যাঁদের অভিজ্ঞতা আছে তাঁরা বিলক্ষণ জানেন। সেটা যদি হয় আবার মাঝরাতে ভুক্তভোগী মাত্রই এর স্বাদ বুঝেছেন। ধরুন আপনি সামাজিক মাধ্যমে কিছু লিখলেন যার সূত্র ধরে রাতে আপনাকে পুলিশ তুলতে এল তখন অসহায় হয়ে সাহায্য প্রার্থনা ছাড়া কি বা করার আছে বলুন। আমরা অনেকেই আইনের মারপ্যাচ বুঝি না। যেহেতু আমরা আইন বিরুদ্ধ কাজ করি না তাই আইন বোঝার চেষ্টাও করি না। তবুও আমাদের অনেক সময়  নানান চক্রান্তে পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হয়।  সাধারণত আমরা জানি পুলিশ সন্দেহের বসে যেকোনও মানুষকে গ্রেফতার করে থানার লকআপে তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে পারে এবং করেও থাকে।  কিন্তু বাস্তবটা অন্যরকম। পুলিশ আপনাকে গ্রেফতার করতে পারে না 41CRPC নোটিশ না দিয়ে।

আমি নিজে ভুক্তভোগী আমাকেও এরকম তুলে নিয়ে গিয়ে পোস্ট ডিলিট করার জন্য চাপ দিয়েছিল আমার লোকাল থানার পুলিশ। রাজনীতি না করা স্বত্তেও একটা স্ট্রং রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাস করি। তাই কিছু শত্রু সবসময় সমস্যা তৈরি করে গেছে তাদেরই কেউ উস্কে ছিল আমি নাকি ফেসবুকে দাঙ্গা ছড়াচ্ছি। আদতে ছিল দাঙ্গা রোধ করা নিয়ে পোস্ট একটু খুঁটিয়ে পড়লেই ব্যাটারা বুঝতে পারত। মূল বিষয়ে আসি যদি আপনার সঙ্গে বা পরিচিত কারুর সঙ্গে এরকম কিছু হলে কি করবেন দেখেনিন চট করে।

হঠাৎ গ্রেফতার হলে করণীয়:

অনেক রাত!  হঠাৎ কড়া নাড়ার শব্দ। দরজা খোলার সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকে অথবা পোশাকে (সিভিক ও হতে পারে) একদল লোক আপনাকে বা আপনার পরিবারের কাউকে গ্রেফতার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে-

কে গ্রেফতার করতে পারে?

একমাত্র পুলিশ অফিসার, ম্যাজিস্ট্রেট, অথবা যার হাতে গ্রেফতার করার ওয়ারেন্ট আছে।

ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার:

কোনও সাধারণ ব্যক্তিকে পুলিশ একমাত্র তখনই  গ্রেফতার করতে পারে যখন সেই অভিযুক্ত ব্যক্তিটি কোনও জামিন অযোগ্য অপরাধ করে থাকে। একজন ম্যাজিস্ট্রেট (এক্সিকিউটিভ অথবা জুডিশিয়াল) কোন এরেস্ট ওয়ারেন্ট ছাড়াই কাউকে গ্রেফতার করতে পারেন। কোনও অপরাধী সজ্ঞানে কোন অপরাধ করলে এরেস্ট ওয়ারেন্ট ছাড়াই অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারে।

বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বিনা ওয়ারেন্টে কাউকে গ্রেপ্তার করা যেতে পারে। তবে, ওয়ারেন্ট বা বিনা ওয়ারেন্টে, কাউকে গ্রেপ্তার করতে গেলে অভিযুক্তকে অবশ্যই অ্যারেস্ট মেমো দিতে হবে। সেই অ্যারেস্ট মেমোতে দুই নিরপেক্ষ প্রাপ্ত বয়স্ক মানসিক ভারসাম্যযুক্ত নাগরিকের সই থাকতে হবে। অভিযুক্তকে বা যাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাকে যে অ্যারেস্ট মেমো দেওয়া হচ্ছে তাতে কী কারণের জন্য গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তার কারণ ও ভারতীয় আইনের ধারা বা সেকশন অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি তার মেডিকেল চেকআপ করাতে পারে। অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রেফতারের পর পুলিশি জেরায় সময় চুপ থাকতে পারে। এই আইনি অধিকার তার আছে Section 20(3) পুলিশ সরকারি কাজের প্রয়োজনে বা কোন কিছু অনুসন্ধানে যে কোন ব্যক্তিকে থানায় ডেকে পাঠাতেই পারে। তবে ডেকে পাঠানোর ক্ষেত্রে যাকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে তাকে লিখিত কল মেমো দিতে হবে পুলিশকে, সেখানে ডেকে পাঠানোর কারণ লিখতে হবে বিশদ বিবরণ সহ। কল মেমো বা কোন উপযুক্ত কারন ছাড়াই যদি মাঝরাতে ডাকতে আসে আপনি যেতে বাধ্য নন। পরদিন সকালে অবশ্যই থানায় খোঁজ নেবেন।

কীভাবে গ্রেফতার করা হয়?

পুলিশ যদি কোনও অপরাধীকে ম্যাজিস্ট্রেটের অর্ডার নিয়ে গ্রেফতার করতে আসে তাহলে সেই অভিযুক্ত ব্যক্তির হাতে হট করে হাতকড়া পড়াতে পারবে না। অভিযুক্ত ব্যক্তির হাতে হাতকড়া পরানোর জন্য পুলিশকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অনুমতি নিতে হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি গ্রেফতারের সময় কোনো সহযোগিতা না করে তাহলে পুলিশ যেন-তেন প্রকারেণ সেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারে।

এমন পরিস্থিতির শিকার হলে করনীয়:


একজন নাগরিক হিসেবে প্রথমেই আপনার জানার অধিকার রয়েছে কেন, কী কারণে আপনাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাই প্রথমেই জানতে চাইতে হবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগটি কী? আর তাদের সাথে গ্রেফতার সংক্রান্ত কোনো পরোয়ানা আছে কি না? মনে রাখবেন গ্রেফতারের কারন জানাতে আর প্রয়োজনে পরোয়ানা (যদি থাকে) দেখাতে পুলিশ বাধ্য। যদি তারা আপনাকে পরোয়ানা দেখাতে সক্ষম না হয় তাহলে বুঝতে হবে তারা আপনাকে বিনা পরোয়ানায় আটক করতে আসছে (ধারা ৫৪)। এই ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তাদের পরিচয় জানতে চাইবেন এবং তাদের পরিচয়পত্র দেখতে চাইবেন।কোনও অভিযুক্তকে তখনই গ্রেপ্তার করা হয় যখন সেই অভিযুক্ত কোন অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত এবং উক্ত ব্যক্তির বিচারে উপস্থিতি প্রয়োজন। যতক্ষণ না আদালতে অপরাধীর দোষ প্রমাণ হচ্ছে ততক্ষণ অপরাধী র প্রতি কোনো খারাপ অমানবিক ব্যবহার করা চলবে না। অ্যারেস্ট  ওয়ারেন্টে অফিসারের সই থাকবে দেখে নিতে হবে কোর্টের সিল ও স্ট্যাম্প ডেট। যদি এগুলি না থাকে তাহলে বুঝতে হবে অ্যারেস্ট  ওয়ারেন্ট সঠিক নয়।একা একা কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে পরিবার-পরিজনকে সঙ্গে সঙ্গে খবর দিন। প্রয়োজনে আশপাশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীদের খবর দিন এবং যত পারা যায় লোকজন জড়ো করার চেষ্টা করুন। অবশ্যই উকিলকে খবর দিন রাত হলেও।

পুলিশ আপনাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে চায়, তাহলে আপনি একা তাদের সঙ্গে যাবেন না বলে তাদের জানিয়ে দিন এবং পরিবারের দু-একজনকে সঙ্গে নেবেন বলে তাদের জানান। প্রয়োজনে নিকটস্থ থানায় ফোন করে আপনার গ্রেপ্তারের বিষয়টি কনফার্ম করুন কেননা আজকাল পুলিশের ড্রেস পরে আততায়ী পর্যন্ত আসে। এবং থানা এ সম্পর্কে অবগত অছে কি না, তা জানার চেষ্টা করুন।

গ্রেফতার পরবর্তী পদক্ষেপ:

গ্রেফতার পরবর্তী আপনার আপনজনের প্রথম কাজ হল আইনি সহায়তার জন্য কোনো আইনজীবীর শরণাপন্ন হওয়া।কারন একজন আইনজীবীই এই ক্ষেত্রে আপনাকে সব থেকে ভালো পরামর্শ দিতে পারবেন।গ্রেপ্তার হলে গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনাকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চালান দেবেন। এই সময় আইনজীবী আটক কৃত ব্যক্তির পক্ষে জামিনের আবেদন করবেন।কোনো কারণে নিম্ন আদালতে জামিন না হলে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে। তাই সব সময় আইনজীবীর ফোন নাম্বারটি বাড়িতে জানাবেন।

বর্তমানে সব থেকে চিন্তার বিষয় হল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকে অপহরন এবং খুন।প্রথমেই বলে দি, সাদা পোশাকে ৫৪ ধারায় কাউকে আটক করা যাবে না। এ বিষয়ে ২০১৬ সালের ২৪ মে আপিল বিভাগ রায় দিয়েছেন এবং কিছু গাইডলাইন দিয়েছেন, যা ১০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে পূর্ণাঙ্গ রায় হিসেবে প্রকাশিত হয়। তাই আটককারী তার পরিচয়পত্র দেখাতে অস্বীকার করলে এক্ষেত্রে আপনি আত্নরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিনামূল্যে একজন উকিলবাবুর পরামর্শ পাবার অধিকার আছে।

জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে থানাতেই জামিনের ব্যাবস্থা সুনিশ্চিত করা আপনার অধিকার।


কোন ব্যক্তি নিখোঁজ থাকলে কি করবেন:

কোন ব্যক্তি নিখোঁজ থাকলে পার্শ্ববর্তী থানায় প্রথমে খোঁজ করতে হবে। যদি কোন সংবাদ পাওয়া না যায় সেক্ষেত্রে উচ্চ আদালত অর্থাৎ হাইকোর্ট বিভাগে জরুরী ভিত্তিতে রীট করতে পারে। অবৈধ আটকের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর আইনি পদক্ষেপ হচ্ছে “হেবিয়াস কর্পাস” রীট করা। হেবিয়াস কর্পাসের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে “সশরীরে হাজির করা”।

যখনই আদালতে নিখোঁজ কোন ব্যক্তি সম্পর্কে আবেদন করা হয় যাকে সর্বশেষ পুলিশের হেফাজতে দেখা গেছে তখন আদালত পুলিশকে আটকৃত ব্যক্তিকে সশরীরে হাজির করার জন্য সমন জারি করে। এমনকি আটকাদেশ যদি অবৈধ প্রমাণিত হয় তাহলে ভিকটিমকে ক্ষতিপূরণ প্রদানেরও নির্দেশ দিতে পারে উচ্চ আদালত।

সার্চ ওয়ারেন্ট:

আমরা অনেকেই কমবেশি জানি সার্চ ওয়ারেন্ট এর ব্যাপারে কিন্তু হঠাৎ করে আপনার বাড়ি, দোকান তল্লাশি বা সার্চ করতে চাইলে সেক্ষেত্রে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখাতে হবে পুলিশকে অবশ্যই এবং যে ব্যক্তির বাড়ি, দোকান ঘর, গুদাম বা অফিস ইত্যাদি তল্লাশি বা  সার্চ করা হচ্ছে, তাকে সার্চ ওয়ারেন্টের  একটি কপি অবশ্যই দিতে হবে। এখানেও সিল স্ট্যাম্প ডেট সিগনেচার ভালো করে খুঁটিয়ে দেখতে হবে।


সার্চ ওয়ারেন্টের সময়সীমা:

এখানে উল্লেখ্য যে সময়টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যে কেউ সার্চ ওয়ারেন্ট ইস্যু করতে পারে না, তা করবে আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট। সেই সার্চ ওয়ারেন্ট যখন থেকে  ইস্যু করা  হবে সেই সময় ও দিন থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তল্লাশি অভিযান বা সার্চ অপারেশন শুরু করতে হবে পুলিশকে। ৪৮ ঘন্টা হয়ে গেলে, সেই পুরানো সার্চ ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে কোনো তল্লাশি অভিযান বা সার্চ অপারেশন করতে পারে না পুলিশ।

ডকুমেন্ট:

নথি সংগ্রহ করা একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের কর্তব্য। গ্রেফতারের সময় আপনাকে কোন কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে, গ্রেফতারকারী অফিসারের নাম, গ্রেফতারের সময় সম্পর্কিত লিখিত মেমো পুলিশ আপনাকে দিতে বাধ্য। মামলা আদালতে যদি বিষয় গড়ায় তবে মামলার ক্ষেত্রে এটির গুরুত্ব অপরিসীম।


থানার লকআপে হেনস্থা:

আপনাকে গ্রেফতার করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনাকে যে থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে সেই থানার অন্তর্গত বিচারাধীন ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে হাজির করতে বাধ্য। ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া আর একদিনও আপনাকে অতিরিক্ত আটকে রাখতে পারে না থানার লকআপে। যদি কোনও কারনে আদালতের কাজকর্ম বন্ধ থাকে বা ছুটি  থাকে,তাহলে সেক্ষেত্রে ম্যাজিষ্ট্রেটের বা বিচারকের সরকারি ঠিকানা বা  বাড়িতে আপনাকে হাজির করাতে হবে।


মহিলা পুলিশ:

মহিলা পুলিশ ছাড়া কোনওভাবেই কোনও মহিলাকে গ্রেফতার বা তল্লাশী চালানো যায় না।এক্ষেত্রে আপনি মহিলা হলে অবশ্যই মহিলা পুলিশ দিয়ে আপনাকে গ্রেফতার বা তল্লাশি করাতে হবে।একজন মহিলাকে শুধুমাত্র মহিলা পুলিশই  আটকাতে অথবা অ্যারেস্ট করতে পারেন, কোনো পুরুষ পুলিশ সেই কাজ করলে দণ্ডনীয় অপরাধ। CRPC ৫১(২) ধারা অনুসারে ধৃত মহিলার দেহ তল্লাশি করার অধিকারও নেই পুরুষ পুলিশের। এই কাজটি একমাত্র মহিলা পুলিশরাই করতে পারেন এবং সেটা যেন শোভনীয়তার মাত্রা না ছড়ায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে মহিলা পুলিশকে।


According to Section 46(4) of the Criminal Procedure Code, 1973 which governs the arrest of women, It is specifically mentioned that “Save in exceptional circumstances, no woman can be arrested after sunset and before sunrise, and where such exceptional circumstances exist, the woman police officer shall, by making a written report, obtain the prior permission of the Judicial Magistrate of the first class within whose local jurisdiction the offence is committed or the arrest is to be made.

আইন অনুযায়ী যতক্ষণ আপনি পুলিশ লকআপে থাকবেন,ততক্ষণ পুলিশ আপনাকে কোনওপ্রকার শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার করতে পারে না। এমনকি চড় মারতেও পারে না গালাগালি তো দূরে থাক।


পুলিশ হয়রানি করলে কী করবেন?

সাধারণত সরকার বিরোধী কোনও মতামত পোষণ করলে পুলিশ আপনাকে গ্রেফতার করতে পারে না। কারণ বাক স্বাধীনতার অধিকার আমাদের সংবিধান স্বীকৃত। কিন্তু পুলিশ মামলা দায়ের করে অন্য ধারায়। আপনি পুলিশী হয়রানির শিকার হতে পারেন যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিম্নলিখিত অপরাধ করে থাকেন। আপনি যদি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্টে অশ্লীল কোনও শব্দ ব্যবহার করেন যার ফলে অন্য কোন ব্যক্তি অপমানিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করে।

o প্রমাণ ছাড়া ভিত্তিহীন ভাবে কোনও ব্যক্তিকে অপমান বা তার অসম্মান করার চেষ্টা করলে।

o কোনও ব্যক্তির চরিত্রহনন করে অসম্মানজনক কিছু লিখে বা ছবি পোস্ট করলে।

o সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে এইরকম কিছু পোস্ট করলে।

o ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করে এমন কিছু পোস্ট করলে।

o সোশ্যাল মিডিয়ায় পর্ণগ্রাফি কিছু পোস্ট করলে আপনি গ্রেফতার হতে পারেন।

তাই এই সমস্ত বিষয়গুলি এড়িয়ে চলুন একজন দায়িত্ববান সচেতন নাগরিক হিসাবে। আপনার নির্বুদ্ধিতামূলক কাজকর্মের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় পুলিশের হাতে অস্ত্র তুলে দেবেন না। অবশ্যই কোনও  উকিল বন্ধু বা স্থানীয়  কোন মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী এবং মিডিয়ার ফোন নাম্বার রাখুন এবং প্রয়োজনে তাদের ফোন করুন।বাড়ির লোককেও নাম্বারগুলি দিয়ে বলে রাখুন আপনাকে পুলিশ তুলে দিয়ে গেলে এই নাম্বারগুলিতে তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করতে।

CPDR এর কেন্দ্রীয় অফিস

Committee for the Protection of Democratic Rights

Contact Address: Adv Suresh Rajeshwar,

4th Floor, Poddar Chambers,

S. A. Brelvi Marg, Fort,

Mumbai – 400 001

Fax: +9193224045911

Email: cpdr2014@gmail.com


এবং


NHRC / National Human Rights Commission-এর পূর্বভারতীয় শাখার Special Rapporteur:

Shri Damodar Sarangi, IPS (Retd)

(M) 9777579400, 9040079404

sprep2.nhrc@nic.in

dssarangi@yahoo.com


অথবা

Head Office:

National Human Rights Commission, Manav Adhikar Bhawan Block-C, GPO Complex, INA, New Delhi – 110023

For Complaints: Tel. No. 24651330, 24663333. Fax No. 24651332


কোনও ব্যক্তি পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন জানতে পারা মাত্র তার পাশে দাঁড়ান। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে খবরটি ছড়িয়ে দিন।

মনে রাখবেন, আপনি যদি অন্যের পাশে না দাঁড়ান তাহলে আপনার বিপদে আপনার পাশেও কেউ দাঁড়াবে না।

সূত্র-

১- https://www.ainbisharod.com/

২-আইনি পরিষেবা ও আপনার অধিকার

৩-পুলিশের কর্তব্য

আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86929