গোলটেবিলে সাফ জবাব, প্রসঙ্গে: স্বামী বিবেকানন্দ।

অভিষেক দে


Nov. 19, 2024 | | views :486 | like:0 | share: 0 | comments :0

যদি প্রশ্ন করা হয় স্বামী বিবেকানন্দ কে ছিলেন, তাহলে এককথায় এর উত্তর হচ্ছে, উনি ছিলেন একজন স্ববিরোধী  সন্ন্যাসী। রামমোহন কিংবা বিদ্যাসাগরের মতন এমন কোনও উল্লেখযোগ্য কাজ করেননি যার জন্যে স্বামীজির নামে আবেগাপ্লুত হতে হবে। কিন্ত অন্ধভক্তদের এসব বোঝানো কঠিন। স্বামীজি কে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু সমালোচনামূলক লেখার চেষ্টা করলেই কিছু অন্ধভক্তরা হা রে রে  করে ছুটে আসবেই। তারপর শুরু হবে আক্রমণ। গালাগাল, হুমকি, খিস্তি কিছুই বাদ যাবেনা। 


কোনো মানুষ ই সমস্ত দোষ ক্রুটি মুক্ত নয়। কারন দোষ মুক্ত মানুষের অস্তিত্ব কখনোই সম্ভব নয়। বিবেকানন্দ ও এর বাইরে নয়। এমন অনেকেই আছেন যারা বিবেকানন্দ কে চেনেন কিছু ভালো ভালো বাণী সংকলিত ঐ ১০/২০ টাকা দামের বই পড়ে নয়তো অন্যের মুখ থেকে শোনা কথায়। 


আসলে  - "সত্য ঠিক ততটাই প্রকাশিত হয় যতটা আমরা জানতে চাই অথবা আমাদেরকে জানানো হয় "। লাগাতার প্রচারের ফলে বিবেকানন্দ কে মহাপুরুষ, বিজ্ঞানীদেরও বিজ্ঞানী, তরুণ প্রজন্মের আদর্শ, সৎ, প্রগতিশীল,  যুক্তিবাদী ইত্যাদি নামে চালানো হয়েই চলেছে। এর পেছনে একটা বড় উদ্দ্যেশ্য তো অবশ্যই আছে। স্বামী বিবেকানন্দ কে চিনতে, জানতে, বুঝতে  -


দশ খন্ডের বাণী ও রচনা, 

পত্রাবলি,

স্বামীজি কে যেরুপ দেখিয়াছি,

স্বামী শিষ্য সংবাদ, 

জ্ঞানযোগ, রাজযোগ, 

বিবেকানন্দ ও বাঙালির বিবেক, 

সেকুলার বিবেকানন্দ, 

বিবেকানন্দ অন্য চোখে, 

ইত্যাদি বই গুলো বেশ ভালো ভাবে এবং পাতায় পাতায় নিজের যুক্তিবোধ দিয়ে পড়া খুবই প্রয়োজন। অনেকের বাড়িতেই বিবেকানন্দ রচনাবলী থাকতে দেখা যায়, কিন্তু দুঃখের বিষয় তাদের প্রায় কেউই সেসব বই পুরো টা পড়েননি। অবশ্য না পড়ে না জেনে জ্ঞান দেওয়াও একটা বিরাট মাপের শিল্প। 

বিজ্ঞান বিরোধী, স্ববিরোধী বিবেকানন্দর পুর্নাঙ্গ জীবনী মন দিয়ে পড়লেই জানা যায় তিনি কেমন মানুষ। আজ একরকম বলছেন তো পরের দিন আরেক। 

যে কারনে রামমোহন কিংবা বিদ্যাসাগর মহাশয় কে শ্রদ্ধা করি, ঠিক তার বিপরীত মেরু তে অবস্থানকারী বিবেকানন্দকে সন্মান জানানো সম্ভব নয় কোনো মুক্তমনের যুক্তিবাদী মানুষের। তিনি, অনেক স্ববিরোধী কথা বলেছেন। জীবনে এমন কিছু করেছেন যা মানবতার বিরোধী। আবার যদি বলা হয় বিদ্যাসাগর, রামমোহন এনারা যা যা কাজ করেছেন আমরা জানি কিন্তু বিবেকানন্দ এমন কি করেছেন সমাজের জন্য? তখন আবার ব্যক্তি আক্রমণ ছাড়া কোনো সুস্পষ্ট উত্তর পাবেন না। আপনি মানুন অথবা না মানুন এটা সত্য যে, উনি অর্থাৎ স্বামীজি, জাত-পাত, অস্পৃশ্যতা, পশুবলি, সহমরণ প্রথা বাল্যবিবাহ  ইত্যাদি অনেক কিছুর পূর্ণরূপে সমর্থন জানিয়েছিলেন। বাল্যবিবাহ, বিধবাদের বিবাহ থেকে নারী স্বাধীনতার বিপক্ষে থেকে প্রমাণ করেছেন উনিও সেই পুরুষশাসিত সমাজের প্রাচীন পন্থী চিন্তাধারা থেকে মোটেই বেরিয়ে আসতে পারেন নি। 


অপ্রিয় সত্য এটাই যে, প্রগতিশীলতার মুখোশের আড়ালে ভন্ড সন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দই বলছেন "জ্ঞানোন্মেষ হলেও কুমোর কুমোরই থাকবে, জেলে জেলে, চাষা চাষা"(স্বামী শিষ্য সংবাদ)। ভাবতে পারছেন কি পরিমাণ জাতিবিদ্বেষ ছিলো আবার বলেছেন "বিধর্মী জাতিদের ভেতরে আদান প্রদান হওয়ার কথা আমি বলি না।" (বাণী ও রচনা, নবম খন্ড)

একজন ব্যক্তি নারীদের প্রতি কেমন দৃষ্টিভঙ্গি রাখতেন তার ওপর ব্যক্তিত্ব বুঝতে পারি ইনি কি বলেছেন, "ভক্তের বাড়িতে স্ত্রী ভক্তের হাতের রান্না খেওনা এতে মন নিম্নমুখী হয়" আবার বলেছেন,"কায়মনোবাক্যে পতিসেবা করাই স্ত্রী লোকের প্রধান কর্ম"। (শ্রীমতি ইন্দুমতী মিত্রর প্রতি পত্র)

এরকম একগাদা কথা পাতায় পাতায় ছড়িয়ে, কিন্তু না পড়লে জানবেন কিভাবে? 

যাদের মনে হবে ভুল বলেছি তাদেরকে অনুরোধ করবো পুর্নাঙ্গ বিবেকানন্দ কে পড়েই দেখুন এবং মিলিয়ে নিন আমার কথা। সত্য কিন্তু কখনো চাপা থাকেনা, একদিন সেটা ঠিকই প্রকাশ পাবেই।  সেদিন খুব দূরে নয় যখন মানুষ নিজেই চিনে নেবেন বিদ্যাসাগর না বিবেকানন্দ কাকে আদর্শ হিসেবে মেনে নেবে আগামী প্রজন্ম। 


যারা বিভিন্ন সভা সমাবেশে সোচ্চারে দাবী করেন যে স্বামীজি একজন খাঁটি মানুষ বিজ্ঞানীদেরও বিজ্ঞানী তাদের উদ্দেশ্যে একটি বক্তব্য বলেই শেষ করি, বেশ মজাদার বক্তব্য। বিবেকানন্দ রচনা সমগ্র, অখন্ড বাংলা সংস্করণ, প্রকাশক -নবপত্র, পৃষ্ঠা - ২৬৪ থেকে - 


" একটি ইস্পাতের পাত গড়ে তাকে কম্পিত করতে পারে এ রকম একটা শক্তি এতে প্রয়োগ কর। তারপর কি ঘটবে? যদি একটা অন্ধকার ঘরে এই পরীক্ষাটি করা হয়, প্রথমে তুমি শুনতে পাবে একটি শব্দ - একটি গুনগুন শব্দ। শক্তিপ্রবাহ বর্ধিত করো,দেখবে ইস্পাতের পাতটি আলোকময় হয়ে উঠেছে। শক্তি আরও বাড়িয়ে দাও,ইস্পাতটি একেবারে অদৃশ্য হয়ে যাবে। ইস্পাতটি মনে রুপান্তরিত হয়ে গেছে"।। 

একবার ভাবুন তো, স্বামীজি কতবড় বিজ্ঞানী দের ও বিজ্ঞানী!!  ইস্পাতের মাধ্যমে " মন " কেও যে তৈরি করা সম্ভব সেটা বিবেকানন্দই প্রথম আবিষ্কার করেছেন। 

বাল্যবিবাহ সমর্থনকারী বিবেকানন্দ, নাকি এর বিরোধী বিদ্যাসাগর?বেদান্তবাদী বিবেকানন্দ, নাকি বেদান্তবিরোধী বিদ্যাসাগর? বিধবা বিবাহের বিরোধী বিবেকানন্দ, নাকি সমর্থক বিদ্যাসাগর? ভাববাদের মুখোশের আড়ালে অন্ধবিশ্বাস এবং কু-সংস্কারকে প্রাধান্য দেওয়া বিবেকানন্দ, নাকি মুক্তমনা  বিদ্যাসাগর? কাকে বেছে নেবে আগামীপ্রজন্ম সেটা অবশ্যই জোর গলায় বলতে হবে এবং স্পষ্টভাবে। 

তাই নিজে পড়ুন, জানুন, সত্য কে উপলব্ধি করতে শিখুন। আগামীপ্রজন্মের মাথায় ভাববাদ অন্ধগুরুবাদ, অন্ধভক্তি, অন্ধশ্রদ্ধা ইত্যাদি না ঢুকিয়ে তাঁদেরকে মুক্তমনে ভাবতে শেখান। মুক্তমনা, যুক্তিবাদী, মানবতাবাদী গড়ে তুলুন আপনার আগামীপ্রজন্ম কে।

কিছু খবর:

১। বুজরুকির পর্দা ফাঁস বিজ্ঞান মঞ্চের


এই সময়, বনগাঁ: স্বয়ং কালীঠাকুর নাকি ভর করেন তাঁর উপর। প্রতি শনি-মঙ্গলে 'দরবার' বসত 'সাধক' রবীন দাসের। জ্বর-পেটখারাপ, চাকরি, বিয়ে, জমি বিবাদ সবেরই সমাধান বাতলে দেন রবীন। খবর পেয়ে বনগাঁয় রবীনের গ্রামে হানা দেন বিজ্ঞান এবং যুক্তিবাদী মঞ্চের সদস্যরা। বিপদ বুঝে বুজরুকির কথা স্বীকার করে নেন রবীন।


সীমান্ত শহর বনগাঁর প্রত্যন্ত গ্রাম চাদার বিনয় কলোনিতে বাস রবীন দাসের। তাঁর বাড়িতেই রয়েছে কালীমন্দির। প্রতি মঙ্গল ও শনিবার ঠাকুর নাকি ভর করেন রবীনের উপর। এই দু'দিন মন্দিরের চাতালে বসেন রবীন। আর আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষজন এই শনি -মঙ্গলে ভিড় জমান রবীনের কালীমন্দির চত্বরে। এই ভরে পড়াটা বেশ কয়েক বছর ধরেই চলে আসছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, শুধু রবীন নয়, তাঁর সঙ্গে আরও তিন মহিলাকেও কোনও ঐশ্বরিক ক্ষমতা ভর করে। রবীন ও তাঁর তিন মহিলা সঙ্গী এই ভরে থাকা অবস্থায় লোকজনের দুঃখ-কষ্ট শোনেন। সমাধানের পথ বাতলে দেন। কেউ বাতের ব্যথায় কাবু তো কেউ দেনায় ডুবে রয়েছেন। কারও বিয়ে টিকছে না তো কারও সন্তান হচ্ছে না। সবই মনযোগ দিয়ে শোনেন রবীনরা। তারপর ভক্তদের সমস্যা বুঝে কারও হাতে ফুল, কারও হাতে বেলপাতা অথবা মাটি, শিকড়, মাদুলি, তাবিজ দেন। এ সবই সমস্যার সমাধান।


অনেকেই নাকি রবীনের টোটকায় উপকার পেয়েছেন। তাই ভক্তের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছিল। ভক্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রবীনের পরিচিতিও আশপাশের গ্রাম পেরিয়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ছিল। সেভাবেই রবীনের কথা জানতে পারেন বিজ্ঞান এবং যুক্তিবাদী মঞ্চের সদস্যরা।


এ দিন মন্দির চত্বরে ভক্ত সেজে হাজির হন বিজ্ঞান মঞ্চের কয়েকজন সদস্য। কিন্তু কোনও ভাবে তা কানে ওঠে রবীনের। বিপদ আঁচ করে খানিক বাদে রবীন বলে ওঠেন আজ কেউ মাছ-মাংস খেয়ে এসেছেন। তাই মা আসছেন না। আপনারা আজ ফিরে যান। তখন বিজ্ঞান মঞ্চের একজন উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, এর আগেও মাংস খেয়ে এসেছি। তখন তো ঠাকুর আপনার উপর ভর করেছিলেন। আজ কেন হচ্ছে না? আপনি মাকে নিয়ে আসুন। আমরা অপেক্ষায় আছি।' এরপরই নিজেদের আসল পরিচয় দেন বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে গলা মেলান ভক্তদের আনেকেই। সুযোগ বুঝে মন্দিরের ভেতরে ঢুকে দোর এঁটে দেন রবীন। তাল বুঝে চম্পট দেয় রবীনের সঙ্গী তিন মহিলাও। মন্দির চত্বরে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়।


একটু পর দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন রবীন। বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা চেপে ধরলে বুজরুকির কথা স্বীকার করে নেন। করজোড়ে গ্রামবাসীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। ভবিষ্যতে কোনও দিন এ সব করবেন না বলে কথাও দেন। এরপর বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা গ্রামবাসীদের অন্ধ বিশ্বাসের কবল থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ করেন। বিজ্ঞান মঞ্চের কথায় সবচেয়ে বেশি সাড়া আসে মহিলাদের কাছ থেকেই।

https://eisamay.indiatimes.com/west-bengal-news/kolkata-news/buzruki-seen/articleshow/71070677.cms


২। ‘নাসা’ যাওয়ার ডাক পেল পুরুলিয়ার কিশোরী

" ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি " র সহ সভাপতি এবং পুরুলিয়া শাখা সম্পাদক মধুসূদন মাহাত কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। তার প্রচেষ্টায় ফাঁস হয়েছিল এক বিশাল বুজরুকি। বিস্তারিত জানতে পড়ুন..


আনন্দবাজার পত্রিকা : 

নিজস্ব সংবাদদাতা, পুরুলিয়া, ১৯ অগস্ট, ২০১৯


বড় হয়ে সে মহাকাশে যেতে চায়। তার আগেই, পুরুলিয়া শহরের কিশোরী অভিনন্দা ঘোষের হাতে যেন চাঁদ এসে হাজির। দিল্লির একটি বেসরকারি সংস্থা আয়োজিত বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে সফল হয়ে সুযোগ মিলেছে ‘নাসা’-য় পাড়ি দেওয়ার।  নবম শ্রেণির ছাত্রীটি বলছে, ‘‘খবরটা পাওয়ার পরে আনন্দে কিছু ক্ষণ কথাই বলতে পারিনি। নাসায় যাওয়ার স্বপ্ন এত দ্রুত সফল হবে ভাবতেই পারছিলাম না।”


তেলকলপাড়ার বাসিন্দা অভিনন্দা পুরুলিয়া শহরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে। বাবা সজল ঘোষ ও মা সুস্মিতা রায়চৌধুরী শহরের দু’টি স্কুলে ইংরেজি পড়ান। চাঁদে যাওয়ার ব্যাপারে ‘ন্যাক’ ছিল নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাসের কম্বলের। তবে সে গিয়েছিল ছাদে। জাঁদরেল মাস্টারমশাইয়ের হাত থেকে বাঁচতে বিচ্ছু ছেলে ঘাপটি মেরেছিল চিলেকোঠার ঘরে। আর নাস্তানাবুদ হয়েছিল টেনিদারা। সজলবাবুরা জানাচ্ছেন, অভিনন্দার কিন্তু ছোট থেকে পড়াশোনাই ধ্যানজ্ঞান। চতুর্থ শ্রেণি থেকে প্রতি বছর অলিম্পিয়াডে বসছে। আলাদা ভাবে কোনও প্রশিক্ষণ নেয়নি। অভিনন্দার কথায়, ‘‘পরীক্ষা নিয়ে এখন আর ভয়ডর করে না। পরীক্ষাটা উপভোগই করেছি।” জানাচ্ছে, অল্প সময়ে অনেকগুলি উত্তরের মধ্যে থেকে ঠিকটা বেছে নিতে হয়েছিল পরীক্ষায়। আর প্রস্তুতিতে যাবতীয় সাহায্য করেছেন স্কুলের শিক্ষকেরাই।


কৃতী ছাত্রী হিসেবে স্কুলে তার নামডাক রয়েছে। গত নভেম্বরে দিল্লির বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে স্কুল স্তরের পরীক্ষায় বসেছিল অভিনন্দা। সফল হয়ে সেখান থেকে রাজ্যস্তরে। অগস্টের গোড়ায় দিল্লিতে ইসলামিক কালচার সেন্টারে সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষাটি হয়। 


অভিনন্দার স্কুলের শিক্ষক তথা ওই বেসরকারি সংস্থার পরীক্ষার কো-অর্ডিনেটর সুদীপচন্দ্র দাস জানান, সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষায় প্রায় ১৮ লক্ষ প্রতিযোগী ছিল। সফলদের শিক্ষামূলক ভ্রমণে আমেরিকার ‘ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের’ (নাসা) ‘কেনেডি স্পেস সেন্টারে’ নিয়ে যাবে সংস্থা। দলে সুযোগ পেয়েছে অভিনন্দা। স্বাধীনতা দিবসে সংস্থার তরফে স্কুলে ফোন করে সেই খবর দেওয়া হয়। তবে, কবে রওনা হতে হবে সেই কথা এখনও জানানো হয়নি।


স্কুলের পড়াশোনার বাইরে নিয়ম করে পড়ে বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন বই ও প্রবন্ধ। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘মিশন মঙ্গল’ নামে হিন্দি ছবি। মঙ্গল-অভিযানে একঝাঁক মহিলা বিজ্ঞানীর ভূমিকা তুলে ধরেছেন পরিচালক। ইচ্ছা থাকলেও পড়ার চাপে সেই ছবি দেখা হয়নি অভিনন্দার। তবে তাকে অনুপ্রানিত করেছে ‘চন্দ্রযান ২’ অভিযানে মহিলা বিজ্ঞানীদের ভূমিকা। মেধাবী ছাত্রীটি বলে, ‘‘খবরের কাগজে দেখেছি চন্দ্রযান অভিযানে কী ভাবে নিজেদের দায়িত্ব সুষ্ঠু ভাবে পালন করেছেন মহিলা বিজ্ঞানীরা।” 


তারও স্বপ্ন, লাল মাটির দেশ থেকে এক দিন পাড়ি জমাবে লাল রঙের গ্রহে।

খবরের লিংক - https://www.anandabazar.com/district/purulia-birbhum-bankura/purulia-student-got-a-call-from-nasa-after-her-success-in-science-olympiad-1.1033409



৩। যে কোনও ভারতীয়র অধিকার রয়েছে ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার’, রায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের


সমাজ সংস্কারক পেরিয়ার ই ভি রামস্বামীর অনুগত এবং দ্রাবিদার কাজহাগাম-এর সদস্যদের সম্পূর্ণ মৌলিক অধিকার রয়েছে ঈশ্বর এবং ধর্মের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার। ঠিক যেমন অন্যদের অধিকার আছে ঈশ্বর বিশ্বাসে। এই রায় ঘোষণা করল মাদ্রাজ হাই কোর্ট।


মাদ্রাজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দানের সময়ে বলে, ‘মামলাকারীর যদি অধিকার থাকে ভারতীয় সংবিধানের ১৯ ধারা অনুযায়ী ঈশ্বারের অস্তিত্ব এবং ধর্ম সম্পর্কে নিজের মত প্রকাশের, তাহলে সুপ্রিম কোর্টেক লালাই সিং যাদব মামলার উদাহরণ তুলে আমরাও বলছি পেরিয়ার ই ভি রামস্বামীর অনুগত এবং দ্রাবিদার কাজহাগাম-এর সদস্যদেরও ভারতীয় সংবিধান সম্পূর্ণ অধিকার দিয়েছে ঈশ্বরকে অস্বীকার করার। ’ডিভিশন বেঞ্চে এদিন উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এস মণিকুমার এবং সুব্রামোনিয়াম প্রসাদ।


১৯৬৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সমাজ সংস্কারক পেরিয়ার ই ভি রামস্বামী জীবিত থাকাকালীন ত্রিচিতে উন্মোচিত হয় তাঁর একটি মূর্তি। উদ্বোধন করেছিলেন তত্‍কালীন মুখ্যমন্ত্রী সি এন আন্নাদুরাই। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে কামরাজও। তাঁর সেই মূর্তির নিচে লেখা হয়েছিল, ‘ঈশ্বর বলে কেউ নেই... ঈশ্বরের কোনও অস্তিত্বই নেই। যে ঈশ্বরের জন্ম দিয়েছে সে ভীষণই বোকা। যে ঈশ্বরের প্রচার করেছে সে স্কাউনড্রেল এবং যে ঈশ্বরের আরাধনা করে সে বর্বর, আদিম।’

মামলাকারী এম দেইভানয়াগমের দাবি ছিল, এই ধরনের আক্রমণাত্বক এবং আপত্তিকর মন্তব্য পেরিয়ার কোনওদিনও করেননি এবং তাঁর মৃত্যুর পর এই সব কথা লেখা হয়েছিল মূর্তির নিচে। দ্রাবিদার কাজহাগাম-এর সভাপতি এর বিরোধিতা করে বলেন, ‘থানথাই পেরিয়ার আগে থেকেই বুঝেছিলেন, তাঁর মূর্তির নিচে এই কথাগুলি লেখা না হলে কিছু বছর পর তাঁকেই ঈশ্বর জ্ঞানে মানুষ পুজো করা শুরু করবে। সেই জন্যেই এই কথাগুলি তিনি বলে গিয়েছিলেন।’

https://eisamay.indiatimes.com/nation/madras-high-court-declares-that-indian-constitution-has-given-right-to-its-citizens-to-deny-gods-existence/articleshow/71006042.cms

আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86929