সমস্ত লেখাগুলি

JWST, ধর্ম ও আমার ঈশ্বর -
সময়
Nov. 21, 2024 | যুক্তিবাদ | views:284 | likes:0 | share: 0 | comments:0

 “Religion is the sigh of the oppressed creature, the heart of a heartless world, and the soul of soulless conditions. It is the opium of the people.” - Karl Heinrich Marx

 সম্প্রতি জেমস ওয়েব স্পেস চোখ দিয়ে মানুষ মহাবিশ্বের প্রাচীনতম ছবি দেখতে সক্ষম হয়েছে। হাবল টেলিস্কোপের উত্তরসূরি এই দূরবীক্ষণ যন্ত্রটি গত 25 ডিসেম্বর উৎক্ষেপণ করা হয়েছিলো। সৃষ্টির জন্মলগ্নে ব্রম্ভান্ডের গতি-প্রকৃতি এবং তার অভ্যন্তরীন গ্যালাক্সি সমূহকে বিশ্লেষণ করার উদ্দেশ্যেই এই প্রজেক্টটি গ্রহণ করা হয়েছিলো। অবশেষে সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে JWST প্রায় 1300 কোটি বছর আগের মহাবিশ্বের রূপকে আমাদের সামনে প্রকাশিত করেছে! 

 সূর্য থেকে আলো পৃথিবীতে আসতে প্রায় 8 মিনিট 20 সেকেন্ড সময় লাগে। মানে এখন আকাশের দিকে তাকিয়ে আমরা যেই সূর্যকে দেখি সেটি 8 মিনিট 20 সেকেন্ড আগের সূর্য। একই রকম, নক্ষত্রপুঞ্জগুলি থেকে অবলোহিত তরঙ্গ প্রায় 1300 কোটি বছর ধরে পথ ভ্রমন করে JWST তে ধরা পড়েছে এবং এভাবেই চিত্রগুলি আমাদের সামনে ফুঁটে উঠেছে।

 ছবিতে আমরা অজস্র উজ্জ্বল ছায়াপথ, নক্ষত্রপুঞ্জকে দেখতে পারছি। কোনো শিল্পীর প্যালেটের মত শত বর্ণে রঞ্জিত। ক্যালাইডোস্কোপের রঙিন ফর্ম গুলির মতো প্রতিটি ছায়াপথে লুকিয়ে আছে চেতনাতীত রহস্য, কল্পনার মেঘকেও ছাড়িয়ে যাওয়া রূপকথার জেটপ্লেন কিংবা, শুধুমাত্রই মহাজাগতিক ধূলিকণা আর কিছু গ্যাসের মিশ্রণ।

 কিন্তু, এখানে ঈশ্বর কোথায়? কোথায়-ই বা স্বর্গ-দোজখের ঠিকানা? ওমনি ঠিক কেউ রে রে করে তেড়ে আসবে এই বলে যে মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষের মাঝেই ঈশ্বর। খুবই সত্যি কথা। কিন্তু, তাহলে সেই ঈশ্বরের ই আবাসস্থল নিয়ে এই এতো মারামারি-কাঁটাকাটি কেন? এই সব নীতিকথা ঈশ্বপের গল্পের শেষ লাইনেই আবদ্ধ, বাস্তবে বেশিরভাগ মানুষ এ সবের ধার ধরেনা। পাহাড় প্রমান ডিগ্রি ধারী তথাকথিত শিক্ষিত বিজ্ঞানের অধ্যাপক যখন দশ আঙুলে দশটি রত্ন পরিধান করে কোনো এক পেটমোটা ধর্মগুরুর পায়ে মাথা নোয়ায়, এর থেকে ঘৃণ্য কাজ আর কিছু হতে পারেনা।

 কেউ যদি ব্যক্তিগত ভাবে কোনো কাল্পনিক সত্ত্বার প্রতি বিশ্বাস রাখে, তাহলে আমার কিংবা সমাজের কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। সে তো পাশের বাড়ির পাঁচ বছরের প্যাঙলাও তো স্পাইডারম্যান কে তার আইডল মনে মরে, ও বিপদে পড়লে নাকি 'স্পাইডি' এসে তাকে উদ্ধার করবে।

কিন্তু, সমস্যাটা তখন হয়, যখন এই ধর্মের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস দাসসুলভ দূর্বলতায় পরিণত হয়। ব্যাপারটা বোঝার জন্য টাইম মেশিনের পিঠে চেপে, সমাজ গঠনের আদি পর্বে চলে যেতে হয়। সেই আদিম যুগে মানুষ বুঝতে পেরেছিলো যে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে বসবাস করলে হিংস্র পশু কিংবা কোনো দূর্যোগ থেকে নিরাপদে থাকা যায়। কর্মক্ষম নারী-পুরুষেরা খাদ্য সংগ্ৰহ করে আনতো এবং পরে তা সকলের মধ্যে বন্টন করা হতো। খাদ্য সংগ্রহে যার ভূমিকা বেশি থাকতো, স্বাভাবিক ভাবেই খাবারে তার অগ্রাধিকার থাকতো। কিন্তু, বাদ বাকি সবাই ও ন্যায্য পরিমানে খাবার পেতো। এই ভাবে আদিম সমাজের সূত্রপাত ঘটে।

লিঙ্গ বৈষম্যহীন সেই সমাজে, যে যেই কাজে দক্ষ ছিলো, সে সেই কাজই করতো। শ্রেণীহীন, বর্নহীন সেই সমাজে সবার সমান অধিকার ছিলো। ক্রমে, এই সকল সমাজে ক্ষমতার জোরে কিছু ব্যক্তিবর্গ নিজ প্রভাব বিস্তার করে। কিছু মানুষকে অনুগত সৈন্যে পরিণত করে তারা নিজেদের একাধিপত্য গঠন করে। 


খাদ্য ও নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই শাসকেরা সাধারণ মানুষের সাথে এক অলিখিত চুক্তি স্বাক্ষর করে। রুশো একে "Social Contract" বলে অভিহিত করেছেন।

এর পরিবর্তে সাধারণ মানুষ শাসক কে কর দিয়ে সাহায্য করে এবং তাকে সিংহাসনে উপবিষ্ট হতে সাহায্য করে। এই ভাবেই এক রাষ্ট্র জন্ম নেয়।

 বলে রাখা ভালো, এর অনেক আগেই মানুষ বহু প্রাকৃতিক ঘটনাকে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করতে না পেরে দৈব বলে মনে করে, ভয়-ভক্তির বশে পূজা-প্রার্থনায় লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু, শাসক ও কিছু স্বার্থান্বেষী জনগোষ্ঠী (পুরোহিত ও মহাজন)  এই ঈশ্বরে বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে জনগণকে শোষণের কাজ চালাতে শুরু করে। প্রথমে তারা দৈববানীর নামে রাষ্ট্রের শীর্ষে উপবিষ্ট হয়, এরপর তাদের অক্ষমতাকে ঢাকার জন্য 'ঈশ্বর'-এর, যথেচ্ছ ব্যবহার করা শুরু করে। খেটে খাওয়া মানুষ গুলোকে প্রথমে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, তারপর এই বলে স্বান্তনা দেয় যে এই পৃথিবী তো মায়া, তোমাদের দুরাবস্থার জন্য পূর্ব জন্মের কর্মফলই দায়ী। তাই, এই জন্ম ঈশ্বরের নাম জপ করে আর ধর্মগুরুর পদলেহন করে নির্বাহ করো, মৃত্যুর পর স্বর্গলোকে অপ্সরা-হুরেরা সুরা-কুসুমদাম দিয়ে তোমায় বরণ করে নেবে। আর, প্রতিবাদ করলেই নরকের আগুনে জ্বলে-পুড়ে শেষ।

 ধর্ম আর কিছুই নয়, পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় শ্রমজীবী, সাধারণ মানুষকে শোষণ করার এক যন্ত্র মাত্র। ঘোড়ার চোখের ঠুলির মতো ভাবতে পারেন, আসল সমস্যা থেকে চোখ সরিয়ে অন্য দিকে নিয়ে ফোকাস করতে সাহায্য করবে। তাই তো দেশের অর্থনীতি ডুবিয়মান, তা যাক না ডুবে, আসল সমস্যা হলো – “মন্দির/মসজিদ ওয়াহি বানায়েঙ্গে …..”। 

এতো গেলো ধর্ম নিয়ে অনেক কথা। এবার একটু কলমের খোঁচা দেওয়া যাক। আস্তিক-নাস্তিক শব্দ দ্বয় মূলত '√অস্' ধাতু থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে, যার অর্থ - থাকা। কোনো শক্তি বা বস্তুর অস্তিত্বের প্রতি আস্থা বা বিশ্বাসকেই অস্তিক্যবাদ বলা হয়। নাস্তিক শব্দটি সম্পূর্ণ এর বিপরীত অর্থ ধারণ করে। আমি কোনো দৈব কিংবা অতি-প্রাকৃতিক সত্ত্বায় বিশ্বাস রাখিনা, যে কিনা আমার ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে অথবা যার পায়ে মাথা নোয়ালে, আমার জীবন টুথপেস্টের বিজ্ঞাপনের মতো বদলে যাবে।

  আমি এমন কোনো পাড়ার মোরাল জেঠিমা টাইপের ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা যে কিনা বলে দেবে যে এটা করা সঠিক, আর এটা করা বেঠিক। আর এই স্যাডিস্টিক ঈশ্বরের কথা না শুনলে, সে আবার নরকের আগুনের পোঁড়াবার ভয় দেখায়।

এবার, আপনি বলতে পারেন যে সমাজে নৈতিকতা বজায় রাখার প্রয়োজনেই ঈশ্বর নামক মোরাল ফিগার কে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী এমিল দুর্খেম ও এই কথায় বলেছেন। কিন্তু, এখানে একটা বিষয় স্পষ্ট করে নেওয়া দরকার যে নৈতিকতা বিষয়টা অত্যন্ত আপেক্ষিক। একটা সমাজের কাছে কোনো কিছু নৈতিক মনে হলেও, অন্য সমাজের কাছে তা অনৈতিক মনে হতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ - হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষদের মধ্যে গো-মাংস ভক্ষণ অত্যন্ত ঘৃণ্য অপরাধ(কেন তা আমি জানিনা)। আবার, ইসলাম ধর্ম মেনে চলা জনগোষ্ঠীর মধ্যে আবার গরু খাওয়ার চল আছে। এই একটি বিষয় নৈতিক না অনৈতিক তা নিয়ে দুই ধর্মালম্বী সমাজের মধ্যে সংঘর্ষ বর্তমান। এথিকসের সংজ্ঞায় একে কালচারাল রিলেটিভিসিম বলে। অর্থাৎ, বিভিন্ন সমাজের মধ্যে নৈতিকতা-অনৈতিকতার ধারণা ভিন্ন ভিন্ন। তাই, আবার ব্যক্তি বিশেষের মধ্যেও নৈতিকতার ধারণার বৈচিত্র লক্ষ্য করা যায়। এথিকাল এবসোলিউটিসম-এর ধারণা অনুযায়ী পৃথিবীর সর্বত্র কিছু নৈতিকতার স্থির ধারণা বর্তমান। যেমন- ব্যক্তি, সমাজ কিংবা ধর্ম নির্বিশেষে হত্যা একটি গর্হিত অপরাধ। সব ধর্ম এই বিষয়ে এক মত পোষণ করে যে মানুষের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটলে, সে হত্যার মতন এমন ঘৃণ্য কর্মে লিপ্ত হতে পারে। কিন্তু, একবার ভেবে দেখুন তো ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবীরা যখন ব্রিটিশদের গাড়িতে বোমা মেরেছে কিংবা সাদা চামড়ার শোষকদের নির্বিচারে গুলি করেছে, সেটাও কিন্তু হত্যাই। তখন দেশ কে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাত থেকে মুক্ত করাটাই মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে যাওয়ার কারণে, নর হত্যা কে আমাদের অনৈতিক বলে মনে হচ্ছেনা। এর থেকে আমরা একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, ব্যক্তি কিংবা পরিস্থিতি বিশেষে নৈতিকতার ধারণার পরিবর্তন ঘটে। তাই, মেঘের ওপর থেকে কোনো ব্যক্তির এথিকসের ছড়ি ঘুরিয়ে জ্যাঠামো কে আমি সম্পুর্ন রূপে অবজ্ঞা করি।

 আমার ঈশ্বর জাত-বর্ন-লিঙ্গ-পদবী মানে না। আমার ঈশ্বর বড়লোকের ম্যানসনে কিংবা মধ্যবিত্তের শো-কেসে থমকে নেই। নাম না জানা প্রান্তিক কোনো গ্রাম যেখানে এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছতে পারেনি, সেখানেও আমার ঈশ্বর বিরাজমান। মেঘাচ্ছন্ন বিকেল, এক কাপ চা আর রবীন্দ্রসঙ্গীত কিংবা ফিফথ্ সিম্পফনিতে আমার ঈশ্বর বেঁচে থাকে, ভ্যান গগের রঙে সে প্রতি মুহূর্তে প্রাণ ফিরে পায়। আবার, এলিমেন্টরি পার্টিকেলের স্ট্যান্ডার্ড মডেলই আমার ঈশ্বর, বোসন আর ফার্মিয়ন কণা দিয়ে সে তৈরি হয়েছে। মেহনতি মানুষের হাতুড়িতে, প্রতিবাদী মানুষের কন্ঠস্বরে আমার ঈশ্বর স্থান পেয়েছে।

আমার ঈশ্বর প্রশ্ন করতে শেখায়, প্রতিবাদ করতে শেখায়। ব্রুনোকে যেদিন ধর্মের পিশাচেরা জীবন্ত পুড়িয়ে মারে, সেদিন আমি আমার ঈশ্বরকে পুড়তে দেখেছিলাম, চে র গুলি বিদ্ধ ছিন্ন-ভিন্ন নিথর দেহে আমি আমার ঈশ্বরের মৃত্যু দেখেছিলাম। কিন্তু, আমার ঈশ্বর রক্তবীজ। একটা প্রতিবাদী স্ফুলিঙ্গ থেকে সে নব রূপে উজ্জীবিত হয়। আমার ঈশ্বর ধর্মের মাকড়সার জালে আটকে থাকতে শেখায় না, সে চিন্তার মুক্ত আকাশে যুক্তি দিয়ে সব কিছু বিচার করতে শেখায়। আমার ঈশ্বর শ্রেণীহীন, রাষ্ট্রহীন, ধর্মহীন সমাজের প্রতীক। 

আমি আস্তিক, আমি আমার ঈশ্বরে বিশ্বাসী। আমার ঈশ্বর, আমার চেতনা।

যুক্তির ফাঁদে সর্বশক্তিমান -
সময়
Nov. 20, 2024 | নাস্তিকতা | views:811 | likes:0 | share: 0 | comments:0

কয়েকদিন আগে ইন্টারনেটে পাতা ওল্টাচ্ছিলাম। হটাৎ, একটা পোস্টে চোখ আটকে গেলো। বিজ্ঞান দিয়ে ঈশ্বরকে নয়, বরং ঈশ্বরকে দিয়ে বিজ্ঞানকে বিচার করুন। কারণ, বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল, কিন্তু ঈশ্বর সর্বদা সত্য। সত্যিই বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল। প্রায়শই নতুন ধারণা পূর্ব ধারণার স্থান দখল করে।

আসলে বিজ্ঞান আমাদের প্রাচীন কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধারণাকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে দেখায়নি। বিজ্ঞান আমাদের আর্গুমেন্ট এবং কাউন্টার-আর্গুমেন্টের মাধ্যমে প্রশ্ন করতে শিখিয়েছে। বিজ্ঞান সত্যিই পরিবর্তনশীল, সে আলোর উৎসের দিকে এগিয়ে চলেছে। আর, ঈশ্বরকে দিয়ে বিজ্ঞানকে বিচার করতে বলেছেন। তা, আপনাদের ঈশ্বর তো নিজেই বিজ্ঞান ও যুক্তির নিয়মে বন্দি! কীভাবে?

আচ্ছা, প্রায় সকল ধর্মেই ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তাকে সর্বশক্তিমান বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। God is almighty…..। তা, এই সর্বশক্তিমান ব্যক্তিটি কি এমন একটি পাথর তৈরি করতে পারে, যা তিনি নিজেই তুলতে পারবেননা?


যদি উত্তরটা হ্যাঁ হয়, তাহলে জগতে এমন কাজ তৈরি হবে, যা স্বয়ং ঈশ্বর ও করতে পারবেননা। আর, উত্তরটা যদি না হয়, তাহলেও বিশ্বে এমন কাজ থাকবে, যা স্বয়ং ঈশ্বর ও করতে পারবেননা। তাহলে, ঈশ্বর কি আদৌ সর্বশক্তিমান থাকলেন? এই প্রশ্নের মাধ্যমেই জন্ম হয় The Omnipotence Paradox নামের পৃথিবী বিখ্যাত (অথবা, ধর্মান্ধদের কাছে কুখ্যাত) কূটাভাসের। এই সাধারণ একটি প্রশ্ন, কোনো সর্বশক্তিমান স্বতার অস্ত্বিত্ব সম্পর্কিত ধারণার ভিত নাড়িয়ে দিতে সক্ষম। তাহলে এর

দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে ঈশ্বর আদপে সর্বশক্তিমান নন। যৌক্তিক ভাবে যেই সকল কাজ করা সম্ভব হবে, শুধুমাত্র সেই সব কাজ করতেই তিনি সক্ষম। যুক্তির খন্ডন কেউ করতে পারেনা।

সুতরাং, আমাদের মতন সাধারণ মানুষদের ন্যায় ঈশ্বর নিজেও যুক্তির বাঁধনে বন্দি, গণিতের নিয়মের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

এবার তাহলে বলবেন যে গণিত তো আসলে ঈশ্বরেরই অংশ। পয়েন্টে আসুন। তার মানে আপনি স্বীকার করছেন যে বিজ্ঞানকে দিয়ে ঈশ্বরকে নয়, বরং ঈশ্বরকে দিয়ে বিজ্ঞানকে বিচার করুন - এই সব কথা বোগাস! গণিত ও বিজ্ঞান যদি ঈশ্বরেরই অংশ হয় তাহলে বৈজ্ঞানিক তত্ব ছেড়ে অন্ধবিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে আছেন কেন?

ধর্মের আফিমে আচ্ছন্ন না থেকে যুক্তির আলোয় প্রকৃতিকে বোঝার চেষ্টা করুন। কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ ধর্মের মাধ্যমে আমরা-ওরার বিভাজন তৈরি করার চেষ্টায় আছে, বলা যায় আংশিক সফল। কিন্তু বিজ্ঞানের আলোর তলায় আমরা সবাই এক। তাই, যুক্তির মাধ্যমে প্রচলিত কুসংস্কার, ধর্মান্ধতাকে খন্ডন করে চোখের ঠুলিটা খুলুন, দেখবেন জ্ঞানের আলোয় জগৎ কতটা উজ্জ্বল…

আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86929